• ১৯শে ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ৪ঠা পৌষ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ২৮শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি

ঘুমধুম সীমান্ত এলাকায় গুলির শব্দ আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার সীমান্তবর্তী গ্রামগুলোতে

admin
প্রকাশিত আগস্ট ১১, ২০২৫
ঘুমধুম সীমান্ত এলাকায় গুলির শব্দ আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার সীমান্তবর্তী গ্রামগুলোতে

Sharing is caring!

ঘুমধুম সীমান্ত এলাকায় বহুদিন পর ফের শোনা গেলো গুলির শব্দ। রোববার রাতে মিয়ানমারের ভেতরে থেমে থেমে চলা গোলাগুলির শব্দে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার সীমান্তবর্তী গ্রামগুলোতে।স্থানীয়দের দাবি, মিয়ানমারের তুমব্রু এলাকার নারিকেল বাগিচা সংলগ্ন স্থানে বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির দুটি ক্যাম্প রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, সেখানেই বড় ধরনের সংঘর্ষ হয়েছে।সোমবার (১১ আগস্ট) ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ৩৪ বিজিবি কক্সবাজার ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল এস এম খায়রুল আলম।৩৪ বিজিবি কক্সবাজার ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল এস এম খায়রুল আলম বলেন, সীমান্তের ৩৪ ও ৩৫ নম্বর পিলার সংলগ্ন শূন্য রেখা থেকে ৩০০ থেকে ৩৩০ মিটার ভেতরে এই গোলাগুলি হয়। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, আরাকান আর্মির সঙ্গে বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন আরসা বা আরএসও-র সংঘর্ষ ঘটেছে।তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের ভেতরে কোনো গুলি আসেনি এবং ঘটনাটি সম্পূর্ণ মিয়ানমারের অভ্যন্তরে ঘটেছে। তবে বিজিবি সতর্ক অবস্থানে আছে এবং পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে।ঘুমধুম ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী গ্রামের বাসিন্দা মাহামুদুল হাসান বলেন, অনেক দিন পর আবার গুলির শব্দ শুনতে পেলাম। রাত ১০টার পর থেকে দীর্ঘ সময় ধরে এ শব্দ শোনা যায়, তবে আসলে কী হয়েছে তা আমরা জানি না।২০২৩ সালের অক্টোবরে মিয়ানমারের সামরিক জান্তার বিরুদ্ধে সশস্ত্র প্রতিরোধ শুরু করে আরাকান আর্মি। দীর্ঘ লড়াইয়ের পর ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে তারা মিয়ানমার-বাংলাদেশ সীমান্তের রাখাইন অংশের ২৭১ কিলোমিটার নিয়ন্ত্রণে নেয়ার দাবি করে।

২৮১ পড়েছেন