Sharing is caring!
সুপার টাইফুন রাগাসা হংকং উপকূলের কাছাকাছি চলে এসেছে । বছরের সবচেয়ে শক্তিশালী এ সামুদ্রিক ঝড়ের কারণে দেশটিতে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।সুপার টাইফুন রাগাসার বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ২২০ কিলোমিটার। হংকংয় অবজারভেটরি জানিয়েছে, রাগাসার ‘মারাত্মক প্রভাব পড়তে পারে গুয়াংডংয়ে’। চীনের এ প্রদেশটি হংকংয়ের বাণিজ্যিক হাবের পাশে অবস্থিত।টাইফুনের প্রভাবে ভারী বৃষ্টিপাতে হংকংয়ের অনেক অঞ্চল পানিতে প্লাবিত হতে পারে।বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, টাইফুন আঘাত হানার আগে হংকংয়ের প্রায় সবকিছু বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সাধারণ মানুষকে বাড়িতে থাকার নির্দেশনা দিয়েছে। অপরদিকে বেশিরভাগ যাত্রীবাহী বিমান চলাচল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত স্থগিত করা হয়েছে।অনেক মানুষ তাদের ঘরবাড়ির জানালাগুলোতে স্কচটেপ লাগিয়ে দিয়েছেন। যেন ঝড়ের আঘাতে কাঁচ ভেঙে গেলেও সেগুলো কারও কোনো ক্ষতি করতে না পারে।দোকানপাট দুইদিন বন্ধ থাকতে পারে এমন আতঙ্ক থেকে সাধারণ মানুষ সুপার মার্কেটগুলোতে হুমড়ি খেয়ে পড়েছেন। আতঙ্কগ্রস্ত মানুষ যা পাচ্ছেন তা কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। এতে করে মার্কেটগুলোর জিনিসপত্রের শেলফগুলো খালি হয়ে গেছে। মানুষ প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র মজুদ করে রেখেছেন।সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) সুপার টাইফুনটি ফিলিপাইনে আছড়ে পড়ে। বুধবার মধ্যরাতে গুয়াংডংয়ের উপকূলে এটি আঘাত হানতে পারে। এখানে আঘাত হানার আগ পর্যন্ত এটি সুপার টাইফুনের শক্তি ধরে রাখবে।গুয়াংডংয়ের স্থানীয় কর্তৃপক্ষ ৩ লাখ ৭০ হাজার মানুষকে সরিয়ে নিয়েছে বলে জানিয়েছে বার্তাসংস্থা সিনহুয়া।হংকং টাইফুনের সতর্কতা-৮ জারি করেছে। যা তৃতীয় সর্বোচ্চ সতর্কতা। এই সতর্কতা দিয়ে সবধরনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও পরিবহণ সেবা বন্ধ রাখার অনুরোধ জানানো হয়েছে। এই নির্দেশনার প্রভাব পড়েছে ৭০০টিরও বেশি ফ্লাইটে। যারমধ্যে ম্যাকাও ও তাইওয়ানও রয়েছে।আজ মঙ্গলবার দিনের শেষ থেকে হংকংয়ের আবহাওয়া পরিস্থিতি খারাপ হতে শুরু করবে। হংকং অবজারভেটরি জানিয়েছে, টাইফুন সতর্কতা বৃদ্ধি করা হবে কি না সে ব্যাপারে নিতে মঙ্গলবার রাতে ও বুধবার সকালে আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ করা হবে।
সূত্র: রয়টার্স
২২ পড়েছেন