• ১৪ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ৩০শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ২২শে রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

সিএনজি অটোরিকশা চালক হত্যা মামলায় পাঁচ জনের ফাঁসির রায় দিয়েছেন আদালত

admin
প্রকাশিত অক্টোবর ৩, ২০২৪
সিএনজি অটোরিকশা চালক হত্যা মামলায় পাঁচ জনের ফাঁসির রায় দিয়েছেন আদালত

সিএনজি অটোরিকশা চালক হত্যা মামলায় পাঁচ জনের ফাঁসির রায় দিয়েছেন আদালত

Sharing is caring!

বিয়ানীবাজারে সিএনজি অটোরিকশা চালক হযরত আলী (৩০) হত্যা মামলায় পাঁচ জনের ফাঁসির রায় দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) দুপুরে সিলেটের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-৪ এর বিচারক শায়লা শারমিন এ রায় ঘোষণা করেন।

তবে আদালতের স্বাক্ষ গ্রহনের পর থেকেই পলাতক রয়েছেন আসামিরা। বাদীপক্ষের আইনজীবি জায়েদা বেগম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরের রওশন আলীর ছেলে শহিদুল ইসলাম (২১), দক্ষিণ সনামগঞ্জের বাদশা মিয়ার ছেলে সুমন আহমদ (১৯), দক্ষিণ সনামগঞ্জের ফজিল বারীর ছেলে শিপু মিয়া (১৯), দক্ষিণ সনামগঞ্জের হাজী মুসুক মিয়ার ছেলে জাকারিয়া মুন্ন (২০) এবং দক্ষিণ সনামগঞ্জের হরমুজ আলীর ছেলে মো. রুহল আমিন (২০)।

মামলার রায়ে খুশি নিহতের পরিবার। নিহতের ভাই শুক্কুর আলী জানান, আমার ভাইকে পরিকল্পিতভাবে খুন করা হয়েছে। দীর্ঘ দশ বছর পর ভাই হত্যার বিচার পেয়ে খুশি তারা। তবে আসামিরা এখনো পলাতক রয়েছেন। তাদের দ্রুত গ্রেফতার করে ফাঁসি কার্যকর করার দাবি জানান তিনি।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আব্দুস সাত্তার এপিপি বলেন, এই রায় সিলেটের জন্য একটি মাইলফলক হয়ে থাকবে। বিজ্ঞ আদালত যুক্তিতর্ক শেষে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পরই এ রায় দিয়েছেন। আমরা এ রায়ে সন্তুষ্ট।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আরেক আইনজীবী এডিশনাল পিপি দীনা ইয়াসমিন জানান, আমরা চাইবো পলাতক আসামিদের দ্রুত গ্রেফতার করে রায় কার্যকর করা।

মামলা বিবরণে জানাগেছে, ২০১৪ সালেন ১৭ আগস্ট দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা সিএনজি অটোরিকশা চালক হযরত আলীকে নিয়ে সিলেট থেকে বিয়ানীবাজার যান। সেখানে রাতে এগারোটার দিকে কৌশলে তাকে ছুরিকাঘাত করে সিএনজি নিয়ে পালিয়ে যায়। এর পর দিন নিহতের ভাই শুক্কুর আলী বিয়ানীবাজার থানায় মামলা দায়ের করেন। হত্যাকাণ্ডের দীর্ঘ দশ বছর পর বৃহস্পতিবার পাঁচ জনের ফাঁসির রায় দিয়েছেন আদালত।

হযরত আলীর বাড়ি সুনামগঞ্জ সদর থানার জাহাঙ্গীর নগর গ্রামে হলেও দীর্ঘ দিন থেকে দক্ষিণ সুরমা থানার আলমপুর এলাকায় বসবাস করতেন। তাঁর পেটসহ শরীরের ১৭ জায়গায় জখম ছিল। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়েছে বলে যানা গেছে।

বাদীপক্ষের আইনজীবি জায়েদা বেগম জানান, মামলায় ১২ জনের সাক্ষী প্রমাণ দেওয়া হয়েছে। নিহত হযরত আলীকে যখন ছুরিকাঘাত করে ফেলে যাওয়া হয় তখন স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে। সময় তিনি এই ঘটনার সাথে জড়িতদের নাম উল্লেখ করে যান। বিজ্ঞ আদালত যুক্তিতর্ক শেষে এ রায় দিয়েছেন। আমরা এ রায়ে সন্তুষ্ট।

১৬৯ পড়েছেন