• ১৩ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ২৯শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ২১শে রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

ওসমানীনগরে হোটেল কর্মচারী হত্যা ; একজনের যাবত জীবন কারাদন্ড

admin
প্রকাশিত সেপ্টেম্বর ৪, ২০২৩
ওসমানীনগরে হোটেল কর্মচারী হত্যা ; একজনের যাবত জীবন কারাদন্ড

Sharing is caring!

ওসমানী নগর প্রতিনিধি: সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলার তাজুপুরে হোটেল কর্মচারী মোহন হত্যা মামলায় হোটেলের অপর কর্মচারী হারুন মিয়া সুমন নামে একজনকে যাবত জীবন কারাদন্ড ও ২০ হাজার টাকা অর্থদন্ড দিয়েছেন আদালত। আজ সোমবার (৪ সেপ্টম্বর ২০২৩) সিলেটের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ৪র্থ আদালতের বিজ্ঞ বিচারক শায়লা শারমিন এ রায় প্রদান করেন। পাশাপাশি আরো ২০ হাজার টাকা অর্থদন্ড অনাদায়ের ৬ মাসের কারাদন্ড প্রদান করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদালতের এপিপি এডভোকেট আব্দুস সাত্তার। সাজাপ্রাপ্ত আসামী হারুন মিয়া সুমন (৩২) সুনামগঞ্জ জেলার জামালগঞ্জ থানার লক্ষিপুর গ্রামের জয় লাল উদ্দিনের ছেলে।
জানা যায়, সিলেট জেলার ওসমানীনগর উপজেলার তাজপুর বাজারের আব্দুর রবের মালিকানাধিন হোটেলে কর্মচারী হিসাবে কাজ করতো মোহন ও সুমন। মোহনের বাড়ি সুনামগঞ্জ জেলার জগন্নাথপুর উপজেলার সোনাতলা গ্রামে। পাশাপাশি তাজপুর বাজারস্থ তাহির মিয়ার কলোনীর তাকওয়া হোটেলের মালিক আব্দুর রবের ভাড়া করা বাসায় বসবাস করতেন হোটেলের কর্মচারীরা। প্রতি বছর ঈদে মোহন বাড়িতে গেলে ঐ বছর ঈদে মোহন বাড়িতে যায় নি। এ দিকে মোহনকে হত্যা করো লাশ খাটের নিচে লুকিয়ে রাখে হারুন মিয়া সুমন। তিন চারদিন পর লাশের গন্ধ ছড়ালে আশেপাশের লোকজন মোহনের লাশ দেখে তার বাড়িতে খবর দিলে তার বোন রোকেয়া বেগম এসে গলাকাঠা অবস্থায় ভাই মোহনের লাশ সনাক্ত করে। এ ঘটনায় নিহতের বোন রোকেয়া বেগম স্বামী জয়নাল আবেদীন সাং: সোনাতলা জগন্নাথপুর জেলা: সুনামগঞ্জ বাদী হয়ে ১২/১১/২০২৩ ইং সিলেট ওসমানী নগর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। যাহার মামলা নং ১৩ /২০১১ ইং। মামলায় তিনি আসামী করেন হোটেলের অপর কর্মচারী হারুন মিয়া উরফে সুমন ও হোটেল মালিক আব্দুর রবকে। তিনি এজাহারে উল্লেখ করেন ৬/১১/২০২৩ ইং হতে ১১/১১/২০২৩ ইং পর্যন্ত যে কোন এক সময়ে তার ভাই মোহনকে হত্যা করে হোটেলের অপর কর্মচারী হারুন মিয়ার উরফে সুমন। ওসমানী নগর থানার পুলিশ মামলাটি দীর্ঘ তদন্ত করে আদালতে উক্ত মামলা চার্জসীট প্রতিবেদন দাখিল করেন, এবং তদন্তে বেরিয়ে আসে হারুন মিয়া সুমনই মোহনকে গলা কেঠে হত্যা করেছে। আদালতে দীর্ঘ শুনানী শেষে আজ উক্ত মামলায় হোটেল অপর কর্মচারী হারুন মিয়া সুমনকে যাবত জীবন কারাদন্ড সহ ২০ হাজার টাকা অর্থদন্ড প্রদান করেন আদালত, অনাদায়ে আরো ৬ মাসের কারাদন্ড প্রদান করেন সুমনকে। মামলার অপর আসামী হোটেল মালিক আব্দুর রবকে উক্ত মামলা থেকে অব্যাহতি প্রদান করেন আদালত। মামলায় দীর্ঘ শুনানি ও সাক্ষ্য প্রমান শেষে আজ ৪ সেপ্টম্বর অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ৪র্থ আদালতের বিচারক শায়লা শারমিন উক্ত মামলার রায় ঘোষণা করলে নিহতের বোন রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন। মামলাটি রাষ্টপক্ষে শুনানি করেন এপিপি আব্দুস সাত্তার, এডিশনাল পিপি দিনা ইয়াসমিন, এডিশনাল পিপি এমদাদ হোসেন। মামলাটি বিবাদী পক্ষে পরিচালনা করেন এডভোকেট মনির হোসেন।

৪৩৬ পড়েছেন