Sharing is caring!
বিজ্ঞপ্তি : আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে চাকরি জীবনে যেসব কর্মকর্তা-কর্মচারী অন্যায়-অনিয়মের বিরুদ্ধে লড়েছেন, তাদের বেশিরভাগই চাকরিজীবনে পদে পদে বঞ্চিত ও নিগৃহীত হয়েছেন। সেই সময়টা ছিলো অন্যায়ের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়াটাই অন্যায়! তেমনি অন্যায়-অনিয়মের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে বিপাকে পড়েন সিলেট এম.এ.জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চতুর্থ শ্রেনীর কর্মচারি সমিতির সভাপতি আব্দুল জব্বার। তার বিরুদ্ধে একের পর এক অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে একটি স্বার্থান্বেষী কু-চক্রী মহল। চতুর্থ শ্রেনীর কর্মচারি সমিতির সভাপতি আব্দুল জব্বার একজন মানবিক মানুষ। তিনি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সরকারি চাকুরি করার সুবাদে অসুস্থ অসহায় মানুষকে সহযোগিতা করে যাচ্ছেন। এমনকি যেখানে অনিয়ম-দুর্নীতি দেখছেন সেখানেই অন্যায়ের প্রতিবাদ করেন আব্দুল জব্বার। আব্দুল জব্বার হাসপাতালের সিকিউরিটি ইনচার্জের দায়িত্ব পালন করছেন।
সেই থেকে তিনি মেডিকেলকে দালাল মূক্ত করার কাজ শুরু করেন। দালালদের বিরুদ্ধে মেডিকেলের প্রশাসনকে নিয়ে অভিযান শুরু তিনি। একের পর এক দালালকে মেডিকেল ছাড়া করেন জব্বার। মেডিকেলের বাহিরে দালালদের রয়েছে বিশাল একটি শক্তিশালী চক্র। এই চক্রের সাথে মোকাবিলা করেই সামনের দিকে এগিয়ে যান তিনি। কিন্তু গত ১৪ আগস্ট হাসপাতালের দালাল চক্রের মূলহোতা ইসলাম আলীকে আটক করেন চতুর্থশ্রেণী কর্মচারী সমিতির সভাপতি আব্দুল জব্বার। পরে এই দালাল মুছলেখা দিয়ে আনসার সদস্যদের হাত থেকে ছাড়া পায়। এরপর আত্মগোপনে থেকে সে দালালদের নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছে। এমনকি জব্বারের বিরুদ্ধে নানাবিদ ষড়যন্ত্র শুরু দালাল ইসলাম। হাসপাতালে তৃতীয় শ্রেনীর কর্মচারী ইমরানের সাথে হাত মিলিয়ে মেডিকেলের গোপনতথ্য সংগ্রহ করে দালাল ইসলাম। সেই তথ্য জালিয়াতি করে জব্বারকে ইমোশনাল ব্লাকমেইল করতে থাকে ওই দালাল। কিন্তু জব্বার কিছুতেই এই দালালচক্রকে মেডিকেলে ঢুকতে দেননি। জব্বারকে হামলা-মামলা ভয়ভিতি দেখায় এবং ‘সিলেট এইজ’ সহ স্থানীয় ও জাতীয় বিভিন্ন অনলাইন নিউজ পোর্টালে জব্বারের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাতে থাকে। এসকল প্রকাশিত সংবাদের কোন ভিত্তি নেই। সব বানোয়াট তথ্য পরিবেশন করা হয়েছে তার তীব্র নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানিয়ে হাসপাতালের চতুর্থ শ্রেনীর কর্মচারি সমিতির সভাপতি আব্দুল জব্বারসহ এমনটি জানিয়েছেন হাসপাতালের একাধিক কর্মচারী।
এক প্রতিবাদ লিপিতে আব্দুল জব্বার বলেন, সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের একটি অসাধু চক্র আমার কাছ থেকে বিভিন্ন রকম অনৈতিক সুবিদা নিতে না পারায় আমাকে হয়রানী করার উদ্দেশ্যে আমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন পোর্টালে সাংবাদিকদের মিথ্যা তথ্য দিয়ে সংবাদ প্রকাশ করায়। যা সম্পর্ণ বিভ্রন্তিকর ও উদ্দেশ্য প্রনোদিত। উক্ত প্রকাশিত সংবাদটি আমার দৃষ্টিগোচর হওয়ায় আমি উক্ত সংবাদের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আমি সিলেটে কর্মরত সকল সাংবাদিক ভাইদের বলছি, দীর্ঘদিন থেকে ওসমানী হাসপাতালের একটি দালাল চক্র ও কুচক্রী মহল আমাকে বির্তকৃত করতে বিভিন্ন রকম কাগজ সৃজন আমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন দপ্তরে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে সে সব দপ্তরের কাগজ সংগ্রহ করে সাংবাদিকদের সরবরাহ করে যাচ্ছে। আমি উক্ত চক্রের এমন কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে লিখিত ভাবে জানিয়েছি। তাই এরকম সংবাদ পড়ে কাউকে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি।
সিলেট এইজ এর সম্পাদক বলেন, ‘আমার অজান্তে আমার অফিসের স্টাফদের ভুল তথ্য দিয়ে দালাল ইসলাম ও ইমরান সহ তাদের সহযোগিরা সকল মিথ্যা দিয়ে সংবাদ প্রকাশ করিয়েছে। এজন্য আমি দুঃখ প্রকাশ করছি। এসব মিথ্যা তথ্য প্রদানকারীদের বিরুদ্ধে ‘দৈনিক সিলেট এইজ’ কতৃপক্ষ ও স্টাফরা আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। ই-মেইল থেকে প্রাপ্ত সংবাদটি সম্পাদকের দৃষ্টিতে না দিয়ে প্রকাশ করায় ‘দৈনিক সিলেট এইজ’ থেকে একজন স্টাফকে অব্যাহিত দেওয়া হয়েছে। বিজ্ঞপ্তি
৬০৯ পড়েছেন