• ১২ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ২৮শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ২০শে রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

সিলেট কোতয়ালী ও বন্দর ফাঁড়ির অভিযানে গডফাদার শহীদসহ ১৩ ছিনতাইকারী আটক

admin
প্রকাশিত ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০২৩
সিলেট কোতয়ালী ও বন্দর ফাঁড়ির অভিযানে গডফাদার শহীদসহ ১৩ ছিনতাইকারী আটক

সিলেট কোতয়ালী ও বন্দর ফাঁড়ির অভিযানে গডফাদার শহীদসহ ১৩ ছিনতাইকারী আটক

Sharing is caring!

বিশেষ প্রতিবেদন : গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশে নড়েচড়ে বসেছে সিলেট এসএমপি কোতয়ালী থানা ও বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়ি। পৃথক তিনটি অভিযানে বন্দরবাজরসহ নগরীর বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের গডফাদারসহ ১৩ ছিনতাইকারীকে আটক করতে সক্ষম হয়েছে। সর্বশেষ মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই মো. সাজেদুল করিম সরকারের নেতৃত্বে একদল পুলিশ করিম উল্লাহ মার্কেটের সামন থেকে আরো তিন ছিনতাইকারীকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃতরা হলেন, কিশোরগঞ্জ জেলার বাজিতপুর থানার নান্দিনা গ্রামের আব্দুস সালামের ছেলে মো: সাগর উরফে টুকাই সাগর (২৮), কুমিল্লা জেলার দেবীদ্বার থানার এগারগ্রামের মৃত আব্দুল মনাফের ছেলে ইব্রাহিম খলিলুর রহমান (৩২) ও সিলেটের জালালাবাদ থানার সাদিপুর মইয়ারচর গ্রামের মৃত আব্দুল মজিদের ছেলে জামাল আহমদ (৩২) কে। গ্রেফতারকালে তাদের কাছ থেকে ৩টি ধারালো চাকু জব্দ ও ছিনতাইকৃত ৩টি মোবাইল সেট উদ্ধার করে পুলিশ। বুধবার তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
এর মাত্র তিনদিন আগে সিলেট মহানগরীর বন্দরবাজারের জেলরোড এলাকা থেকে নগরীর চিহ্নিত আরো চার ছিনতাইকারীকে আটক করে এসএমপির বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়ি। সেই অভিযানে নেতৃত্বদের ফাঁড়ির আইসি সাজেদুল করিম সরকার।  এর আগে গত শুক্রবার দুপুরে কোতয়ালী পুলিশের ওসি মোহাম্মদ আলী মাহমুদের নেতৃত্বে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে সিলেট নগরীর বিভিন্ন এলাকা থেকে শহরের মোবাইল ছিনতাইকারীদেরগডফাদার মৌলভীবাজার জেলার সনকাপন গ্রামের বাসিন্দা মৃত নীল মিয়ার ছেলে ও বর্তমান দক্ষিণ সুরমা থানার জৈনপুর গ্রামের বাসিন্দা আব্দুস শহীদকে আটক করে পুলিশ। পরে শফিকের দেওয়া তথ্যমতে আটক করা হয় সুনামগঞ্জের ছাতক থানার জিগলী রাইতলা গ্রামের নুর উদ্দিনের ছেলে শফিক মিয়া (৩৫)। সে বর্তমানে দক্ষিণ সুরমা ও জালালাবাদ থানার বাদেয়ালী এলাকায় বসবাস করতো। এছাড়া নগরীর থানার খুলিয়াপাড়া নিলীমা আবাসিক এলাকার ১১/১ এর বাসিন্ধা গেদন মিয়ার ছেলে সুজন মিয়া। দক্ষিণ সুরমা এলাকার বরইকান্দি এলাকার কুটি মিয়ার ছেলে পাবেল উরফে আল আমিনকে । আটককৃতরা সিলেট নগরীর বিভিন্ন এলাকায় সঙ্গবদ্ধ ভাবে মোবাইল, মহিলাদের ব্যানেটি ব্যাগ, পকেটের টাকা ছিনতাই করে থাকে। এদের বিরুদ্ধে সিলেট এসএমপি বিভিন্ন থানায় একাধিক ছিনতাই মামলাসহ বিভিন্ন রকম মামলা মোকদ্দমা রয়েছে।
এ বিষয়ে বন্দবাজার ফাঁড়ির ইনচার্জ সাজেদুল করিম জানান, বন্দরবাজার এলাকার কারারক্ষীদের পুরাতন পরিত্যক্ত ঘর গুলিতে ছিনতাইকারীরা তাদের আশ্রয় কেন্দ্র গড়ে তুলে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় ছিনতাই করে নিরাপদে এখানে অবস্থান নিতো। ফলে ছিনতাইয়ের সকল দায় বার বন্দর ফাঁড়ির উপরে চলে আসতো। সম্পতি সময়ে থানার ওসি ও ডিসি উত্তর জোনের নির্দেশে থানা ফাঁড়ির পুলিশ অভিযানে নামে এপর্যন্ত নগরীর বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রায় ১৩ জন ছিনতাইকারীদের আটক করতে সক্ষম হয়। তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। ছিনতাইকারীদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
এ বিষয়ে সিলেট কোতয়ালী থানার ওসি মাহমুদ আলী জানান, এরা সকলে শহিদের নেতৃত্বে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় মোবাইলসহ ছিনতাই করে বেড়াতো। ছিনতাইকৃত মোবাইল শহিদ আইএমআই চেঞ্জ করে আবার নগরীর বিভিন্ন মার্কেটে বিক্রি করে দিতো। ছিনতাইকারীরা আটক হলে শহীদ তাদের জামিনের ব্যবস্থা করে দিতো। পরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এই চার ছিনতাইকারী আটক করতে সক্ষম হয় পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। বিধি মোতাবেক আদালতে চালান দেওয়া হয়েছে।

৫৬৮ পড়েছেন