Sharing is caring!
সিলেট এইজ : আজ রাত পোহালেই সিলেট সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন। নির্বাচনকে সুষ্ঠু ও নিরবিচ্ছিন্ন করতে মহানগরীতে কাজ করছে প্রায় ২৬০০ পুলিশ সদস্য। এছাড়া মাঠে থাকবেন ১৪ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও ৪২টি ওয়ার্ডে ৪২ জন নির্বাহি ম্যাজিস্ট্রেট। নির্বাচনে কোনো বিশৃঙ্খলা হলে তারা তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। প্রতিটি টিমের সাথে থাকবে ১ প্লাটুন বিজিবি। মঙ্গলবার (২০ জুন) সকালে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ লাইন্সে সংবাদ সম্মেলন করে এসব তথ্য জানান এসএমপি কমিশনার মো. ইলিয়াছ শরিফ।
এসএমপি কমিশনার জানান, নির্বাচনের নিরাপত্তা নিশ্চিতে ঝুঁঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে ১ জন পুলিশ পরিদর্শক, ১ জন উপ পুলিশ পরিদর্শক ও ৫ জন পুলিশ সদস্য এবং কম ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে ১ জন পুলিশ পরিদর্শক, ১ জন উপ পুলিশ পরিদর্শক ও ৪ জন পুলিশ সদস্য এবং ৭ জন নারী ও ৭ জন পুরুষসহ মোট ১৪ জন আনসার সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন। তিনি জানান, নির্বাচন উপলক্ষে প্রতি সাধারণ ওয়ার্ডে একটি করে পুলিশের ৪২ টি মোবাইল টিম, প্রতি তিনটি সাধারণ ওয়ার্ডে একটি করে ১৪ টি ট্রাইকিং টিম এবং প্রতি থানায় একটি করে ৬ টি রিজার্ভ স্ট্রাইকিং টিম থাকবে। পাশাপাশি থাকবে ২ টি ওয়ার্ডে ১ টি করে র্যাবের ২২ টি ও ৫ টি ওয়ার্ডে এক প্লাটুন করে মোট ১০ প্লাটুন বিজিবির টহল টিম। সিলেট সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন প্রতিদ্ব›িদ্বতা করছেন, এদের মধ্যে দলীয় মনোনীত চার প্রার্থীর মধ্যে আওয়ামী লীগের মো.আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী (নৌকা), জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী নজরুল ইসলাম বাবুল (লাঙ্গল), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত প্রার্থী হাফিজ মাওলানা মাহমুদুল হাসান (হাতপাখা) যদিও তিনি ইতিমধ্যে নির্বাটন বয়কট করেছেন ও জাকের পার্টির মো. জহিরুল আলম দলীয় প্রতীক (গোলাপফুল) মার্কায় নির্বাচন করবেন। এছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ আবদুল হানিফ কুটু (ঘোড়া), মো.ছালাহ উদ্দিন রিমন (ক্রিকেট ব্যাট), মো.শাহ জাহান মিয়া (বাস গাড়ি) ও মোশতাক আহমেদ রউফ মোস্তফা (হরিণ) প্রতীকে নির্বাচন করছেন। কাউন্সিলর পদে ৩৫৯ জন প্রার্থী প্রতিদ্ব›িদ্বতা করছেন। যাদের মধ্যে ২৭২ জন সাধারণ ওয়ার্ডে এবং সংরক্ষিত ওয়ার্ডে (নারী কাউন্সিলর) ৮৭ জন। সিলেট সিটি করপোরেশন(সিসিক) নির্বাচনে প্রার্থীদের প্রচারণা শেষ হয়েছে সোমবার মধ্যরাতে। এখন শুধু ভোটের অপেক্ষায় প্রার্থী ও ভোটাররা। আজ বুধবার সকাল থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হবে। তবে ভোটের যে আমেজ ছিল সেই আমেজটা এখন খুব একটা নেই কারণ লাগাতার টানা বৃষ্টিপাত। ভারি বৃষ্টির ফলে ঘর থেকে বাইরে বের হতে হিমশিম খাচ্ছে লোকজন। এছাড়াও বিভিন্ন ভোটকেন্দ্রের ভেতরে পানি ডুকে পড়েছে। তাই দুশ্চিন্তায় রয়েছেন প্রার্থীরা। নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা বলছেন-কেন্দ্র গুলোতে বালি ফেলে ভোটারদের দাঁড়ানোর উপযোগী করা হচ্ছে। শেষ মুহূর্তের প্রচারে মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা বৃষ্টি উপেক্ষা করে ভোটারদের দ্বারে-দ্বারে ছুটে বেড়িয়েছেন। এদিকে সোমবার ভোর থেকে থেমে থেমে বৃষ্টি হলেও থেমে থাকেননি প্রার্থীরা। শেষ মুহূর্তের প্রচারে প্রার্থীরা পথসভা, মতবিনিময় ও গণসংযোগ করেছেন। আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী নগরীর রেজিস্ট্রি মাঠে শেষ নির্বাচনি জনসভা করেন। জাতীয় পার্টির মেয়র প্রার্থী নজরুল ইসলাম বাবুলের শেষ নির্বাচনি জনসভা হয় নগরীর রিকাবীবাজার পয়েন্টে। সিসিক নির্বাচনে ৩৬৭ জন প্রার্থী। সিসিকের ১৯০টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ হবে। নির্বাচনে ১৯০ কেন্দ্রের মধ্যে ১৩২ কেন্দ্রই ঝুঁকিপূর্ণ। বাকি ৫৮ কেন্দ্র ঝুঁকিমুক্ত বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। সিসিকে এবার ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ৮৭ হাজার ৭৫৩ জন।এরমধ্যে পুরুষ ২ লাখ ৫৪ হাজার ৩৬৩, নারী ২ লাখ ৩৩ হাজার ৩৮৪ জন, তৃতীয় লিঙ্গের রয়েছেন ৬ জন ভোটার। ১৯০ কেন্দ্রের ১ হাজার ৩৬৭ ভোটকক্ষে ইভিএমের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ করা হবে। এ রির্পোট লেখা পর্যন্ত রিটার্নিং কর্মকর্তা ফয়সল কাদের জানান, এরই মধ্যে কেন্দ্রে কেন্দ্রে পৌঁছে গেছে নির্বাচনি সরঞ্জাম। সুষ্ঠু ভোটের পরিবেশ নিশ্চিত করা গেলেও, বৈরি আবহাওয়ার কারণে ভোটার উপস্থিতি কম হতে পারে বলে জানান তিনি।
৬১২ পড়েছেন