• ১০ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ২৬শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ১৫ই মহর্‌রম, ১৪৪৭ হিজরি

আরোও কয়েকটি দলের রাজনীতি নিষিদ্ধ ও নিবন্ধন বাতিলের দাবি জানিয়েছেন জুলাই ঐক্যের নেতারা

admin
প্রকাশিত মে ১৩, ২০২৫
আরোও কয়েকটি দলের রাজনীতি নিষিদ্ধ ও নিবন্ধন বাতিলের দাবি জানিয়েছেন জুলাই ঐক্যের নেতারা

Sharing is caring!

এবার আরোও কয়েকটি দলের রাজনীতি নিষিদ্ধ ও নিবন্ধন বাতিলের দাবি জানিয়েছেন জুলাই ঐক্যের নেতারা।মঙ্গলবার (১৩ মে) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) মধুর ক্যান্টিনের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানান তারা। জুলাই অভ্যুত্থানের স্পিরিট ধারণকারী সামাজিক-রাজনৈতিক সংগঠনের জোট হিসেবে পরিচিত জুলাই ঐক্য।সংবাদ সম্মেলনে তিন দফা দাবি তুলে ধরা হয়। এর মধ্যে রয়েছে—দ্রুততম সময়ের মধ্যে বিচার কার্যক্রম সম্পন্ন করে আওয়ামী লীগকে একটি রাজনৈতিক দল হিসেবে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধ করা। দলটির নিবন্ধন চিরতরে বাতিল করা (মাত্র স্থগিত রাখা যথেষ্ট নয়) এবং আওয়ামী লীগের সব সহযোগী সংগঠনকে (রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক) নিষিদ্ধ ঘোষণা করা।এ সময় তারা আ.লীগের সহযোগী সংগঠন জাতীয় পার্টিসহ ১৪ দলের রাজনীতি নিষিদ্ধ ও নিবন্ধন বাতিলের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, ১৪ দল এবং জাতীয় পার্টি বিগত সাড়ে ১৫ বছরের আওয়ামী লীগের দুঃশাসনের মূল সহযাত্রী হিসেবে কাজ করেছে। এই রাজনৈতিক শক্তিগুলোও দায়মুক্তি পেতে পারে না। আমরা এসব দলের নিবন্ধন বাতিল ও নিষিদ্ধকরণ এবং বিচারের আওতায় আনার আহ্বান জানাই।সংবাদ সম্মেলনে কঠোর কর্মসূচির হুমকি দিয়ে মুসাদ্দিক বলেন, অন্তর্র্বতী সরকারের দেওয়া ওয়াদার ভিত্তিতে জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র ৩০ কর্মদিবসের মধ্যে দিতে হবে। না হলে ছাত্র-জনতাকে সঙ্গে নিয়ে কঠোর কর্মসূচির মাধ্যমে সব দাবি আদায়ে এগিয়ে যাবে জুলাই ঐক্য।আ.লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ এবং স্থগিত করায় সরকারকে স্বাগত জানিয়ে সংবাদ সম্মেলনে জুলাই ঐক্য প্ল্যাটফর্মের অন্যতম সংগঠক মুসাদ্দিক আলী ইবনে মুহাম্মদ বলেন, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের সব কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে গেজেট প্রকাশ এবং নির্বাচন কমিশন থেকে দলটির নিবন্ধন স্থগিত করার মাধ্যমে অন্তর্র্বতী সরকার আমাদের দাবি পূরণে একটি প্রাথমিক পদক্ষেপ নিয়েছে। স্পষ্ট করে বলতে চাই, ছাত্র-জনতার মূল দাবি ছিল আ.লীগকে দল হিসেবে চূড়ান্তভাবে নিষিদ্ধ করা এবং তাদের নিবন্ধন সম্পূর্ণ বাতিল করা। সাময়িক স্থগিতাদেশ সেই দাবির পূর্ণ প্রতিফলন নয় বলে আমরা মনে করি।

৬৫ পড়েছেন