• ২৩শে জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ৯ই আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ২৭শে জিলহজ, ১৪৪৬ হিজরি

নারী শিক্ষার্থীকে অচেতন করে ধর্ষণের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করছেন শিক্ষার্থীরা

admin
প্রকাশিত জুন ২০, ২০২৫
নারী শিক্ষার্থীকে অচেতন করে ধর্ষণের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করছেন শিক্ষার্থীরা

Sharing is caring!

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) এক নারী শিক্ষার্থীকে অচেতন করে ধর্ষণের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করছেন শিক্ষার্থীরা।

শুক্রবার (২০ জুন) বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের গোল চত্বরে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেন তারা।

মানববন্ধনে অভিযুক্ত দুই শিক্ষার্থীকে স্থায়ী বহিষ্কার ও সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি করেন শিক্ষার্থীরা। অভিযুক্ত দুই শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শান্ত তারা আদনান (২৩) ও স্বাগত দাশ পার্থ (২২)।মানববন্ধনে সমাজবিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী জেমিমা জামান সেলিয়া বলেন, ‘ভাবতেও আমাদের অনেক লজ্জা লাগছে যে, যাদের সাথে আমরা এতোদিন একসাথে বসে ক্লাস করেছি তারা এতোটা অমানুষ ছিল ভাবতে পারিনি। আমরা এই ধর্ষকদের সর্বোচ্চ শাস্তি চাই। আমরা চাই অভিযুক্ত দুইজনকে যেন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হয়।’মানববন্ধনে সমাজকর্ম বিভাগের অধ্যাপক ও ভয়েস ফর জাস্টিসের উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আলী আক্কাস বলেন, ‘একই ব্যাচের দুই ছেলে শিক্ষার্থী কর্তৃক মেয়ে শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ এটা আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য লজ্জাজনক। এরকম হলে সাধারণ শিক্ষার্থীরা নিজের ব্যাচমেটের কাছেই নিরাপত্তাহীনতায় ভুগবে। দেশের প্রচলিত আইনে অপরাধীর সর্বোচ্চ শাস্তি চাই আমরা। পাশাপাশি ভুক্তভোগী মেয়েকে মানসিকভাবে সাহস যোগানো আমাদের দায়িত্ব।পুলিশ ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, গত ২ মে সুরমা আবাসিক এলাকায় একটি মেসে ডেকে নিয়ে ঐ নারী শিক্ষার্থীকে অচেতন করে ধর্ষণ করেন তারা। পরে তারা ভুক্তভোগীর অজান্তে ভিডিও ধারণ করে এবং তা প্রকাশের হুমকি দিয়ে বিষয়টি গোপন রাখতে বাধ্য করেন বলে জানা যায়। এ ঘটনায় সিলেটের কোতোয়ালী থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ এর ৯ (৩) ধারা ও পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১২ এর ৮ ধারায় মামলা করেন ভোক্তভোগী শিক্ষার্থী। এর আগে গতকাল বিকালে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর বরাবর ধর্ষণের লিখিত অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী নারী শিক্ষার্থী। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের সহযোগিতায় দুজনকে আটক করেছেন পুলিশ। তাদের একজনকে ক্যাম্পাস থেকে এবং আরেকজনকে সুরমা আবাসিক এলাকা থেকে আটক করা হয়। আটকদের মধ্যে আদনান ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী ছিলেন এবং বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় হামলার ঘটনায় দায়ের করা একটি মামলার আসামিও তিনি। আটকের পর প্রক্টর অফিসে জিজ্ঞাসাবাদ করে ঘটনার প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও পুলিশ।

পড়েছেন