Sharing is caring!
বিশ্বনাথ ও গোয়াইনঘাট উপজেলায় সদ্যঘোষিত জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) সমন্বয় কমিটি থেকে মাত্র এক দিনের ব্যবধানে তিন নেতা পদত্যাগ করেছেন।এর আগে শনিবার (১২ জুলাই) এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেন ও উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলমের স্বাক্ষরে দুই উপজেলার কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়।রোববার (১৩ জুলাই) রাতে পৃথক ফেসবুক স্ট্যাটাসে পদত্যাগের ঘোষণা দেন বিশ্বনাথ উপজেলা কমিটির যুগ্ম সমন্বয়কারী রুহুল আমিন, সদস্য মো. শাহেদ আহম্মেদ এবং গোয়াইনঘাট উপজেলা কমিটির সদস্য ফাহিম আহমদ।বিশ্বনাথ উপজেলার ১৭ সদস্যের কমিটিতে প্রধান সমন্বয়কারী করা হয় ডা. সুলেমান খানকে। যুগ্ম সমন্বয়কারী হন রুহুল আমিন এবং ৬ নম্বর সদস্য হিসেবে রাখা হয় মো. শাহেদ আহম্মেদকে।রোববার রাত সাড়ে ১১টার দিকে ফেসবুকে দেওয়া স্ট্যাটাসে রুহুল আমিন লিখেন, অদ্য যে বিশ্বনাথ উপজেলার এনসিপির নবগঠিত কমিটি গঠন করা হয়েছে, উক্ত যে পদে আমাকে রাখা হয়েছে, আমার ওই কমিটির সঙ্গে কোনো সম্পৃক্ততা নেই। আমি ওই যুগ্ম সমন্বয়কারী পদ থেকে পদত্যাগ করলাম।একইভাবে স্ট্যাটাস দিয়ে পদত্যাগ করেন মো. শাহেদ আহম্মেদ। তিনি লেখেন, কমিটিতে যে পদে আমাকে রাখা হয়েছে, তার সঙ্গে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। আমি ওই পদ থেকে পদত্যাগ করলাম।অন্যদিকে গোয়াইনঘাট উপজেলা কমিটির ১০ নম্বর সদস্য ফাহিম আহমদ (ফাহিম মোনায়েম) ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে পদত্যাগ করেন। ফেসবুকে দেওয়া স্ট্যাটাসে তিনি লেখেন, জাতীয় নাগরিক পার্টির গোয়াইনঘাট উপজেলা কমিটিতে আমাকে রাখা হয়েছে, এজন্য কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ। তবে ব্যক্তিগত কারণে আমি কমিটি থেকে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করছি। এখন থেকে আমি এই কমিটির সঙ্গে সম্পৃক্ত নই।এনসিপি সিলেট জেলার প্রধান সমন্বয়কারী নাজিম উদ্দীন শাহান বলেন, আমার জানা মতে গোয়াইনঘাটের একজন পদত্যাগ করেছে। অন্যদের বিষয়ে এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো তথ্য পাইনি। যাদের কমিটিতে আনা হয়েছে, তাদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনাই করা হয়েছিল। কেউ পছন্দের পদ না পেয়ে এমনটি করে থাকতে পারে।পদত্যাগ নিয়ে জানতে চাইলে মো. শাহেদ আহম্মেদ বলেন, কমিটিতে আমার নাম দেখে আমি নিজেই অবাক। আমার সঙ্গে কেউ কোনো কথা বলেনি। পরিচিত নাম হওয়ায় হয়তো কেউ এমন করেছে। আমি রাজনীতি করি না, শুধু লেখালেখি করি।ফাহিম আহমদের ফোন নম্বরে কল করলে অন্য একজন রিসিভ করে বলেন, আমি ফাহিম না। ওর নম্বর দিচ্ছি বলে লাইন কেটে দেন।পরে আর তাকে পাওয়া যায়নি।
৭৫ পড়েছেন