• ১২ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ২৮শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ২০শে রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

কুমিল্লায় ‘লাউ বেগুন’বাম্পার ফলন

admin
প্রকাশিত মার্চ ২১, ২০২৩
কুমিল্লায় ‘লাউ বেগুন’বাম্পার ফলন

Sharing is caring!

সিলেট এইজ ডেস্ক: জনপ্রিয় হয়ে উঠছে কুমিল্লার ‘লাউ বেগুন’ চাষ। দূর থেকে প্রথমে কেউ দেখলে মনে হবে লাউ। কিন্তু কাছে গেল ভুল ভাঙে। মাঝারি আকারের লাউয়ের মতো সবজিটি অতি পরিচিত বেগুন। জাতের নাম বারি-১২। কুমিল্লার বিভিন্ন উপজেলার মাঠে লাউবেগুন চাষ করছেন কৃষকরা। প্রতিটি বেগুনের ওজন ৮০০ গ্রাম থেকে এক কেজি। এই বেগুন দেখতে ও কিনতে মানুষ ভিড় করছেন। স্বাদ ভালো ও ওজন বেশি হওয়ায় চাহিদাও প্রচুর। দাম পেয়ে খুশি কৃষক। সরেজমিন কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার বড় গোবিন্দপুর গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, জমির কোনোটিতে বেগুন, কোনোটিতে টমেটো, ফুলকপি, বাঁধাকপির চাষ হয়েছে। কিছু বেগুনের জমি নেট দিয়ে ঢেকে দেয়া হয়েছে। জমির পাশে দেখা গেল মানুষের ভিড়। স্থানীয় ক্রেতা গোলাম রাব্বানী বলেন, বারি বেগুন-১২ নিয়ে মানুষের প্রচুর আগ্রহ রয়েছে। এত বড় বেগুন আর দেখিনি। স্বাদ ভালো। তাই পুনরায় কিনতে এসেছি। স্থানীয় কৃষক তারেক হোসেন বলেন, কৃষি অফিসের পরামর্শে বারি বেগুন-১২ প্রথমবারের মতো চাষ করেছি। ৩০ শতাংশ জমিতে ভালো ফলন হয়েছে। বাজারে নিতে হয় না। জমি ও বাজারে যাওয়ার পথেই কাড়াকাড়ি করে কিনে নিয়ে যায়। সাধারণ বেগুন ২৫-৩০ টাকা হলেও এটি ৪০-৪৫ টাকা কেজি ধরে বিক্রি হয়।স্থানীয় উপসহকারী কর্মকর্তা গোলাম সারোয়ার বলেন, এখানে কয়েকটি প্রদর্শনী প্লট দেয়া হয়েছে। ভালো ফলন হয়েছে। এ বেগুনে পোকামাকড়ের আক্রমণ কম। ভালো ফলনের কারণে এ বেগুন কৃষকদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। উপজেলা কৃষি অফিসার মনিরুল হক রোমেল বলেন, ২০২১ সালে বারি বেগুন-১২ সম্পর্কে ধারণা পাই। এ বেগুনের বীজের জন্য বারিতে চিঠি লিখি। বারি কুমিল্লা কার্যালয় থেকে কিছু বীজ পাই। এটি সম্প্রসারণের উদ্যোগ নেই। ভালো ফলন হয়েছে। বড় আকারের বেগুন দেখে স্থানীয়রা অবাক হয়েছে। আমরা আশা করি, এই বেগুন চাষ পুরো উপজেলায় ছড়িয়ে পড়বে।কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর কুমিল্লার উপপরিচালক মো. মিজানুর রহমান বলেন, বারি বেগুন মূলত এসেছে পটুয়াখালীর একটি রাখাইন সম্প্রদায় থেকে। তারা দীর্ঘদিন চাষ করত। কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট সেখান থেকে বীজটি সংগ্রহ করেছে। তারা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে বারি বেগুন-১২ নামে মাঠে ছাড়ে। জেলায় এ বছর ২০টি প্রদর্শনী হয়েছে। এটি কৃষকদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। এর বীজ সংগ্রহ করে কৃষক পুনরায় চাষ করতে পারবেন।

৫১৫ পড়েছেন