• ১৪ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ৩০শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ২২শে রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

সিলেটে গ্যাসের তীব্র সংকট: ফিলিং স্টেশনে গাড়ীর দীর্ঘ লাইন, সড়কে যানজট

admin
প্রকাশিত অক্টোবর ২৮, ২০২৪
সিলেটে গ্যাসের তীব্র সংকট: ফিলিং স্টেশনে গাড়ীর দীর্ঘ লাইন, সড়কে যানজট

সিলেটে গ্যাসের তীব্র সংকট: ফিলিং স্টেশনে গাড়ীর দীর্ঘ লাইন, সড়কে যানজট

Sharing is caring!

ডেস্ক রিপোর্ট:: সিলেটে গ্যাসের সংকটের কারণে বন্ধ হয়ে গেছে অনেক পাম্প। যেগুলোতে কিছুটা গ্যাস রয়েছে, সেখানে যানবাহনের দীর্ঘ লাইন। এতে করে নগরজুড়ে সৃষ্টি হচ্ছে তীব্র যানজটের। যার কারণে প্রতিনিয়তই ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন সিএনজি ফিলিং স্টেশন মালিক-চালক ও যাত্রীরা।

সিলেটে সিএনজি ফিলিং স্টেশনে মাসের শেষদিকে গ্যাস সংকট তীব্র হয়। এই অবস্থা চলছে প্রায় এক যুগের বেশি সময় ধরে।

এ কারণে মাসের শেষদিকে এলেই ফিলিং স্টেশনগুলোতে অরাজক অবস্থা দেখা দেয়। ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়েও গ্যাস পান না পরিবহন চালকরা। সিএনজি ফিলিং স্টেশনের মালিকরা জানিয়েছেন, লোড না বাড়ানোর কারণে মাসের শেষ ১০ দিন সিলেটের পাম্প মালিকরা চাহিদামতো গ্যাস সরবরাহ করতে পারেন না।

সরেজমিন দেখা যায়, সিলেট নগরীর বিভিন্ন সিএনজি ফিলিং স্টেশনে দীর্ঘ গাড়ির লাইন। সোমবার নগরীর ইউসুফ আলী সিএনজি ফিলিং স্টেশন, আর রহমান ফিলিং স্টেশন, আল জালালা ফিলিং স্টেশন, কুশিয়ারা ফিলিং স্টেশন বন্ধ থাকার কারনে গ্যাসে তীব্র সংকট দেখা দেয়। যে কয়েকটা সিএনজি ফিলিং স্টেশন খোলা রয়েছে সেখানে দেখা গেছে প্রায় ১ কিলোমিটার জুড়ে গাড়ীর দীর্ঘ লাইন ফলে সিলেট নগর জুড়ে সৃষ্টি হয় দীর্ঘ যানজটের। এছাড়াও গত রোববার থেকে সিলেট বিভিন্ন সিএনজি ফিলিং স্টেশন বন্ধ রয়েছে। রোববার বন্ধ ছিল, সিলেট নগরীর আম্বরখানা জালালাবাদ সিএনজি ফিলিং স্টেশন, টুকেরবাজার ইন্ডিপেন্ডন ফিলিং স্টেশন, আখালালি শাহজালাল ফিলিং স্টেশন, তেমুখি সফাতউল্লাহ ফিলিং স্টেশন। কয়েকজন সিএনজি (অটোরিক্সা চালক) কয়েকজন জানান, প্রতিমাসের শেষ দিকে এসে সিলেটে গ্যাসে সংকট দেখা দেয়। যার ফলে আমরা গাড়ীর চালকসহ যাত্রীরা চরম দুর্ভোগে পড়তে হয়। ঘন্টার ঘন্টা দাড়িয়ে গ্যাস নিতে হয়। রোজগারের সময় চলে যা, আমাদের মালিকের ইনকাম দিতে হিমশীম খেতে হচ্ছে। আমাদের পরিবার চালাতে খুব কষ্ট হচ্ছে। বর্তমান সরকারের কাছে আমাদের দাবী সিলেটে যেন গ্যাস সংকটের সমাধান করেন।

এ নিয়ে তারা বার বার গ্যাস বিক্রয়কারী প্রতিষ্ঠান জালালাবাদ গ্যাস কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত ও মৌখিক আবেদন জানালেও কোনো কাজ হয়নি। বরং দিন দিন সংকট আরও তীব্র হচ্ছে। এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য সিএনজি ফিলিং স্টেশনের মালিকরা কঠোর আন্দোলনের চিন্তা-ভাবনা করছেন। মালিকরা জানিয়েছেন, ২০০৭ সাল থেকে সিলেটে সিএনজি ফিলিং স্টেশন থেকে পরিবহনে গ্যাস সরবরাহ করা হয়। বর্তমানে সিলেট বিভাগে রয়েছে ৫৬টি ফিলিং স্টেশন। গত এক দশক ধরে নতুন কোনো পাম্পের অনুমোদন দেয়া হচ্ছে না।

অন্যদিকে ২০০৭ সালের তুলনায় বর্তমানে সড়কে গাড়ি বেড়েছে চারগুণ। অথচ ২০০৭ সালের দেয়া লোড দিয়েই গ্যাস সরবরাহ করতে হচ্ছে। এ কারণে ফিলিং স্টেশনের মালিকরা প্রতি মাসের শেষ ১০ দিন গ্যাস সংকটে পড়েন। তারা জানিয়েছেন, বিক্রয়কারী প্রতিষ্ঠান জালালাবাদ গ্যাস কর্তৃপক্ষ প্রতি ফিলিং স্টেশনের মালিকদের জন্য লোড নির্ধারণ করে দিয়েছে। এর বাইরে যেসব পাম্প গ্যাস বিক্রি করেন তাদের জরিমানার মুখে পড়তে হয়।

১৯১ পড়েছেন