Sharing is caring!
স্টাফ রির্পোটার: গোয়াইনঘাট উপজেলার তামাবিল স্থলবন্দর নিয়ে এবার দুইটি গ্রুপ মুখামোখি অবস্থান করছেন। ধীরে ধীরে বেরিয়ে আসতে শুরু করেছে থলের বিড়াল। সম্প্রতি নিউজ পোর্টাল ‘সিলেট এইজ’ এ সংক্রান্ত একটি সংবাদ প্রকাশ হলে সেচ্চারহন স্থানীয় লোকজন। দীর্ঘ ১৬ বছর থেকে একটি চক্র তামাবিল এলাকায় হাজার হাজার কোটি টাকা লুটরাজ চালিয়েছে। বিশেষ করে তামাবিল স্থলবন্দরের সাবেক সভাপতি শীর্ষ দূর্নীতিবাজ, জৈন্তাপুর উপজেলা পরিষদের সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এম.লিয়াকত আলী, বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন সিলেট জেলা সভাপতি উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতা সামছুল আলম, গোয়াইনঘাট উপজেলার সভাপতি সরওয়ার হোসেন সেদু, তামাবিল পাথর আমদানীকারক গ্রুপ কমিটির যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক মোঃ ফারুক আহমদ, আবুল কাসেম, জাফলংস্থ লাইন সিন্ডিকেটের প্রধান ইমরান হোসেন উরফে জামাই সুমন, লুটপাটের সিন্ডিকেটের লাইন সিন্ডিকেটের ক্যাশিয়ার ফিরোজ মিয়া, লাইন সিন্ডিকেটের ক্যাডার ট্রাকচালক সমিতির সভাপতি সমেদ মিয়া, ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ইউসুফ আহমেদ, ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ আহমদ সুহেল জয়, ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাজন, জাফলং আওয়ামীলীগের আহবায়ক মুয়াজ্জিম হোসেন মেনন, যুগ্ন আহবায়ক কামাল আহমদ, আহবায়ক সদস্য মকসুছ আলম, মোস্তাফিজুর রহমান লিলু,যুবলীগের সভাপতি রাসেদ পারভেজ লাভলু,রাজু আহমদে কুটিন এবং জাফলংয়ের শীর্ষ সন্ত্রাসী আলিম উদ্দিন চক্র। এরা দীর্ঘদিন থেকে জাফলংসহ তামাবলি স্থল বন্দরকে লুটে পুটে খাচ্ছিলো। সকলেই পরিচয় দিতো তারা সাবেক মন্ত্রী ইমরান আহমদের লোক
সম্প্রতি সরকারের পট পরিবর্তন হলেও তারা তামাবিলে ছিলো বহাল তবিয়তে। তাদের এসব অপকর্ম নিয়ে এবার জৈন্তাপুর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন জৈন্তাপুর উপজেলা বিএনপি নেতা জাহিদ খান, তিনি লিখিত অভিযোগ করে বলেন, তামাবিল পাথর আমদানীকারক গ্রুপের ব্যবসায়ী কমিটির মাধ্যমে দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে তামাবিল স্থলবন্দরে দূর্নীতি করে হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট করে খেয়েছে। পাথর আমদানীকারক গ্রুপের অর্থাৎ দূর্নীতিবাজ ও লুটপাট কারি সভাপতি লিয়াকত আলীকে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রায় ২ কোটি টাকা দেয় পাথর আমদানীকারক গ্রুপের এই সিন্ডিকেট বাহিনী।
বিগত ১৮ জুলাই বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে টেকাতে ভারত থেকে আধুনিক অস্ত্র ও গুলি,তামাবিল নামিয়ে তামাবিল থেকে ট্রাক যোগে সিলেট পোঁছিয়ে দেয় এই সকল শীর্ষ দূর্নীতি চাঁদাবাজ-শীর্ষ সন্ত্রাসীরা।
শেখ হাসিনা সরকার পতন হওয়ার সাথে সাথে ঐসব আওয়ামীলীগের প্রভাবশালী নেতারা নিজেদের সিন্ডিকেটের নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখতে এক ভয়ানক গোপন মিশন বাস্তবায়নে গত ৫ আগস্ট তামাবিল কাস্টমসে লুটপাট চালিয়ে সব কিছু নিয়ে যায়। এই লুটপাটের কারণ সাধারণ মানুষ ও প্রশাসন বুঝবে এই সব লুটপাট করেছে বিএনপির নেতা কর্মীরা এই কারণে বিএনপির নেতা কর্মীরা আর তামাবিল স্থলবন্দর নিয়ন্ত্রণ নিতে পারবে না। ইতিমধ্যে বিএনপির রফিকুল ইসলাম শাহপরান ও আমজাদ গ্রুপ এবং সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান শাহ্ আলম স্বপন ও মিজানুর রহমান হেলোয়ার গ্রুপ,তামাবিল স্থলবন্দর নিয়ন্ত্রণ নিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে তারা। তামাবিল পাথর আমদানীকারক গ্রুপের সাবেক কমিটির অর্থাৎ লিয়াকত,ওমর ফারুক গংদের দূর্নীতি ও লুটপাটের অফিস কার্যালয়ে দখল নিতে গিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা হয়েছে একাধিক বার। বিএনপির উভয় দলের এইসব কর্মকান্ডকে লিয়াকত আলী, সেদু ,ফারুকগংরা সাধারণ ব্যবসায়ীএবং কাস্টমস ও প্রশাসনকে বুঝাতে চাচ্ছেন কাস্টমস লুটপাট চালিয়েছে মূলত বিএনপির এই দুই গ্রুপের লোকজন।
৪৮৩ পড়েছেন