সিলেট এইজ: সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার ‘চাউলধনী’ হাওরে বোরো ধানে সেচের পানি নিয়ে চরম বিপাকে রয়েছেন কয়েক হাজার কৃষক। প্রতিবছরই তারা বোরো মৌসুমে হাওরে পানির অভাবে চাষাবাদে চরম দূর্ভোগ পোহাতে হয়।‘দশঘর মৎস্যজীবি সমবায় সমিতির’ লোকজন প্রতিবছর বোরো মৌসুমে হাওরে পানি শুকিয়ে মাছ ধরার করাণে কৃষকদের এমন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এনিয়ে কয়েক বছর ধরে কৃষক ও ইজারাদারদের মধ্যে সংঘর্ষ, হামলা ও মামলা চলেই আসছে। হাওরের বিলে পানি সেচ নিয়ে চলতি বোরো মৌসুমেও ইজারাদার ও মৎস্যজীবি সমবায় সমিতির লোকজেনর মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। এমন অভিযোগ করেছেন হাওর পাড়ের চৈতন নগর গ্রামের কৃষক আহমদ আলী (৬০)। তিনি জানান কয়েক বছর ধরে ইজারা নিয়ে এই হাওরের বিলে মেশিন দিয়ে সেচের মাধ্যমে পানি শুকিয়ে মাছ ধরে বিক্রি করছে দশঘর মৎস্যজীবি সমবায় সমিতি। আর হাওরে পানি সেচ না দেয়ার জন্য প্রতিবছরই তাদের সাথে ইজারাদারদের হামলা মামলা ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটছে। প্রতিবছরের ন্যায় এবছরও সমিতির লোকজন হাওরের ‘সোনাপতি’ নামের বিলে বাঁধ নির্মাণ করেছে পানি সেচের জন্য।এতে বৃহস্পতিবার বিকেলে এলাকার প্রায় শতাধিক কৃষক বাধাও দিয়েছেন। কিন্তু হাওরের সোনাপতি নামের এই বিলটি তাদের ইজারার ভেতরে নাই। তার পরও প্রতিবছর জোর করে তারা পানি শুকিয়ে মাছ ধরে বিক্রি করছে। সংঘাত নয়, তার দাবি হাওরের মাছের দরকার নাই। তাদের পরিবার ও সন্তানদের জন্য ভাতের দরকার। হাওরে পানি তাকলে অন্তত পক্ষে তারা বোরো চাষাবাদ করে পরিবারের মুখে ভাত দিতে পারবেন। তাই তিনি সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কাছে সার্বিক সহযোগীতা কামনা করেন। জানতে চাইলে দশঘর মৎস্যজীবি সমবায় সমিতির অন্যতম সদস্য আব্দুল জলিল সোনাপকি বিলটি তাদের ইজারার মধ্যে আছে বলে তিনি জানান কৃষকদের বাঁধা তারা মেনেছেন।
সম্পাদক ও প্রকাশক : মোঃ আব্দুল হালিম সাগর মোবাইল : ০১৭২২-০৬২২৭৪ প্রধান ফটো সাংবাদিক : কামাল হোসেন মিঠু অফিস :- ৪০৬ রংমহল টাওয়ার (৪র্থ তলা) বন্দরবাজার সিলেট-৩১০০। ই-মেইল : halimshagor2011@gmail.com, sylhetage2022@gmail.com
All rights reserved © 2025 sylhetage.com