
হবিগঞ্জের আজমীরীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক ডা. লোকমান মিয়ার বিরুদ্ধে ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের একাধিক মামলা থাকলেও তিনি প্রকাশ্যে পৌর শহরে ক্লিনিক চালু করে দাপটের সঙ্গে চলাফেরা করছেন। স্থানীয়দের অভিযোগ, পুলিশ রহস্যজনকভাবে নীরব ভূমিকা পালন করছে।২০২৫ সালের ৮ মে আজমীরীগঞ্জ উপজেলার বিরাট গ্রামের উজানপাড়ায় আটটি বাড়িঘরে ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ডা. লোকমানসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়। এ ঘটনায় স্থানীয় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের অভিযোগ, পুলিশ এখনো কাউকে গ্রেফতার করেনি। বরং উল্টো ক্ষতিগ্রস্তদের বিরুদ্ধেই মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে।ঘটনার পর মানবাধিকারকর্মী ও স্থানীয় সাংবাদিক মো. হুমায়ুন কবির লিখিতভাবে সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি ও হবিগঞ্জের পুলিশ সুপারের কাছে অভিযোগ করলেও কার্যত কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এমনকি গত ১৭ মে বিরাট গ্রামের মাঠে এক সালিশ বৈঠকের সময় থানার ওসি শফিকুল ইসলাম উপস্থিত থাকলেও ক্ষতিগ্রস্ত জজ মিয়া ও তার পরিবারের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে।জজ মিয়া অভিযোগ করেন, “আমরা দীর্ঘদিন ধরে রাজনৈতিকভাবে নির্যাতিত হচ্ছি। আমাদের বাড়িঘর ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করা হলেও আসামিদের পুলিশ গ্রেফতার করছে না। বরং আমাদের নামে মিথ্যা মামলা দেওয়া হচ্ছে। এমনকি আমাদের গরু-নৌকা পর্যন্ত চুরি হয়ে গেলেও পুলিশ কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।তিনি আরও জানান, মামলার প্রধান আসামি ডা. লোকমান মিয়া এবং তার ভাই উপজেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন মিয়াকে চার্জশিট থেকে বাদ দেওয়ার চেষ্টা চলছে।এ বিষয়ে হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার এ এন এম সাজেদুর রহমান বলেন, “মামলার তদন্ত শেষে চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে। বাদীর আপত্তি থাকলে তিনি আদালতে চার্জশিটের বিরুদ্ধে নারাজি দিতে পারবেন।
সম্পাদক ও প্রকাশক : মোঃ আব্দুল হালিম সাগর মোবাইল : ০১৭২২-০৬২২৭৪ প্রধান ফটো সাংবাদিক : কামাল হোসেন মিঠু অফিস :- ৪০৬ রংমহল টাওয়ার (৪র্থ তলা) বন্দরবাজার সিলেট-৩১০০। ই-মেইল : halimshagor2011@gmail.com, sylhetage2022@gmail.com
All rights reserved © 2025 sylhetage.com