Sharing is caring!
দেশের বিভিন্ন জায়গায় রাস্তায় পড়ে থাকা বেওয়ারিশ মানুষের আশ্রয়স্থল থাকলেও নেই প্রবাসী অধ্যুষিত সিলেটে। প্রতিনিয়ত সিলেটের রাস্তাঘাটে দেখা যায় বেওয়ারিশ নারী-পুরুষ। কখনো কাপড় পরিহিত, কখনো উলঙ্গ কিংবা অর্ধউলঙ্গ। রাস্তায় পঁচে গলে অসুস্থ হয়ে মরছে এই মানুষগুলো। এবার এই বেওয়ারিশ মানুষগুলোর জন্য হচ্ছে আবাসনেরৃ ব্যবস্থা। সিলেট এয়ারপোর্ট এলাকার নয়াবাজারের নেছারাবাদ হাউজিং এ গড়ে উঠবে তাদের জন্য একটি আবাসন। সিলেটে বেওয়ারিশ মানুষদের নিয়ে কাজ করা ফেসবুক ভিত্তিক পেইজ মানুষের জন্য এর সংগঠন জীবন ফাউন্ডেশন এই উদ্যোগ নিয়েছে। দীর্ঘ দিন থেকে সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় এই স্বেচ্ছাসেবী টিম বেওয়ারিশদের চুল কাটা, গোসল করানো, কাপড় দেয়া, চিকিৎসাসহ্ বিভিন্ন সেবা দিয়ে আসছিল। তবে এবার সেই সেবার পাশাপাশি বেওয়ারিশদের আবাসনের ব্যবস্থা বাস্তবায়নের পথে। গতকাল বিকেলে এয়ারপোর্ট এলাকার নয়াবাজারের নেছারাবাদ হাউজিং এ একটি সাইনবোর্ড সাটানো হয়েছে। সাইনবোর্ডে লেখা রয়েছে বেওয়ারিশ মানুষের আশ্রয় কেন্দ্র, সিলেট প্রকল্পের নির্ধারিত স্থান। মূলত এই হাউজিং এ দশ ডেসিমেল জায়গা দান করেছেন জকিগঞ্জের বিরশ্রী ইউনিয়নের লন্ডন প্রবাসী গোলাম মরতুজা চৌধুরী ইকবাল দম্পতি। মূলত এই দম্পতি নিজেদের জন্য একটি বাসা বানানোর জন্য কিনেছিলেন। কিন্তু সিলেটে বেওয়ায়রিশ মানুষের কোন আশ্রয়স্থল না থাকায় এই জায়গাটিতে আশ্রয়স্থল গড়ে তুলার জন্য দান করে দিয়ে মানবতার এক নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন তাঁরা। গতকাল সাইনবোর্ড সাটানোর সময় উপস্থিত ছিলেন জীবন ফাউন্ডেশনের সদস্যদের মধ্যে জুনেদ আহমদ চৌধুরী, শহিদুজ্জামান স্বপন, মাজহারুল ইসলাম জয়নাল, শাকিল জামান, আহমেদ ফেরদৌস সাকের, রেদোয়ানুর রহমান, শহিদ খান, শাহিদুজ্জামান সুজান, আতিকুর রহমান ও মিনশাদ আলম চৌধুরী।উল্লেখ্য, আগামী ২০২৬ সনের জানুয়ারি মাসে এই জায়গায় ঘর বানানোর কাজ শুরু হবে। তবে সংগঠনের সদস্যরা জানিয়েছেন, তাদের ফান্ডে কোন টাকা নেই। কিন্তু প্রয়োজন অনেক টাকা। সিলেট ও প্রবাসীদের উপর আশাভরসা রেখেই কাজ শুরু করতে চান তারা।
২ পড়েছেন