Sharing is caring!
সিলেট এইজ : টঙ্গীর তুরাগ নদের তীরে রেকর্ডসংখ্যক মুসল্লির অংশগ্রহণে আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে প্রথম পর্বের বিশ্ব ইজতেমা। আখেরি মোনাজাতে অংশ নিতে এসে ফিরতি পথে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন মুসল্লিরা।ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক, টঙ্গী-কামারপাড়া রোড, টঙ্গী-কালীগঞ্জ রোডে কোথাও গণপরিবহণ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন মুসল্লিরা। কেউ কেউ যানবাহন না পেয়ে বাধ্য হয়ে হেঁটেই রওনা দিয়েছেন।দূরের যাত্রীদের বেলায় অন্য চিত্র। তারা যে যেখানে যেতে চাচ্ছেন তাদের গুনতে হচ্ছে দ্বিগণ ভাড়া। উপায়ান্তর না পেয়ে অনেক মুসল্লিকে মিনিট্রাক ও পিকআপ ভাড়া করে ফিরতে দেখা গেছে।ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও ভৈরব থেকে আসা মুসল্লি সাইফুল ইসলাম, সালমান রহমান ও আরিফ হোসেন জানালেন, রাস্তায় যাত্রীবাহী বাসের সংখ্যা একেবারেই কম। যদিও দুই-একটি বাস এখন চলতে শুরু করেছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া যেতে আমাদের নির্ধারিত ভাড়া আড়াইশ টাকা কিন্তু কিছু কিছু বাস সাড়ে ৩শ টাকা ভাড়া নিচ্ছে।মোনাজাতের পর উবারের মোটরসাইকেলে ঢাকার বাসাবো যাচ্ছিলেন মুসল্লি রায়হান হোসেন ও নজরুল ইসলাম। তারা যুগান্তরকে জানালেন, উবার দ্বিগুণ ভাড়া নিচ্ছে। টঙ্গী থেকে বাসাবো যেতে যেখানে তিনশ টাকা ভাড়া লাগে সেখানে আজ ৬শ টাকা ভাড়া নিচ্ছে।এছাড়াও মিরের বাজার, পূবাইল, কালীগঞ্জসহ আশপাশে চলাচলরত অটোরিকশা ও ইজিবাইকের চালকরা যাত্রীদের কাছ থেকে দ্বিগণ ভাড়া আদায় করছেন। পূবাইলের যাত্রী জাহাঙ্গীর আলম ও রাজিব হোসেন জানালেন, অটোরিকশা ও ইজিবাইকের চালকরা ২০ টাকার ভাড়া ৪০ টাকা এবং ৩০ টাকার ভাড়া ৬০ টাকা নিচ্ছেন। বাধ্য হয়েই আমাদের এখন যেতে হবে।এদিকে ট্রেনে যাতায়াতকারী মুসল্লিরাও ভোগান্তিতে পড়েছেন। আখেরি মোনাজাত শেষে একযোগে হাজার হাজার যাত্রী টঙ্গী রেলওয়ে স্টেশনে জমায়েত হলে যাত্রীদের ভিড় ঠেলে অনেকেই ট্রেনে উঠতে পারেননি।এমনই জানালেন ঢাকার কমলাপুর থেকে আসা আব্দুল আলীম, খোরশেদ আলম, জাকির হোসেন, আলী আজগর। তারা বলেন, সকালে টঙ্গীতে আসার পথেও প্রচুর ভিড় ছিল। ফেরার পথেও যাত্রীদের ভিড়ের কারণে ট্রেনে উঠতে পারিনি। তবে বিকালে মহাসড়কে যানবাহন চলাচল করবে বলে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
৫৩৯ পড়েছেন