Sharing is caring!

স্টাফ রির্পোটার: সিলেট নগরীর বিমানবন্দর থানা এলাকায় এক লন্ডন প্রবাসীর বাসার দরজা, জানালা, ঘরের টিনের চালাসহ বাসায় থাকা মূল্যবান আসবাবপত্র লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। সেই লুটপাটে নেতৃত্ব দিয়েছেন তার সৎ ভাই। সিলেট বিমান বন্দর থানায় দায়ের করা মামলা সূত্রে জানা যায়, চলতি মাসের ৪ সেপ্টেম্বর মজুমদারি কোনাপাড়া সজিনা মঞ্জিল ৫২ নং বাসায় এ লুটপাট সংঘটিত হয়। এঘটনায় লন্ডন প্রবাসীর পক্ষে আজিজুল হক বাদী হয়ে এসএমপি’র বিমানবন্দর থানায় অভিযোগ দাখিল করেন। লুট হওয়া মালামাল উদ্ধারে পুলিশী অভিযান অব্যাহত আছে বলে জানিয়েছেন বিমানবন্দর থানা পুলিশ।
স্থানীয় এবং পুলিশ সূত্র জানায়, সুনামগঞ্জ জেলার বাউরকাপন গ্রামের মৃত নজিব উল্লার ছেলে মো. নানু মিয়া (৪০) লন্ডন প্রবাসী আখলুছ মিয়া ওরফে কাচা মিয়ার সৎ ভাই। আর থানায় অভিযোগকারি হচ্ছেন আজিজুল হকের সৎ চাচা। মজুমদারী কোনাপাড়া সজিনা মঞ্জিল বাসাটির স্বত্বাধিকারী আজিজুল হকের বাবা মৃত নছির মিয়া এবং যুক্তরাজ্য প্রবাসী চাচা আখলুছ মিয়া ওরফে কাচা মিয়া। যুক্তরাজ্য প্রবাসী আখলুছ মিয়া ওরফে কাচা মিয়া সৎ ভাই নানু মিয়াকে বাসাসহ গ্রামের বাড়ি এবং জমিজমা দেখাশোনা করার দায়িত্ব প্রদান করেন। এছাড়া বাসার উন্নয়নমূলক বিভিন্ন কাজ এবং জমিজমা সংক্রান্তে খরচ প্রদানের জন্য লন্ডন থেকে অনেক টাকা পয়সা পাঠান। নানু মিয়া বিশ্বাস ভঙ্গ করে প্রতারণার মাধ্যমে টাকা সঠিক ভাবে না করে টাকা পয়সা আত্মসাৎ করা শুরু করে। পরবর্তীতে লন্ডন প্রবাসী এসব শুনে নানু মিয়াকে বাসা ছাড়ার জন্য বললে সে উল্টো ২,৬৩,০০০/-টাকা দাবী করে। বাসা উদ্ধারের স্বার্থে দাবিকৃত টাকাও পরিষোধ করা হয়। টাকা দিয়ে বাসার চাবি ও জমিজমার কাগজ সালিশকারিদের কাছে সমজাইয়া দেওয়ার পর বাসাটির গ্রীল, দরজা তালাবদ্ধ করে সবাই তাদের স্থায়ী ঠিকানায় চলে যান। সবাই চলে যাওয়ার পর মো. নানু মিয়া পরিকল্পিতভাবে তার সঙ্গীয় অজ্ঞাতনামা ১০/১৫জন লোক নিয়ে সন্ধ্যা অনুমান ৭টার দিকে লন্ডন প্রবাসীর ওই বাসার গ্রীল, দরজা, জানালা, টিন খুলিয়া নেয় এবং বাসার ভিতরে থাকা সকল ফার্নিচার (সোফা সেট, পালঙ্ক, আলনা ইত্যাদি), হাড়ি-বাসন, ইলেকট্রিক মালামাল সহ যাবতীয় আসবাবপত্র ট্রাক যোগে নিয়ে যায়। লুটপাটকৃত মালামালের মূল্য প্রায় ১৫ লক্ষ টাকা। এ সময় টিপু মিয়া নানু মিয়াসহ অজ্ঞাতনামা বিবাদীদেরকে লুটপাটে বাঁধা দিলে তাকে খুন করার হুমকি দেয় লুটকারিরা।
এ ব্যাপারে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) সাইফুল ইসলাম জানান, প্রবাসীর বাসার লুটপাটের বিষয়টি তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এসএমপি’র বিমানবন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ সৈয়দ আনিছুর রহমান জানান, লন্ডন প্রবাসীর বাসার লুটপাটের বিষয়ে উনার ভাতিজা আজিজুল হক বাদী হয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। এখনোও বিষয়টি তদন্তাধীন। আর মালামাল উদ্ধারে কাজ করছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা
১৬৯ পড়েছেন