Sharing is caring!
কানাইঘাট প্রতিনিধি: সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার বড়দেশ বাজার এলাকায় সুরমা নদী থেকে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন করা জনৈক আফতাব মিয়া ও মিজানুর রহমান ডিপজল। অবৈধ ভাবে একাধিক হাইড্রলিক ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলনের ফলে নদীর দুপাশ ধিরে ধিরে ভাংতে শুরু করেছে। যারফলে ভাঙ্গনের কবলে পড়ে বাজারসহ বিস্তর এলাকা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। এতে এলাকাবাসী প্রতিবাদ মুখর হয়ে উঠেন। খববর পেয়ে রোববার (৭ জুলাই) উপজেলা প্রশাসন পুলিশ নিয়ে বালু উত্তোলন বন্ধে অভিযান চালায়। অভিযানকালে হাইড্রলিক ড্রেজারগুলো আটক করলেও পরে অদৃশ্য কারণে ছেড়ে দেন এসিল্যান্ড। এ নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে।
স্থানীয় সংবাদসূত্র জানায়, বহুল পরিচিত বালু ব্যবসায়ী আফতাব মিয়া ওরফে ড্রেজার আফতাব সুরমার দক্ষিণপার জকিগঞ্জ বারহাল ইউনিয়নের নোয়াগাও মৌজা এলাকা লিজ নেন। কিন্তু লিজকৃত এলাকার বাইরে অন্য উপজেলা কানাইঘাট এলাকায় গিয়ে লাখ লাখ ঘনফুট বালু-মাটি উত্তোলন করে বিক্রি করছেন। তার এ কর্মকাÐ পরিচালনা করছেন কানাইঘাটের সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মিজানুর রহমান ডিপজল। রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে ডিপজল কানাইঘাট উপজেলার বড়দেশ বাজার এলাকা খাবলে খেতে শুরু করেন। এতে বড়দেশ বাজার ও আশপাশ এলাকা নদীতে ধসে পড়তে শুরু করে। প্রতিবাদী হয়ে উঠলে এলাকায় উত্তেজনা দেখা দেয়। খবর পেয়ে উপজেলা এসিল্যান্ড রবিবার একদল পুলিশ নিয়ে অভিযান চালালে কাউকে আটক বা মামলা করেননি। অজ্ঞাত কারণে ডিপজলের ড্রেজারগুলো ছেড়ে দিয়ে মৌখিক নিষেধাজ্ঞা দিয়ে চলে যান। অভিযানের জের ধরে পরে এলাকার লোকজনের উপর চড়াও হয় ডিপজল লোকজন। তারা বড়দেশ বাজারে শরীফ নামে এক যুবককে মারপিট করে গুরুতর আহত করে। বালু উত্তোলনে বাধা দেয়ার জের ধরে কিছু লাঠিয়াল বাহিনীর হামলা করে উপজেলার নিজ বড়দেশ গ্রামের শরীফ আহমদ (২৭) নামে এক যুবকের উপর। স্থানীয়রা জানান, বড়দেশ বাজারে একা পেয়ে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে মারধর করে গুরুর আহত করে। ঘটনাটি বেলা ২ ঘটিকার সময় বড়দেশ বাজারে শাকিল আহমদের দোকানের সামনে এ ঘটনা ঘটে। পরে হামলায় আহত শরীফ আহমদ কানাইঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নেন। পরে শরীফ আহমদ বাদী হয়ে এ ঘটনায় ওই দিন সন্ধ্যায় কানাইঘাট থানায় ডিপজলের অনুসারী তিনজনকে বিবাদী করে রোববার রাতে একখানা লিখিত অভিযোগ দেন। অভিযুক্তরা হলেন, কানাইঘাট থানার নিজ বড়দেশ গ্রামের বশির উদ্দিনের পুত্র শরীফ উদ্দিন ও মুসলিম উদ্দিন এবং একই গ্রামের মৃত নছিরুল হকের পুত্র রাসেল আহমদ।
এ বিষয়ে কানাইঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারজানা নাসরিন বলেন, এখানে কোনো অভিযান পরিচালিত হয়নি। এটা জকিগঞ্জের বালুমহাল। এসিল্যান্ড গিয়ে শুধু ইজারার সীমানা নির্ধারন করে দিয়েছেন বলে জানান তিনি।
কানাইঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জাহাঙ্গীর আলম সরদার মারামারির বিষয়ে অভিযোগ প্রাপ্তির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, প্রাথমিক তথ্যের সত্যতা পাওয়া গেলে আইনত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে আজোবধি কানাইঘাট উপজেলা এলাকায় আফতাব-ডিপজলের অবৈধ বালু উত্তোলন অব্যাহত রয়েছে বলে এলাকাবাসী অভিযোগ করেছেন।
৬৫৫ পড়েছেন