• ১৬ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ৩১শে আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ২৪শে রবিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি

এমএ মালিককে সতর্ক করল বিএনপি, ব্যবস্থা গ্রহণের হুঁশিয়ারি

admin
প্রকাশিত অক্টোবর ৩, ২০২৫
এমএ মালিককে সতর্ক করল বিএনপি, ব্যবস্থা গ্রহণের হুঁশিয়ারি

Sharing is caring!

স্টাফ রির্পোটার: বিমানবন্দরে দুর্ভোগ ও জনমনে বিরক্তি সৃষ্টির জন্য চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও যুক্তরাজ্যের সভাপতি এমএ মালিককে সতর্ক করেছে বিএনপি। বুধবার (১ অক্টোবর) বিএনপির কেন্দ্রীয় দপ্তর থেকে চিঠি দিয়ে তাকে সতর্ক করা হয়। ‘বিমানবন্দরে দুর্ভোগ ও জনমনে বিরক্তি সৃষ্টি প্রসঙ্গে’ শিরোনামে বুধবার এম এ মালিককে সতর্ক করে চিঠি দেওয়া হয়। বিএনপির কেন্দ্রীয় দপ্তরের দায়িত্বশীল সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। এম এ মালিক যখনই লন্ডন থেকে ঢাকায় পৌঁছান, আবার ঢাকা থেকে সিলেটে নিজ এলাকায় যান, তখনই দুই বিমানবন্দরে অনেক জনসমাগম হয়। দলের নেতা-কর্মীদের অনেকের অভিযোগ, তিনি আগে থেকে লোকজনকে বিমানবন্দরে সংগঠিত করেন, এতে বিমানবন্দরে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হয়। সাধারণ যাত্রীরা বিরক্ত হন। সর্বশেষ সোমবার এম এ মালিক লন্ডন থেকে সিলেট আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছালে তাঁর সমর্থক স্থানীয় নেতা-কর্মীরা তাঁকে স্বাগত জানান। বিমানবন্দরে তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে কথাও বলেন।
বুধবার বিকালে বিমানে তিনি সিলেটে আসেন। এ সময়ও ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত ও বিদায় জানাতে লোকসমাগম হয়। এম এ মালিক সিলেট-৩ আসন (দক্ষিণ সুরমা, ফেঞ্চুগঞ্জ ও বালাগঞ্জ) থেকে বিএনপির মনোনয়নে নির্বাচন করতে চান। এ লক্ষ্যে তিনি এলাকায় যাওয়া–আসা শুরু করেছেন।
এর আগে গত বছরের ১৩ অক্টোবর এম এ মালিক ১৬ বছর পর লন্ডন থেকে দেশে আসেন। তাঁর ফেরা উপলক্ষে ঢাকা ও সিলেট বিমানবন্দরে কয়েক হাজার নেতা-কর্মী জড়ো করা হয়। এম এ মালিককে সতর্ক করে বিএনপির নোটিশে বলা হয়েছে, ‘আপনি বিদেশ থেকে দেশে আসা-যাওয়ার সময় হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর বা সিলেট ওসমানী বিমানবন্দরে আপনাকে স্বাগত ও বিদায় জানানোর সময় অসংখ্য লোক সমাগম করেন, যা অপরিণামদর্শী কাজ এবং তাতে জনদুর্ভোগ তীব্রতর হয়। আপনার অবিবেচনাপ্রসূত এই কর্মকাণ্ডে বিমানবন্দরে অসংখ্য যাত্রীকে বিড়ম্বনা ও কষ্টকর পরিস্থিতির মধ্যে পড়তে হয়। ইতিপূর্বেও আপনি বিমানবন্দরে মাত্রাতিরিক্ত লোকসমাগম ঘটিয়ে বিমানবন্দর এলাকার আশপাশের সড়কগুলোতে তীব্র যানজটের সৃষ্টি করেন।’ নোটিশে আরও বলা হয়, দলের একজন দায়িত্বশীল নেতা হিসেবে এ ধরনের লোকসমাগম সাংগঠনিক নীতির পরিপন্থী, যা দৃষ্টিকটু ও জনমনে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে।
নোটিশে এখন থেকে এম এ মালিককে দেশে আসা ও বিদেশে যাওয়ার সময় বিমানবন্দরে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করে লোকসমাগম করলে তাঁর বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণের হুঁশিয়ারি জানানো হয়। এ প্রসঙ্গে এম এ মালিক বলেন, ‘আমি তো কাউকে অর্গানাইজ করি না। নেতা-কর্মীরা আমাকে ভালোবেসে আসেন। কারণ, আমি বিএনপির একজন ত্যাগী কর্মী, একজন যোদ্ধা। আমি লন্ডনে শেখ হাসিনার চায়ের দাওয়াত প্রত্যাখ্যান করেছিলাম। বিগত আন্দোলনে আমার ভূমিকার কারণে নেতা-কর্মীরা হয়তো আমাকে ভালোবাসেন। দল যেহেতু সতর্ক করেছে, ভবিষ্যতের জন্য এ বিষয়ে আমি সতর্ক থাকব।’

৪০ পড়েছেন