Sharing is caring!
ঐতিহ্যের প্রতিক কিনব্রিজ। ঝুঁকিপূর্ণ বিবেচনায় এই ব্রিজ দিয়ে যানবাহন পারাপার বন্ধ অনেক দিন ধরে। চলছে কেবল মোটরসাইকেল। আর এর সুযোগ নিয়েছেন নগরীর ক্ষুদ্র ও ভাসমান ব্যবসায়ীরা।সিলেটের নবাগত জেলা প্রশাসকের দেওয়া প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী শনিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত অভিযান চালানো হয় কিনব্রিজের উপর।কিনব্রিজ দখল করে তারা চালিয়ে যাচ্ছিলেন বাণিজ্য। তবে এবার তাদের কপাল পুড়েছে। ব্রিজটি থেকে তাদের উচ্ছেদ করা হয়েছে।সিলেট সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রেজা-ই রাফিসন সরকার ও জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের নেতৃত্বে অভিযান চলে।এসময় কিনব্রিজের ব্যবসায়ীরা দ্রুত তাদের মালামাল নিয়ে কেটেপড়েন।এদিকে সিলেট জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার মো. পারভেজ জানান, দুপুরের পর জেলা প্রশাসক সারোয়ার আলম কিনব্রিজ পরিদর্শন করেছেন। তিনি হকারদের ব্রিজ বা রাজপথ দখলের ব্যাপারে কঠোর অবস্থান নিয়েছেন।তিনি আরও জানান, লালদিঘীরপাড় হকার্স মার্কেটে যেতে সব হকারকে। সেটি সম্পূর্ণ প্রস্তুত হতে সপ্তাহখানেক সময় লাগবে। এ সময়টাতে হকাররা ফুটপাতে বসতে পারবেন। রাজপথে নামলেই তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।সিলেট সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রেজাই রাফিন সরকার বলেন, হকারদের জন্য লালদিঘীরপাড় হকার্স মার্কেট প্রস্তুত আছে। যা ঘাটতি আছে আমরা তাও ঠিকঠাক করে দিচ্ছি। তাদের সেখানে বসতে হবে।পরে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীও সিসিক কর্মকর্তাদের নিয়ে কিনব্রিজ পরিদর্শন করেন।কিনব্রিজ সিলেটের ঐতিহ্যের প্রতিক হলেও সম্প্রতি ব্রিজটি রীতিমতো একটা বাজারে পরিণত হয়েছিল। প্রতিদিন সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত মাছ তরিতরকারি থেকে শুরু করে কাপড়চোপড়, ঘড়ি, টুথপেস্ট, টুথব্রাশ, নিত্য ব্যবহার্য অন্যান্য পণ্য সামগ্রী, পেঁয়াজ মরিচসহ মসলা জাতীয পণ্যের পসরা সাজিয়ে বসতেন ছোটো ব্যবসায়ীরা।উচ্ছেদের ব্যাপারে দীর্ঘদিন থেকে জোর দাবি করছিলেন সচেতন নাগরিকবৃন্দ। তবে তা আর হয়ে উঠছিলনা।
২ পড়েছেন