• ১১ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ২৭শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ১৯শে রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

সিলেটে ফের শাবি শিক্ষার্থীদের মহাসড়ক অবরোধ

admin
প্রকাশিত জুলাই ৮, ২০২৪
সিলেটে ফের শাবি শিক্ষার্থীদের মহাসড়ক অবরোধ

Sharing is caring!

স্টাফ রিপোর্টার : সরকারী চাকুরীতে কোটা বাতিলের দাবিতে ঢাকার পর সিলেটে সোমবারও মহাসড়ক অবরোধের ঘটনা ঘটেছে। কেন্দ্র ঘোষিত বাংলা ব্লকেড কর্মসূচির আওতায় ২য় দিনের মতো ঘন্টাব্যাপী সিলেট-সুনামগঞ্জ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এদিকে, সড়ক অবরোধের কারণে সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়কে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। সোমবারের আগে শনিবার এই সড়ক অবরোধ করেছিলো শাবি শিক্ষার্থীরা। এরপর দেশব্যাপী বাংলা ব্লকেড কর্মসূচীর ১ম দিন রোববারও এই সড়ক অবরোধ করে শাবি শিক্ষার্থীরা। টানা ৩ দিন অবরোধের ফলে গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কে প্রতিদিনই দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে যাত্রী ও শিক্ষার্থীদের। ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’-এর ব্যানারে সোমবার বিকেল ৪টা থেকে ৫টা পর্যন্ত তারা এই মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে। এসময় সড়কের দুই পাশে দীর্ঘ যানজট দেখা দেয়। দুর্ভোগে পড়েন যাত্রীরা। এর আগে বেলা ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের গোলচত্বরে অবস্থান কর্মসূচি করেন শিক্ষার্থীরা। এরপর গোল চত্বর থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে এসে শাবির ফটকের সামনে সড়ক অবরোধ করেন। কর্মসূচিতে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন লেখা-সংবলিত প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করছেন। সেই সঙ্গে শিক্ষার্থীরা ‘সারা বাংলা খবর দে, কোটা পদ্ধতির কবর দে’, ‘দেশটা নয় পাকিস্তান, কোটার হোক অবসান’, ‘আদায় হবে দাবি, পথ দেখাবে শাবি’, ‘মেধাবীদের কান্না, আর না আর না’, ‘কোটাবৈষম্য নিপাত যাক, মেধাবীরা মুক্তি পাক’, ‘মুক্তিযুদ্ধের বাংলায়, কোটাপদ্ধতির ঠাঁই নাই’, ‘আঠারোর হাতিয়ার, গর্জে উঠুক আরেকবার’, ‘নারী যেখানে অগ্রসর, কোটা সেখানে হাস্যকর’, ‘বৈষম্যর বিরুদ্ধে লড়াই করো এক সাথে’, ‘কোটা না মেধা, মেধা মেধা’, ‘আপস না সংগ্রাম, সংগ্রাম সংগ্রাম’ এমন স্লোগান দিতে থাকেন। এসময় শ্লোগানের পাশপাশি শিক্ষার্থীরা গান ও কবিতা পরিবেশন করেন। আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা সরকারি চাকরিতে প্রবেশে কোটা পদ্ধতির সংস্কার এবং ২০১৮ সালের জারিকৃত পরিপত্র পুনর্বহালের দাবিতে জানান। আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো- ২০১৮ সালের পরিপত্র পুনর্বহাল, পরিপত্র পুনর্বহাল সাপেক্ষে কমিশন গঠন করে দ্রুত সময়ের মধ্যে সকল সরকারি চাকুরিতে (১ম থেকে ৪র্থ শ্রেণি) সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ কোটা রেখে ‘কোটা সংস্কার’ করা, কোটায় যোগ্য প্রার্থী না পাওয়া গেলে শূন্য পদগুলোতে মেধা অনুযায়ী নিয়োগ দেওয়া এবং দুর্নীতিমুক্ত, নিরপেক্ষ ও মেধাভিত্তিক আমলাতন্ত্র নিশ্চিত করা।

৫৬৫ পড়েছেন