Sharing is caring!
পুকুর থেকে আবুল মনসুর (১৫) নামে এক মাদরাসা ছাত্রের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
মনসুর শহরতলীর বড় বহুলা দারুল ইরশাদ ওয়াদ দা’ওয়াহ আল ইসলামিয়া বহুলা মাদ্রাসার ছাত্র এবং একজন হাফেজ। আবুল মনসুর সদর উপজেলার আলাপুর গ্রামের শফিক মিয়ার পুত্র।রবিবার দিবাগত মধ্যরাতে মরদেহটি উদ্ধার করে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়।জানা যায়, মধ্যরাতে হবিগঞ্জ শহরের ঈদগাহ কেন্দ্রীয় ঈদগাহ পুকুরে ওই মাদরাসা ছাত্রের মরদেহ ভেসে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। পরবর্তীতে পুলিশে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে। যদিও তার মৃত্যুর কারণ নিয়ে ধোয়াশার সৃষ্টি হয়েছে।পুলিশ বলছে- ওই পুকুরে হয়তো গোসল করতে গিয়ে পানিতে ডুবে মৃত্যু হয়েছে তার। তবে তার পরিবার ও মাদরাসা কর্তৃপক্ষের দাবী- গভীর রাতে কে বা কারা মনসুরকে ডেকে নিয়ে পুর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী হত্যা করে ঈদগার পুকুরে মরদেহ ফেলে রাখে।এদিকে- সোমবার দুপুরে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে মনসুরের হত্যাকারীদের ২৪ ঘন্টার মধ্যে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার দাবিতে মানববন্ধন করেছে দারুল ইরশাদ ওয়াদ দা’ওয়াহ আল ইসলামিয়া বহুলা মাদ্রাসার ছাত্র-শিক্ষকবৃন্দ। এসময় বক্তব্য রাখেন- মাও. আব্দুল আজিজ শাহপুরি, মাও. সাইদুর রহমান, মাও. মহিব উদ্দিন আহমেদ সুহেল, মাঃ আবু মুছা, মাওঃ আজিজুর রহমান মানিক ও দারুল ইরশাদ ওয়াদ দা’ওয়াহ আল ইসলামিয়া বহুলা মাদ্রাসার নির্বাহী পরিচালক জাবের আল হুদা। এসময় বক্তারা নিদির্ষ্ট সময়ের মধ্যে হত্যাকারীদের গ্রেফতার না করলে কঠোর আন্দোলনের হুশিয়ারি দেন। পরে নেতৃবৃন্দ জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে গিয়ে একটি স্বারকলিপি প্রদান করেন।এ বিষয়ে সদর থানা ওসি শাহাবুদ্দিন শাহীন বলেন, প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে পুকুরের পানিতে ডুবে মৃত্যু হয়েছে তার। মরদেহের ময়না তদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ যানা যাবে। এছাড়াও পরিবার ও মাদরাসা কর্তৃপক্ষের দাবীর প্রেক্ষিতে পুলিশ বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করে দেখছে।
৩ পড়েছেন