Sharing is caring!
আনোয়ার হোসেন রনি ছাতক: ছাতকে নদী ভাঙ্গনের কবলে পড়ে বিলিন হয়ে যাচ্ছে গোবিন্দগঞ্জ- বিনন্দপুর সড়ক। বটের খাল নদীর ভাঙ্গনে পড়ে সড়কের একটি অংশের পাকা ঝুলে- ঝুলে রয়েছে। হেমন্ত মৌসুমে কিছু পায়ে হেঁটে আর কিছু রাস্তা গাড়ী দিয়ে চলাচল করছেন গোবিন্দগঞ্জ- সৈদেরগাঁও,ছৈলা-আফজালাবাদ এবং দোলারবাজার ইউনিয়নের প্রায় ২৫ টি গ্রামের মানুষ।বর্তমানে পায়ে হেঁটে চলাচলও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে।বেশ কিছু দিন ধরে গোবিন্দগঞ্জ-বিনন্দপুর সড়কে ভাঙ্গন শুরু হলে এর কোন বিহিত ব্যবস্থা নেয়নি কর্তৃপক্ষ।ফলে মানুষের ভোগান্তি দিন- দিন বেড়েই চলেছে। বর্তমানে এখানে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা। ক্ষেতের জমি বা বিকল্প সড়ক দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে এতোদিন কিছুটা যান চলাচল করছে। কিন্তু বৈশাখের শুরুতেই বৃ্ষ্টির কারণে এ সুযোগ ও শেষ হয়ে গেছে। মানুষের ৮ কিলোমিটার রাস্তা পায়ে হাঁটা ছাড়া আর কোন উপায় নেই।বটের খাল নদীর তীরে গোবিন্দনগর এলাকায় নদী ভাঙ্গনের ফলে সড়কের পাকার নীচের মাটি সরে গিয়ে কয়েক স্থানে পাকা ঝুলে পড়েছে। নদীতে পড়ে গেছে ক”টি পাকা স্ল্যাব। স্থানীয়দের উদ্যোগে সড়কে হেমন্তে কিছু সংস্কার কাজ করে সড়কটি সচল রাখা হয়েছিলো। বৈশাখের শুরু থেকেই তা আর ধরে রাখা সম্ভব হচ্ছেনা বলে জানিয়েছেন এলাকার লোকজন।গোবিন্দগঞ্জ-বিনন্দপুর সড়ক দিয়ে হাট-বাজারে যাতায়াত ছাড়াও গোবিন্দগঞ্জ ডিগ্রী কলেজ,গোবিন্দ গঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়,গোবিন্দনগর ফাজিল মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা যাতায়াত করে থাকেন। এলাকাবাসীর জেলা ও বিভাগীয় শহরে যাতায়াতের মাধ্যম হচ্ছে এ সড়কটি।হাফিজ আব্দুল গণি তালুকদার উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও এলাকার বাসিন্দা জগদিশ চন্দ্র দত্ত জানান,জনস্বার্থে দ্রুত সময়ের মধ্যে সড়কটি সংস্কারের প্রয়োজন।এলাকাবাসী এ ব্যাপারে স্থানীয় সংসদ সদস্য মুহিবুর রহমান মানিক ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।ছাতক উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ আফছার আহমদ জানান,নদী ভাঙ্গনে সড়কের একটি অংশ প্রায় বিলিন হয়ে গেছে। এ ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ইতিমধ্যেউর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বরাবরে একটি প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে এর সমাধান হয়ে যাবে।
৪৭৭ পড়েছেন