Sharing is caring!

সিলেট নগরের রিকাবীবাজার এলাকায় একটি বেসরকারি হাসপাতালে চুরির অভিযোগে এক নারীকে আটক করার খবর প্রকাশের পর শহরে ব্যাপক আলোচনা তৈরি হয়েছে। স্থানীয় সূত্র জানায়, পপি আক্তার ওরফে পপি নামে পরিচিত ওই নারীকে ২২ নভেম্বর রাতে পপুলার হাসপাতাল এলাকায় চুরির সময় স্থানীয় লোকজন ধরে পুলিশের হাতে তুলে দেন।পরে পুলিশ তাকে মেট্রোপলিটন আইনে আদালতে প্রেরণ করে। আদালতে পৌঁছানোর পরই তিনি জামিন বা জরিমানার মাধ্যমে মুক্তি পান বলে জানা গেছে। বিষয়টি নিয়ে জনমনে প্রশ্ন উঠেছে-একাধিক অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও তাকে কিছুদিনের জন্য কারাগারে রাখার আইনি সুযোগ কি পুলিশের ছিল না?পুলিশের নথিতেও পপির বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগের তথ্য রয়েছে বলে জানা যায়। শহরের বিভিন্ন এলাকায় চুরি ও ছিনতাইয়ের একাধিক ঘটনায় তার সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ দীর্ঘদিন ধরে আলোচনায় রয়েছে। ফলে বারবার আটক হওয়ার পরও দ্রুত বেরিয়ে আসতে পারায় নগরবাসীর মনে অসন্তোষ তৈরি হয়েছে।এদিকে, কয়েকজন স্থানীয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম কর্মী বা ‘ফেসবুক লাইভার’-ওই রাতে থানায় গিয়ে তার পক্ষে কথা বলেছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে। তবে এ বিষয়ে পুলিশের কোনো আনুষ্ঠানিক মন্তব্য পাওয়া যায়নি।আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একাংশের শৈথিল্য বা প্রভাবশালী ব্যক্তিদের তদবিরের কারণে অপরাধ দমনে বাধা তৈরি হচ্ছে কি না-এমন প্রশ্ন উঠছে সাধারণ মানুষের মধ্যে।
২৩ পড়েছেন