• ১৬ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ৩১শে আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ২৪শে রবিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি

ইসরায়েল সফরে চরম অপমানজনক এক পরিস্থিতির শিকার ট্রাম্প

admin
প্রকাশিত অক্টোবর ১৩, ২০২৫
ইসরায়েল সফরে চরম অপমানজনক এক পরিস্থিতির শিকার ট্রাম্প

Sharing is caring!

ইসরায়েল সফরে গিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তেল আবিবে অবতরণের পর তিনি ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কাছ থেকে উষ্ণ সংবর্ধনা পেলেও চরম অপমানজনক এক পরিস্থিতির শিকার হয়েছেন নেসেটে (ইসরায়েলের পার্লামেন্ট) বক্তব্য রাখতে গিয়ে।

সোমবার (১৩ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে আল জাজিরা।প্রতিবেদন অনুযায়ী, এদিন স্থানীয় সময় সকাল ১০টার দিকে ইসরায়েলের বাণিজ্যিক রাজধানী তেল আবিবের বেন গুরিয়ন বিমানবন্দরে পা রাখেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এ সময় তাকে স্বাগত জানান স্বয়ং ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।ইসরায়েলি এ আইনপ্রণেতা আরও লিখেন, ‘আমি আজ এখানে আছি শুধু যুদ্ধবিরতি এবং সামগ্রিক চুক্তির কারণে।’ওদেহ তার বক্তব্যে জোর দিয়ে বলেন,‘শুধুমাত্র দখলদারিত্বের অবসান এবং ইসরায়েলের পাশাপাশি ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেয়ার মাধ্যমেই ন্যায়বিচার, শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব।পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী, ইসরায়েলের পার্লামেন্টে ভাষণ দিতে যান ট্রাম্প। কিন্তু, তিনি ভাষণ শুরু করতেই হট্টগোল বেঁধে যায় নেসেটে। ট্রাম্পের বক্তৃতা থামিয়ে প্রতিবাদ জানান আইনপ্রণেতা আয়মান ওদেহ।ট্রাম্পের ভাষণের মাঝে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেয়ার দাবি জানিয়ে একটি কাগজ উঁচুতে তুলে ধরেন তিনি। সেখানে লেখা ছিল, ‌‌‘আগে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিন।নেসেট স্পিকার আমির ওহানা হট্টগোল থামানোর জন্য আইনপ্রণেতাদের প্রতি আহ্বান জানান। এ সময় দ্রুত পার্লামেন্ট থেকে টেনেহিঁচড়ে বের করে দেওয়া হয় প্রতিবাদ জানানো ওই আইনপ্রণেতাকে।নিজের বক্তব্য চালিয়ে যান ট্রাম্প। গাজায় যুদ্ধবিরতি ও স্থিতিশীলতা নিয়ে বক্তব্য দিতে গিয়ে তিনি এটিকে ‘ঐতিহাসিক ভোর’ হিসেবে বর্ণনা করেন এবং বলেন, ‘আজ আকাশ শান্ত, বন্দুক নীরব, পবিত্র ভূমিতে এখন শান্তি বিরাজ করছে।’ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে ‘অসাধারণ সাহসী মানুষ’ বলেও আখ্যা দেন ট্রাম্প।ট্রাম্পের বক্তৃতার আগেই আয়মান ওদেহ তার এক্স (সাবেক টুইটার) অ্যাকাউন্টে পোস্ট করে লিখেন, ‘পার্লামেন্টের ভেতরে যে পরিমাণ ভণ্ডামি চলছে, তা অসহনীয়। এক সমন্বিত নাটকীয় উপায়ে নেতানিয়াহুকে প্রশংসার বন্যায় ভাসানো-যা আগে কখনো দেখা যায়নি-তাতে গাজায় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের দায় কিংবা লাখো ফিলিস্তিনি ও হাজারো ইসরায়েলি নাগরিকের রক্তের দায় থেকে তিনি (নেতানিয়াহু) এবং তার সরকার মুক্ত হতে পারেন না।’

১৫ পড়েছেন