সিলেট এইজ : সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি পশ্চিমপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ে দিনব্যাপী রজত জয়ন্তী ও পুনর্মিলনী উৎসবে নিজের কলেজ জীবনের কথা শোনালেন আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা ও নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান। স্মৃতিচারণ করে তিনি বলেন, কলেজের সময়ের কথা, আমার পরিচয় জানার পর তখন সবাই একটু কেমন করে তাকাতো। আমার কাছে আসতে চাইত না। আমার বাবা সেটা আগেই জানতেন। তিনি আমার রাজনৈতিক জীবনের শিক্ষক। তিনি আরও বলেন, আমি তখন তোলারাম কলেজের ভিপি। আব্বা জেলে বড় ভাই কাদেরিয়া বাহিনীতে। আমার পরীক্ষার ফরম ফিলাপের পয়সা ছিল না। ৯শ টাকার জন্য ফরম ফিলাপ করতে পারছিলাম না। তখন আমার স্যার তোলারাম কলেজের ভাইস প্রিন্সিপাল জীবন কানাই চক্রবর্তী আমার ফরম ফিলাম করে দিয়েছিলেন। শামীম ওসমান বলেন, আমার বাবা আমাকে দুটো জিনসের প্যান্ট দুটো শার্ট ও একটি জামা দিয়েছিলেন কলেজে যাওয়ার জন্য। তিনি বলেছিলেন তোমার ক্লাসের সবচেয়ে নিরীহ ছেলেটিও যেন তোমার সঙ্গে মিশতে পারে তোমাকে এমন ভাবে চলতে হবে। শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তরুণ প্রজন্মের ভবিষ্যৎ নিয়ে কাজ করছেন। অথচ তার বাবা-মাসহ পরিবারের সবাইকে আমরা মেরে ফেলেছি। তিনি আর বলেন, মুসলিম, বৌদ্ধ, হিন্দু খ্রিস্টান তাদের সবাইকে একটা কথা বলতে চাই, তোমরা ধর্মটাকে সম্মান করো। পৃথিবীতে একটাই সত্য আমাদের সবাইকে একদিন না একদিন যেতে হবে। যে সন্তানের উপর বাবা-মায়ের দোয়া থাকে সে সন্তান কোনোদিন কখনো কোনো কিছুতে আটকায় না। আমি তোমাদের একটা কথাই বলব, তোমরা ভালো মানুষ হও। ভালো মানুষ হয়ে দেশের জন্য একটা হলেও ভালো কাজ করো। শুক্রবার সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি পশ্চিমপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ে দিনব্যাপী রজত জয়ন্তী ও পুনর্মিলনী উৎসবের উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বাবু চন্দন শীল।সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও মিজমিজি পশ্চিমপাড়া উচ্চ বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হাজী মো. ইয়াসিন মিয়ার সভাপতিত্ব বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নাসিক ১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাজী আনোয়ার ইসলাম, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু বকর সিদ্দিক, আওয়ামী লীগ নেতা আবু বকর সিদ্দিক আবুল, ফয়েজ মজুমদার, মো. ফজলুল হক, মিজমিজি পশ্চিমপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. সাঈদুর রহমান প্রমুখ।