Sharing is caring!
জুলাই আগষ্টের বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে যোগদান ও জুলাই ফাউন্ডেশন কতৃক মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে এক লাখ টাকা অনুদান পাওয়ার কারনে জুলাই আগষ্টের যোদ্ধা আনহার হোসেনের পিতার উপর হামলা চালায় ফ্যাসিবাদের দোসর আওয়ামী লীগ নেতা তারেক ও সাইফুল।অভিযুক্তরা হলেনঃ তারেক আহমদ (৩০) পিতা: ফয়জুর রহমান, সাইফুল ইসলাম ছয়েফ (২৫) পিতা: মৃত সইফ মিয়া, উভয় সাং- হাইল ইসলামপুর, ৫নং জকিগঞ্জ সদর ইউনিয়ন, থানা: জকিগঞ্জ, জেলা: সিলেট ।এ ব্যাপারে আনহার হোসেন জানান, তারেক আহমদ ও সাইফুল ইসলাম ছয়েফ ফ্যাসিষ্ট আওয়ামীলীগের ধূসর। আমি গত জুলাই আগষ্টের বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোনের সময়ে ছাত্র আন্দোলনে অংশ গ্রহন করি। এরপর থেকে তারেক ও ছয়েফ আমাকে হুমকি প্রদর্শন করে আসছে। তখন তারা আমাকে জুলাই আগষ্টের আন্দোলনে অংশগ্রহন না করার জন্য বিভিন্ন ভাবে চাপ প্রয়োগ করত কিন্তু আমি তাদের বাধা উপেক্ষা করে আন্দোলনে অংশগ্রহন করি।আন্দোলনের পর স্বৈরাচার সরকার পতন হলেও তারা থেমে থাকে নি। একের পর এক প্রাননাশের হুমকি ধামকি সহ নানান কৌশল অবলম্বন করে আমার উপর হামলা করার। কিন্তু তারা এতে ব্যর্থ হলে গত ৯ মে শুক্রবার জুম্মার নামাজ শেষ করে বাড়ি ফেরার সময় আমার বাবার উপর হামলা চালায়। তিনি গুরুতর জখম হন। পরদিন শনিবার ১০ মে দুপুরে তারেক ও ছয়েফ আবার আমার বাড়িতে হামলায় চালিয়ে আমার ছোটভাই ও ভাতিজাকে এলোপাতাড়ি হামলা চালায়। দেশীয় অস্ত্র দা দিয়ে মাথায় ও শরীর বিভিন্ন অংশে জখম করে। বর্তমানে তাহারা সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।এব্যাপারে মোহাম্মদ কবির আহমেদ জানান, বিগত ০৪ আগষ্ট ২০২৪ সরকার পতনের ডাক দেওয়ায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আমার ছেলে আহত হয়। পরবর্তীতে জকিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা গ্রহন করে। পরদিন ০৫ আগষ্ট ২০২৪ সরকার পতন হয়। এরপর মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয় কর্তৃক জুলাই যোদ্ধা হিসাবে গেজেট প্রকাশ হইলে উক্ত গেজেটে আনহার হোসেন তালিকাভূক্ত হয়। গেজেটভুক্ত হওয়ার পর গত ০৭ মে মন্ত্রণালয় কর্তৃক এক লাখ টাকা প্রদান করা হয়,এতে তারেক ও ছয়েফ আমাদের প্রতি আরো আক্রোশ্বান্বিত হয়ে উঠে, এবং বিভিন্ন সময়ে আমাকে ও আমার পরিবারের সদস্যদেরকে মারপিট করার জন্য সূত্র খোঁজতে থাকে। যার প্রেক্ষিতে ৯ মে শুক্রবার আমার উপর হামলা হয়। শনিবার ১০ মে দুপুরে আবার আমার বসত বাড়ীতে ও হামলা চালিয়ে আমার ছোট ছেলে ও নাতনিকে কুপিয়ে জখম করে।উল্লেখ্য গত-০৯ মে শুক্রবার দুপুর দুই টার দিকে মোহাম্মদ কবির আহমদ জুম্মার আদায় শেষে বাড়ীর উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিয়া হাইল ইসলামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে রাস্তার উপর আসা মাত্র অভিযুক্তরা পুর্বপরিকল্পিত ভাবে গতিরোধ করে। তর ছেলে আনহার হোসেন দেশ ডাকাতি করিয়া এক লক্ষ টাকা পাইছে। তিনি এই কথার প্রতিবাদ করলে তারা বাকবিতন্ডায় লিপ্ত হয়। এক পর্যায়ে পাশ্ববর্তী বেড়া হইতে দুইটি বাঁশের লাঠি দিয়ে তারেক আহমদ হত্যার উদ্দেশ্যে কবির আহমেদের মাথা লক্ষ্য করে আঘাত করলে গুরুতর হাড়ভাঙ্গা জখম হয়।এসময় তাদের হাতে থাকা অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি হামলা চালিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর জখম করে। তাহার সাথে থাকা নগদ ১২০০ টাকা ছিনিয়ে নেয়। চিৎকার শুনে গ্রামবাসী এগিয়ে আসলে আসামিরা পালিয়ে যায়। এসময় হামলাকারীরা কবির আহমেদ কে আইনের আশ্রয় নিলে প্রান নাশ করার হুমকি দেয়।।পরবর্তীতে চিকিৎসা নিয়ে গত শুক্রবার ০৯ মে রাতে জকিগঞ্জথানায় অভিযোগ দায়ের করেন।এব্যাপারে জকিগঞ্জ থানার ওসি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, বিষয়টি আমি অবগত হয়েছি। তদন্ত স্বাপেক্ষে আসামিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিব।
৭০ পড়েছেন