Sharing is caring!
কিছুতেই থামানো যাচ্ছে না সিলেট নগরীর ৩৬ নং ওয়ার্ডের জোনাকী আবাসিক এলাকায় অবৈধভাবে টিলা কাটা।এসব টিলাকাটার ব্যাপারে প্রশাসনের ভুমিকা নীরব।
জনশ্রুোতি রয়েছে, পরিবেশ অধিদপ্তরের লোক অভিযোগ পেলে ঘটনাস্হলে আসেন ঠিকই, কিন্তু উনারা চলে গেলে যেই লাউ সেই কদু ।
মাঝে মধ্যে লোক দেখানো অভিযান পরিচালনা হলেও তাতে এলাকাবাসীর কোন ফায়দা হচ্ছে না বরং উল্টো পকেট ভারী হচ্ছে কিছু অসাধু কর্মকর্তার। এ এলাকা ছাড়াও বিভিন্ন এলাকায়ও অবাধে চলে টিলাকাটা।
তবে ইদানিং টিলা কাটা চক্র তাদের নিয়মে পরিবর্তন এনেছে। দিনের বেলার চেয়ে রাতের বেলা তারা দেদারছে কেটে নিচ্ছে টিলা। নগরীর বিভিন্ন এলাকায় অবাধে চলছে টিলা কাটার মহোৎসব। কারণে অকারণে টিলা থেকে মাটি কেটে সাবাড় করা হচ্ছে। আর এতে হুমকিতে পড়ছে পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য।
প্রশাসনের পক্ষ থেকে বার বার অভিযান পরিচালনা করার পরও বন্ধ করা সম্ভব হচ্ছে না টিলা নিধনযজ্ঞ এর কারন হিসেবে এলাকার জনগন গুটি কয়েক অসাধু কর্মকর্তাকে দায়ী করছেন।
স্হানীয় সুত্রে জানা যায়, সিটি কর্পোরেশনের দোহাই দিয়ে নাকি টিলা কেটে মাটি বিক্রি করে দিচ্ছে। তবে অন্য একটি সুত্র থেকে জানা যায়, জোনাকী এলাকাতে নাকি ভুমি খেকো চক্রের নজর পড়েছে। ওরা এই এলাকাটিতে হাউজিং প্রকল্প গড়ে তোলার পায়তারা করছে।
আর সে কারনে ধীরে ধীরে টিলা কেটে হাউজিং করার মত পরিবেশ তৈরী করছে।এদিকে বার বার অভিযান পরিচালনা করে কোনমতেই দমানো যাচ্ছে না টিলা খেকো চক্রদের। অভিযানের পর কিছুদিন টিলা কাটা বন্ধ থাকলেও এরপর আবার শুরু হয় টিলা নিধনযজ্ঞ। এজন্য প্রশাসনের চোখকে ফাঁকি দিতে নানান কৌশল অবলম্বন করে তারা৷
দিনের বেলা টিলা কাটা কিংবা পরিবহন না করে তারা খুব ভোরে কিংবা গভীর রাতে টিলা থেকে মাটি পরিবহন করে। যার ফলে তাদের ধরা সম্ভব হয় না।
সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা গেছে, বালুচর জোনাকী এলাকায় টিলা কাটার একটি গ্রুপ রয়েছে। এরা প্রতিদিনই টিলা কেটে মাটি বিক্রি করছে। এদের মধ্যে সিলেট সিটি কর্পোরপশনের ৩৬ নংওয়ার্ডের একজন সুপারভাইজার জড়িত থাকার অভিযোগ প্রাথমিকভাবে উঠে এসেছে।
অন্যদিকে অবৈধভাবে টিলা নিধনের ফলে দিন দিন ছোট হচ্ছে এলাকার টিলা ও বনাঞ্চলের আয়তন। প্রভাবশালী টিলা খেকো চক্রের বেপোরায়া আচরণে ধ্বংস হতে চলেছে প্রাকৃতিক পরিবেশ। অভিযোগ রয়েছে, অনেকে বাড়ি বানাতে টিলা কেটে মাটি বিক্রি করছেন।
অনেকে বাড়িতে মাটি ভরাট করাতে টিলার মাটি কিনছেন৷ টিলার মাটি তুলনামূলক সস্তা হওয়ায় মানুষজন তাদের প্রয়োজনে টিলার মাটি কিনতে আগ্রহ প্রকাশ করে৷ আর মানুষের এই চাহিদাকে কাজে লাগিয়ে গড়ে উঠেছে এক একটি টিলা খেকো চক্র।
অবৈধভাবে টিলা কাটার এমন উৎসবে এলাকার পরিবেশ বিপর্যয়ের আশঙ্কা করছেন পরিবেশবিদরা। তারা বলছেন, এর ফলে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হবে। ভূমিকম্প বাড়বে।পরিবেশের উপর জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব পরিলক্ষিত হচ্ছে। অতি বৃষ্টি কিংবা খরা, সময়ে বৃষ্টি না হয়ে অসময়ে বৃষ্টিপাত বেড়েই চলেছে।
জানা যায়, প্রশাসন নামকা ওয়াস্তে অভিযান চালালেও ধরাছোঁয়ার বাহিরে থেকে যায় আসল রাগব বোয়ালরা। ফলে কিছুদিন টিলা কাটা বন্ধ থাকার পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আবারও চলে টিলা নিধন।
এ বিষয়ে সিলেট পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক মোঃ ফেরদৌস আনোয়ারের সাথে এ বিষয়ে যোগাযোগ করলে বলেন, আমরা স্হানীয় প্রশাসনকে সাথে নিয়ে অভিযানে যাব। যে বা যারা এর সাথে জড়িত তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে।
সিলেট মহানগর রাজস্ব সার্কেল সহকারি কমিশনার (ভূমি) মাহমুদ আশিক কবির বলেন, আমরা অভিযানে যাব এবং জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যাবস্হা গ্রহন করা হবে। কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।অবৈধভাবে টিলা কাটার অভিযোগ পেলে ঘটনাস্হলে আসেন উনারা চলে গেলে যেই লাউ সেই কদু ।
জনশ্রুোতি রয়েছে, পরিবেশ অধিদপ্তরের লোক অভিযোগ পেলে ঘটনাস্হলে আসেন ঠিকই, কিন্তু উনারা চলে গেলে যেই লাউ সেই কদু ।
কিছুতেই থামানো যাচ্ছে না সিলেট নগরীর ৩৬ নং ওয়ার্ডের জোনাকী আবাসিক এলাকায় অবৈধভাবে টিলা কাটা।এসব টিলাকাটার ব্যাপারে প্রশাসনের ভুমিকা নীরব।
মাঝে মধ্যে লোক দেখানো অভিযান পরিচালনা হলেও তাতে এলাকাবাসীর কোন ফায়দা হচ্ছে না বরং উল্টো পকেট ভারী হচ্ছে কিছু অসাধু কর্মকর্তার। এ এলাকা ছাড়াও বিভিন্ন এলাকায়ও অবাধে চলে টিলাকাটা।
তবে ইদানিং টিলা কাটা চক্র তাদের নিয়মে পরিবর্তন এনেছে। দিনের বেলার চেয়ে রাতের বেলা তারা দেদারছে কেটে নিচ্ছে টিলা। নগরীর বিভিন্ন এলাকায় অবাধে চলছে টিলা কাটার মহোৎসব। কারণে অকারণে টিলা থেকে মাটি কেটে সাবাড় করা হচ্ছে। আর এতে হুমকিতে পড়ছে পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য।
প্রশাসনের পক্ষ থেকে বার বার অভিযান পরিচালনা করার পরও বন্ধ করা সম্ভব হচ্ছে না টিলা নিধনযজ্ঞ এর কারন হিসেবে এলাকার জনগন গুটি কয়েক অসাধু কর্মকর্তাকে দায়ী করছেন।
স্হানীয় সুত্রে জানা যায়, সিটি কর্পোরেশনের দোহাই দিয়ে নাকি টিলা কেটে মাটি বিক্রি করে দিচ্ছে। তবে অন্য একটি সুত্র থেকে জানা যায়, জোনাকী এলাকাতে নাকি ভুমি খেকো চক্রের নজর পড়েছে। ওরা এই এলাকাটিতে হাউজিং প্রকল্প গড়ে তোলার পায়তারা করছে।
আর সে কারনে ধীরে ধীরে টিলা কেটে হাউজিং করার মত পরিবেশ তৈরী করছে।এদিকে বার বার অভিযান পরিচালনা করে কোনমতেই দমানো যাচ্ছে না টিলা খেকো চক্রদের। অভিযানের পর কিছুদিন টিলা কাটা বন্ধ থাকলেও এরপর আবার শুরু হয় টিলা নিধনযজ্ঞ। এজন্য প্রশাসনের চোখকে ফাঁকি দিতে নানান কৌশল অবলম্বন করে তারা৷
দিনের বেলা টিলা কাটা কিংবা পরিবহন না করে তারা খুব ভোরে কিংবা গভীর রাতে টিলা থেকে মাটি পরিবহন করে। যার ফলে তাদের ধরা সম্ভব হয় না।
সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা গেছে, বালুচর জোনাকী এলাকায় টিলা কাটার একটি গ্রুপ রয়েছে। এরা প্রতিদিনই টিলা কেটে মাটি বিক্রি করছে। এদের মধ্যে সিলেট সিটি কর্পোরপশনের ৩৬ নংওয়ার্ডের একজন সুপারভাইজার জড়িত থাকার অভিযোগ প্রাথমিকভাবে উঠে এসেছে।
অন্যদিকে অবৈধভাবে টিলা নিধনের ফলে দিন দিন ছোট হচ্ছে এলাকার টিলা ও বনাঞ্চলের আয়তন। প্রভাবশালী টিলা খেকো চক্রের বেপোরায়া আচরণে ধ্বংস হতে চলেছে প্রাকৃতিক পরিবেশ। অভিযোগ রয়েছে, অনেকে বাড়ি বানাতে টিলা কেটে মাটি বিক্রি করছেন।
অনেকে বাড়িতে মাটি ভরাট করাতে টিলার মাটি কিনছেন৷ টিলার মাটি তুলনামূলক সস্তা হওয়ায় মানুষজন তাদের প্রয়োজনে টিলার মাটি কিনতে আগ্রহ প্রকাশ করে৷ আর মানুষের এই চাহিদাকে কাজে লাগিয়ে গড়ে উঠেছে এক একটি টিলা খেকো চক্র।
অবৈধভাবে টিলা কাটার এমন উৎসবে এলাকার পরিবেশ বিপর্যয়ের আশঙ্কা করছেন পরিবেশবিদরা। তারা বলছেন, এর ফলে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হবে। ভূমিকম্প বাড়বে।পরিবেশের উপর জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব পরিলক্ষিত হচ্ছে। অতি বৃষ্টি কিংবা খরা, সময়ে বৃষ্টি না হয়ে অসময়ে বৃষ্টিপাত বেড়েই চলেছে।
জানা যায়, প্রশাসন নামকা ওয়াস্তে অভিযান চালালেও ধরাছোঁয়ার বাহিরে থেকে যায় আসল রাগব বোয়ালরা। ফলে কিছুদিন টিলা কাটা বন্ধ থাকার পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আবারও চলে টিলা নিধন।
এ বিষয়ে সিলেট পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক মোঃ ফেরদৌস আনোয়ারের সাথে এ বিষয়ে যোগাযোগ করলে বলেন, আমরা স্হানীয় প্রশাসনকে সাথে নিয়ে অভিযানে যাব। যে বা যারা এর সাথে জড়িত তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে।
সিলেট মহানগর রাজস্ব সার্কেল সহকারি কমিশনার (ভূমি) মাহমুদ আশিক কবির বলেন, আমরা অভিযানে যাব এবং জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যাবস্হা গ্রহন করা হবে। কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।
সিলেট সদর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মো. মাহবুবুল ইসলাম বলেন, টিলা কাটা চলছে এমন খবর পাওয়ার সাথে সাথে আমরা অভিযান পরিচালনা করি৷ কিন্তু স্পটে গিয়ে কাউকে পাওয়া যায়না।
তারা আমাদের উপস্থিতি আঁচ করতে পেরে সটকে পড়ে। যার কারণে এই চক্রের হোতাদের ধরা সম্ভব হয়না। আমরা এই চক্রকে ধরেতে প্রতিনিয়ত অভিযান চালাচ্ছি। মাটি কেটে যারা পরিবেশের ও দেশের ক্ষতি করছে তাদের ছাড় দেওয়া হবে না৷
তিনি বলেন, চক্রটি রাতের আধারে মাটি কাটছে এমন খবরও আমাদের কাছে রয়েছে। আমরা এদেরকে আইনের আওতায় আনতে ব্যবস্হা নিচ্ছি।
সিলেট সদর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মো. মাহবুবুল ইসলাম বলেন, টিলা কাটা চলছে এমন খবর পাওয়ার সাথে সাথে আমরা অভিযান পরিচালনা করি৷ কিন্তু স্পটে গিয়ে কাউকে পাওয়া যায়না।
তারা আমাদের উপস্থিতি আঁচ করতে পেরে সটকে পড়ে। যার কারণে এই চক্রের হোতাদের ধরা সম্ভব হয়না। আমরা এই চক্রকে ধরেতে প্রতিনিয়ত অভিযান চালাচ্ছি। মাটি কেটে যারা পরিবেশের ও দেশের ক্ষতি করছে তাদের ছাড় দেওয়া হবে না৷
তিনি বলেন, চক্রটি রাতের আধারে মাটি কাটছে এমন খবরও আমাদের কাছে রয়েছে। আমরা এদেরকে আইনের আওতায় আনতে ব্যবস্হা নিচ্ছি।
১২৪ পড়েছেন