Sharing is caring!
সিলেটের গোয়াইনঘাটে গত মাসে গোয়াইনঘাট উপজেলার তোয়াকুল ইউনিয়নের পূর্ব পেকেরখাল (লক্ষীনগর) এলাকায় এক প্রবীণ দম্পতিকে বাড়িতে অনুপ্রবেশ করে বেঁধে পিটুনি দেওয়ার এবং স্ত্রীর মুখে জোরপূর্বক বিষাক্ত তরল ঢালার অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগকারী মোঃ সাব্বির মিয়া (৮০)। এই ঘটনার সঙ্গে তাদের একই বাড়ীতে থাকা ছেলে বদরুল, নাতী ও ছেলে বউসহ কয়েকজন জড়িত।অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, ঘটনাটি ঘটেছিল গত ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ইং রাত আনুমানিক ১১:৫০ ঘটিকার সময়। অভিযোগকারী সাব্বির মিয়া অভিযোগে উল্লেখ করেন বিবাদীগণ তাহার কাছ থেকে জমি নিজের নামে রেজিস্টার করার জন্য তাকে চাপ দিয়ে আসছিল। তিনি পরিবারিকভাবে সমস্যা মেটানোর চেষ্টা করেও সমাধান না হওয়ায় তিনি থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছিলেন, যার পরে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে বলে অভিযোগে উল্লেখ রয়েছে।অভিযোগে বলা হয় রাতে সাব্বির মিয়ার বাড়িতে দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকে বদরুল ইসলাম (৫০), হানিফ মিয়া (২৫), মোস্তাফা মিয়া (২০), সামিরুন বেগম (৪৫) এবং অজ্ঞাতনামা কয়েকজন মিলেমিশে সাব্বির মিয়া ও তার স্ত্রী মালিকা বেগমকে শুয়ে থাকা অবস্থায় হাত-পা বেঁধে নির্যাতন করে। অভিযোগকারীর ভাষ্য অনুযায়ী উল্লিখিত ব্যক্তিরা বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করার হুমকিও দিয়েছিল। পরে হত্যার উদ্দেশ্য বাদীর স্ত্রী মালিকা বেগমের মুখে জোরপূর্বক কাঁচের বোতল থেকে বিষাক্ত তরল ঢালা হয়। এসময় স্ত্রী বাঁচার জন্য মূর্ছা ও বমি করলেও বিবাদীদের মন গলেনি। পরে তাদের শোর চিৎকার শোনে প্রতিবেশীরা এগিয়ে আসলে থানা পুলিশকে না জানাতে শাসিয়ে চলে যায় বিবাদীরা।আহত মালিকা বেগমকে এলাকাবাসী ও পরিবারের সদস্যদের সহায়তায় দ্রুত সিলেট এম.এ.জি. ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ভর্তি করে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়। বর্তমানে তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন — এমনটাই অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে। অভিযোগকারী জানান, তিনি বয়স্ক ও স্বাভাবিক জীবনযাপনের লোক; অভিযুক্তদের কট্টর আচরণ, জোয়াড়ি-মাদক সেবন ও ভূমি আত্মসাৎচেষ্টার কারণে পরিবারে নিরাপত্তাহীনতার সৃষ্টি হয়েছে।অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য গোয়াইনঘাট থানার অফিসার ইনচার্জের নিকট লিখিতভাবে অভিযোগে দায়ের করা হয়েছে। পাশাপাশি ঘটনাস্থল ও উপস্থিত স্বাক্ষীদের নামও অভিযোগে উল্লেখ করা আছে তারা হলেন— চিকিৎসধীন মালিকা বেগম (৭৫), ফখরুল ইসলাম (৫৮), নজরুল ইসলাম (৩৮), আনোয়ারা বেগম (২৬), ইউনুস আলী (৫৫), আয়াত উল্লাহ (৬৫), আলিম উদ্দিন (৩৬), জমির উদ্দিন (৬৫) সহ অন্যরা।এ ঘটনার পরে স্থানীয় নেতৃবৃন্দ ও প্রতিবেশীরা ব্যাপক উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন এবং দ্রুত তদন্ত করে অভিযুক্তদের আইনের আওতায় আনতে দাবী জানিয়েছন। তারা ভূক্তভোগী পরিবারকে নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য দাবি তুলেছেন।এ ব্যপারে কোন অভিযোগ গোয়াইনঘাট থানায় হয়েছে কিনা এবং কি পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে তা জানতে গোয়াইনঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ এর মুঠোফোনে ষোগাযোগ করা হলে তিনি এই প্রতিবেদককে বলেন বিষয়টি আমার জানা নেই, আমার কাছে কেউ আসেনি। অথচ তিনি স্থানীয় এক সাংবাদিকে অভিযোগ পাওয়ার বিষয়ে শিকার করে বলেছেন এসআই সাহাব উদ্দিনকে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ওসি সাহেবের এমন স্ববিরোধী বক্তব্য ন্যায় বিচারের জন্য হুমকি।
২১ পড়েছেন