Sharing is caring!
বিভিন্ন দেয়ালে দেয়ালে জুলাই আন্দোলনের সময় গ্রাফিতি লেখা হয়েছিল। ফুঠিয়ে তেলা হয়েছিল আন্দোলনের নানা চিত্রকর্ম। এছাড়াও লেখা হয়েছিল ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে নানা শ্লোগান। কিন্তু এবার রাতের আধারে জুলাই আন্দোলনের সেই গ্রাফিতি কালো কালি দিয়ে মুছে ফেলা হয়েছে। কোন কোন দেয়ালে আবার লোখা হয়েছে ‘জয় বাংলা’।আবার কোথায় লোখা হয়েছে হবিগঞ্জ-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আবু জাহির’র নাম। যা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এখন চলছে নানা আলোচনা ও সমালোচনা।এদিকে- ছাত্রলীগ কর্তৃক জুলাই আন্দোলন এবং ছাত্র ইউনিয়নের গ্রাফিতি নষ্ট করার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন হবিগঞ্জ জেলা সংসদ।
হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসি সাহাব উদ্দিন শাহীন বলেন, এ ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে তারা এই দাবী জানান।বিজ্ঞপ্তিতে তারা উল্লেখ করেন- গেল ১৭ বছর ধরে এদেশের ছাত্র জনতার উপর চরম অত্যাচার ও নিপীড়ন চালিয়েছে স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকার ও তাদের সন্ত্রাসী বাহিনী ছাত্রলীগ। দেশের প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্রলীগ সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি ও দমন-পীড়নের মাধ্যমে শিক্ষার অধিকার খর্ব করেছে এবং শিক্ষা ব্যবস্থা সম্পূর্ণ ধ্বংস করেছে।ছাত্র জনতার প্রবল প্রতিরোধের মুখে ২০২৪ সালের জুলাই আন্দোলনের মাধ্যমে স্বৈরাচারি আওয়ামি সরকারের পতনের সাথে সাথে তার সহযোগী সংগঠন ছাত্রলীগকে প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে বিতাড়িত করা হয় এবং সারাদেশে এই সংগঠনকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। জুলাই আন্দোলন ও তার পরবর্তী সময়ে দেশের শিক্ষার্থীরা দেয়ালে দেয়ালে স্বৈরাচার বিরোধী প্রতিবাদী গ্রাফিতি আঁকেন।আমরা বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন হবিগঞ্জ শহরের শিক্ষার্থীরা কোনোভাবেই নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের জুলাই আন্দোলনকে মুছে দেওয়ার ষড়যন্ত্র মেনে নেবে না। এই শহরের দেয়ালে আঁকা প্রতিটি প্রতিবাদী গ্রাফিতি হলো ছাত্র জনতার সংগ্রামের প্রতীক, স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের দলিল। তাই এগুলো ধ্বংস করার যে কোনো চেষ্টা আসলে জুলাই আন্দোলনের অর্জনকে মুছে ফেলার অপচেষ্টা, যা কখনো সফল হবে না। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়- গ্রাফিতি নষ্ট করার সঙ্গে জড়িত ছাত্রলীগের কর্মীদের দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা প্রশাসনের দায়িত্ব। তা না হলে শিক্ষার্থীরা নিজেরাই প্রতিরোধ গড়ে তুলতে বাধ্য হবে।
৪৬ পড়েছেন