• ১৩ই জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ৩০শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ১৭ই জিলহজ, ১৪৪৬ হিজরি

আমাদের অন্তর্র্বতী সরকারের দায়িত্ব কিন্তু প্রধানত তিনটা

admin
প্রকাশিত জুন ১১, ২০২৫
আমাদের অন্তর্র্বতী সরকারের দায়িত্ব কিন্তু প্রধানত তিনটা

Sharing is caring!

আমাদের অন্তর্র্বতী সরকারের দায়িত্ব কিন্তু প্রধানত তিনটা বলেছেন,অন্তর্র্বতী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস । বাংলাদেশে রাষ্ট্রের সব প্রতিষ্ঠানকে কুক্ষিগত করে যে ফ্যাসিবাদী শাসন বছরের পর বছর ধরে চালানো হয়েছে, সেই প্রতিষ্ঠানগুলোর সার্বিক সংস্কার ছাড়া নতুন দেশ গড়া সম্ভব নয়। এ কারণেই আমরা প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের জন্য আলাদা কমিশন তৈরি করে সেগুলোর সংস্কারে হাত দিয়েছি।বৃহস্পতিবার (১১ জুন) যুক্তরাজ্য সফরের দ্বিতীয় দিনে চ্যাথাম হাউজের ভেতরে থিঙ্কট্যাঙ্কের পরিচালক তথা প্রধান নির্বাহী ব্রনওয়েন ম্যাডক্সের কুশলী সঞ্চালনায় ঘণ্টাখানেকের অনুষ্ঠানে ড. ইউনূস প্রায় হাজারখানেক দর্শক-শ্রোতার সামনে সমকালীন নানা বিষয়ে নিজের মতামত তুলে ধরেন। সেখানে নির্বাচন আয়োজনে এতটা সময় লাগছে কেন, এমন প্রশ্নের জবাবে ড. ইউনূস  উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।এই সংস্কার বা রিফর্মস হলো আমাদের প্রথম দায়িত্ব। এরপর দ্বিতীয় দায়িত্ব হলো- ট্রায়াল, যার অর্থ জুলাই গণহত্যা বা তার আগে গুম-নির্যাতন-হত্যাকাণ্ডের জন্য যারা দায়ী, তাদের বিচারের মুখোমুখি করা। আমরা সেই প্রক্রিয়াও ইতোমধ্যে শুরু করেছি। এরপর তৃতীয়টা হলো—সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনের আয়োজন।বিএনপির মতো বড় রাজনৈতিক দল বা এমনকি সেনাবাহিনীও যেখানে ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন চাইছে, সেখানে কেন তিনি এপ্রিলের প্রথমার্ধে নির্বাচন করাতে চাইছেন, এদিন লন্ডনে তারও ব্যাখ্যা দিয়েছেন ড. ইউনূস। তবে নির্বাচনের পর নতুন রাজনৈতিক সরকার দায়িত্ব নিলে তিনি যে সেই সরকারে কোনোভাবেই যুক্ত হবেন না, সেটিও জানিয়ে দিয়েছেন।প্রধান উপদেষ্টা জানান, তার সরকার রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করেনি– শুধু বিচার না হওয়া পর্যন্ত তাদের কার্যক্রমে রাশ টানা হয়েছে। বিদেশ থেকে তাদের নেতৃত্ব যেভাবে বাংলাদেশের ভেতরে অস্থিরতা তৈরি করতে চাইছিলেন, জুলাই বিপ্লবের কাণ্ডারিদের হুমকি-ধমকি দিচ্ছিলেন, তাতে বাধ্য হয়েই আমাদের এ সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে।ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, শুধু আমি কেন, আমার মনে হয় না আমার কেবিনেটের কোনও উপদেষ্টাই সেখানে থাকতে চাইবেন।নির্বাচন আয়োজন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমাদের দেশের মানুষ প্রায় ১৭ বছর হলো কোনও সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন দেখেনি। দেশের তরুণ প্রজন্ম জানেই না স্বাধীনভাবে ভোটাধিকার প্রয়োগ করাটা কী জিনিস। আমরা তাদের জীবনে প্রথমবারের মতো সেই স্বাদ দেবো। দেখবেন, আগামী নির্বাচন হবে দারুণ উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্যে স্মরণকালের সবচেয়ে সুন্দর নির্বাচন!

পড়েছেন