Sharing is caring!
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের মন্তব্য করে বলেন,জাতীয় নির্বাচনের দিন গণভোট আয়োজন করা হলে ‘আম ও ছালা দুইটাই যাবে’। তিনি জাতীয় নির্বাচনের আগেই জুলাই সনদ বাস্তবায়নে নভেম্বর মাসে পৃথকভাবে গণভোট করার দাবি জানিয়েছেন।বৈঠকে চার নির্বাচন কমিশনার ও ইসি সচিব উপস্থিত ছিলেন এবং জামায়াতের ৫ সদস্যের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন ডা. তাহের।সোমবার (১৩ অক্টোবর) দুপুরে আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এম এম নাসির উদ্দিনের নেতৃত্বে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের সামনে এসব কথা বলেন। তিনি হুঁশিয়ারি দেন, জাতীয় নির্বাচনের দিন যদি গণভোট হয় আর কোনো ঝামেলা হয়, তাহলে আম-ছালা দুটোই যাবে।জামায়াত নেতা বলেন, জাতীয় নির্বাচন এবং জুলাই সনদকে সাংবিধানিকভাবে ভিত্তি দেওয়ার জন্য যে গণভোট, এই দুটি বিষয় একসঙ্গে হওয়ার ব্যাপারে কোনো কোনো দলের মত থাকলেও জামায়াত মনে করে এটি আলাদাভাবে হওয়া আবশ্যক।তিনি আরও বলেন দেন, গণভোট একটি সহজ নির্বাচন, যা জাতীয় নির্বাচনের সময় পুলিশের সহযোগিতা কেমন হবে তা ‘এক্সপেরিমেন্ট’ করার জন্য আলাদাভাবে করা যেতে পারে। গণভোটের খরচও খুব সামান্য, কারণ একই বাক্স ব্যবহার করে শুধু বাড়তি ব্যালট ও কালির খরচ হবে।জামায়াতের নায়েবে আমির যুক্তি দেন, জাতীয় নির্বাচনের দিন সব দল ব্যস্ত থাকবে। সবাই জাতীয় নির্বাচনের দিকে কনসার্ন থাকবে। দেখা যাবে গ্রামের সাধারণ ভোটাররা ধানের শীষ বা দাঁড়িপাল্লায় ভোট দিয়ে ওই কাগজটা (গণভোটের ব্যালট) পকেটে নিয়ে বাড়ি চলে যাচ্ছে। তাকে আরেকটা ভোট দেওয়ার জন্য কে চাপাচাপি করবে? কারণ, দলীয় কর্মী-সমর্থকেরা তখন জাতীয় নির্বাচনের ভোটের জন্য দৌড়বে।জামায়াতের নায়েবে আমির নির্বাচন কমিশনকে মানসিকভাবে প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘আমরা মনে করি, গণভোটের মতো একটি সহজ নির্বাচন যেন আমরা এখানে এক্সপেরিমেন্ট করতে পারি। জাতীয় নির্বাচনের সময় পুলিশ কীভাবে সহযোগিতা করে সেটা এক্সপেরিমেন্টের জন্য গণভোট করা যেতে পারে।তিনি জানান, আমরা জোর দিয়ে অনুরোধ করেছি, যদি জাতীয়ভাবে সিদ্ধান্ত হয়, তবে গণভোটটি যেন আলাদাভাবে নভেম্বরে অনুষ্ঠিত হয়।এছাড়াও, বৈঠকে ডা. তাহের নির্বাচন কমিশনের কাছে নির্বাচনে পিআর এবং প্রচলিত—এই দুটি পদ্ধতিই বিবেচনায় রাখার পরামর্শ দেন। প্রবাসীদের ভোটাধিকার এবং ভোটার তালিকা নিয়েও আলোচনা হয় বলে তিনি জানান।তবে, পিআর ও গণভোট আগে না হলে দলের পরবর্তী অবস্থান কী হবে, সে বিষয়ে তিনি কোনো স্পষ্ট মন্তব্য করেননি।ডা. তাহের ছাড়াও ছিলেন সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এ এইচ এম হামিদুর রহমান আযাদ, এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, অ্যাডভোকেট জসিম উদ্দিন সরকার এবং কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য মতিউর রহমান আকন্দ।
১৩ পড়েছেন