Sharing is caring!
সেনাসদর জানিয়েছে,গুমের ঘটনায় কোনো সেনা সদস্যের সংশ্লিষ্টতা প্রমাণিত হলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।সংবাদ সম্মেলনে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিসহ সাম্প্রতিক নানা বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেন তিনি।বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) দুপুরে ঢাকা সেনানিবাসের অফিসার্স মেস ‘এ’-তে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন মিলিটারি অপারেশনস ডিরেক্টরেটের কর্নেল স্টাফ, কর্নেল মো. শফিকুল ইসলাম।নির্বাচন প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে কর্নেল শফিকুল জানান, নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে এখনও কোনো নির্দেশনা আসেনি। তবে নির্দেশনা পেলে সেনাবাহিনী অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত রয়েছে।থানাগুলোতে অস্ত্র লুট বিষয়ে তিনি বলেন, দেশে যেসব অস্ত্র লুট হয়েছে, তার মধ্যে প্রায় ৮০ শতাংশ ইতোমধ্যে উদ্ধার করা হয়েছে। বাকি ২০ শতাংশ নির্বাচনের আগেই উদ্ধার হবে বলে আমরা আশাবাদী।গুমের সঙ্গে সেনা সদস্যদের জড়িত থাকার বিষয়ে জানতে চাইলে কর্নেল শফিকুল বলেন, সেনাবাহিনীর সদস্যদের ডেপুটেশনে পাঠালেও তাদের সেনাবাহিনী থেকেই নিয়ন্ত্রণ করা হয়। অভিযোগ উঠেছে, কয়েকজন সদস্য গুমের সঙ্গে জড়িত। তদন্তে যদি প্রমাণিত হয়, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে সেনাবাহিনী যথাযথ ব্যবস্থা নেবে।গুমের শিকার ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যদের উদ্দেশে এই সেনা কর্মকর্তা বলেন, ভুক্তভোগী পরিবার যদি নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে সেনাবাহিনীর কাছে সহযোগিতা চান তাদের যথাযথভাবে সহযোগিতা করা হবে।কিশোর গ্যাং নিয়ন্ত্রণ প্রসঙ্গে কর্নেল শফিকুল ইসলাম জানান, ৪০০ জনেরও বেশি কিশোর গ্যাং সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে সেনাবাহিনী। সেনাবাহিনীর পক্ষে অলিতে-গলিতে থাকা সম্ভব না। তবে তথ্য পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সেনাবাহিনী দ্রুত গিয়ে ব্যবস্থা নিচ্ছে।দুই সপ্তাহে সেনাবাহিনী ২৬টি অবৈধ অস্ত্র ও ১০০ রাউন্ড গুলির খোঁজ পেয়েছে। আগস্ট থেকে এ পর্যন্ত উদ্ধার করা হয়েছে মোট ৯ হাজার ৬৯২টি অস্ত্র। একই সময়ে, বিভিন্ন অপরাধে জড়িত ৫৬২ জনসহ মোট ১৫ ৯ হাজার ৬৪৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে বলেও জানান এই সেনা কর্মকর্তা।
৭ পড়েছেন