• ৭ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ২২শে কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ১৬ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

পুরোনো অ্যান্টোনিয়াডেস গার্ডেন এখন নতুন রূপে মিশরের আলেকজান্দ্রিয়া প্রদেশের

admin
প্রকাশিত নভেম্বর ৫, ২০২৫
পুরোনো অ্যান্টোনিয়াডেস গার্ডেন এখন নতুন রূপে মিশরের আলেকজান্দ্রিয়া প্রদেশের

Sharing is caring!

প্রায় দুই হাজার বছরের পুরোনো অ্যান্টোনিয়াডেস গার্ডেন এখন নতুন রূপে মিশরের আলেকজান্দ্রিয়া প্রদেশের । এই ঐতিহাসিক পর্যটনস্থান সম্প্রতি রূপ নিয়েছে এক প্রাগৈতিহাসিক ডাইনোসর পার্কে, যেখানে বিশাল প্রাণীগুলোর গর্জন আর আনাগোনায় কোটি বছর আগের পৃথিবী যেন জীবন্ত হয়ে উঠেছে।ডাইনোসরগুলোকে সিলিকন বা রাবারের মতো নরম আবরণ, ছোট ছোট মোটর এবং সেন্সর দিয়ে এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে যে, দর্শকরা সেগুলোকে নিশ্বাস নিতে, গর্জন করতে এবং ধীরে ধীরে মাথা ঘুরিয়ে তাকাতে দেখছেন। এই বনের মতো পরিবেশে ডাইনোসরের এই বাস্তব উপস্থিতি এক অদ্ভুত অনুভূতি তৈরি করছে। দর্শনার্থীরা বলছেন, এটি যেন এক জীবন্ত জাদুঘর, যেখানে ইতিহাস কল্পনার সঙ্গে মিলে গেছে।এটি মিশরের প্রথম ডাইনোসর পার্ক, যা দেখতে ভিড় করছে হাজারো মানুষ। ১ অক্টোবর পরীক্ষামূলকভাবে দর্শনার্থীদের জন্য এটি খোলার পর থেকেই শিশু ও পর্যটকদের পদচারণায় মুখর এই বাগান। পার্কে প্রবেশ করে যদি কেউ চোখ বন্ধ করে কান পেতে শোনে, তবে মনে হবে যেন বিশাল কোনো ডাইনোসর গাছের পাশ দিয়ে হেঁটে যাচ্ছে। দূর থেকে ভেসে আসে তাদের গর্জনের শব্দ।ইব্রাহিম দা ভিঞ্চিওর মতে পার্কের নকশাকার, এই প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য ছিল মানুষকে সময়ের স্রোত পেরিয়ে সেই বিস্ময়কর অতীতে পৌঁছে দেওয়া। আধুনিক প্রযুক্তির ছোঁয়ায় অতীতের এই বিশাল প্রাণীদের আবারও জীবন্ত করে তোলা হয়েছে, যাতে অতীত ও বর্তমানের মধ্যে একটি অনন্য সংযোগ তৈরি হয়। হাজার বছরের ইতিহাসে ভরা এই বাগানটি এখন সেই সময়ের সেতু, যেখানে মানুষ অতীতকে নতুন করে প্রাণ দিতে পারে।

১২ পড়েছেন