Sharing is caring!
জেলা ছাত্রদলের সভাপতির পদ থেকে অব্যাহতি পাওয়া ইমরান হোসেন শিশিরের বিরুদ্ধে এবার কাপাসিয়া থানায় মামলা হয়েছে।
পদ থেকে অব্যাহতির আদেশের তিনদিন পর গত বুধবার এক নারী বাদী হয়ে কাপাসিয়া থানায় মামলাটি দায়ের করেছেন।
শিশির উপজেলার সদর ইউনিয়নের সাফাইশ্রী গ্রামের আব্দুর রশিদ মাস্টারের ছেলে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে গাজীপুর জেলা ছাত্রদলের সভাপতি ও কাপাসিয়া উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক পদে দায়িত্ব পালন করছিলেন।
অভিযোগ দায়ের করা ওই নারী এর আগে ভিডিও বার্তায় গণমাধ্যম কর্মীদের উদ্দেশ্যে তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণের বর্ণনা দিয়েছিলেন। এরপর অক্টোবরে ইমরান হোসেনকে পদ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়। তবে অব্যাহতি দেয়ার আগ মুহূর্তে ওই নারী পুনরায় দাবি করেছিলেন তার করা ধর্ষণের অভিযোগগুলো মিথ্যে।
জোরপূর্বক তাকে দিয়ে এসব কথা বলানো হয়েছিল। এদিকে অব্যাহতি দেয়ার পর শিশিরের বিরুদ্ধে তিনি থানায় মামলা করেন।
মামলার এজাহারে জানা যায়, ২০১৯ সাল থেকে ২০২৪ সালের জুলাই পর্যন্ত বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ওই নারীকে ভিন্ন ভিন্ন স্থানে নিয়ে বারবার ধর্ষণ করা হয়েছে। এমনকি এসব ঘটনায় তিনি কয়েক দফা অন্তঃসত্ত্বা হয়েছিলেন। বিয়ের কথা বললে ছাত্র রাজনীতি করা অবস্থায় বিয়ে করা যাবে না বলে ওই নারীকে নিবৃত রাখেন। সর্বশেষ ৫ই আগস্টের পর ওই নারীর সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন শিশির। এসব ঘটনায় তিনি ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির নেতাদেরকে মৌখিক অভিযোগ করেছিলেন ।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নির্যাতনের শিকার ওই নারী স্বামী পরিত্যক্তা। বিয়ের কয়েক বছরের মাথায় স্বামীর সঙ্গে তার ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। তাদের ৮ বছর বয়সী একটি ছেলে আছে। ছেলেটি ওই নারীর সঙ্গেই থাকে।
কয়েকটি সূত্র জানিয়েছে, স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদ হওয়ার পর থেকেই ওই নারী মূলত অবাধে শিশিরের সঙ্গে অন্তরঙ্গ হতে থাকেন। এর মধ্যে শিশির নিজেও অন্য এক নারীকে বিয়ে করেন। বিয়ের খবর পেয়ে ওই নারী শিশিরের প্রতি ক্ষিপ্ত হন। কয়েক দফা বিয়ে করার আশ্বাসে শিশির ওই নারীকে থামান। তবে শেষ পর্যন্ত ঘটনাটি মামলায় গড়ায়।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত ইমরান হোসেন শিশির জানান, ওই নারী প্রমাণ হিসেবে যে সকল ভিডিও প্রচার করেছেন তা অত্যাধুনিক এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করে বানিয়েছে। সকল অভিযোগ মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। আমাকে রাজনৈতিকভাবে নাজেহাল করার জন্য রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের লোকজন ওই নারীকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছেন।
নির্যাতনের শিকার নারীর মোবাইলে একাধিকবার কল দিলেও তিনি তা রিসিভ করেননি।
কাপাসিয়া থানার ওসি মো. কামাল হোসেন বলেন, বুধবার একটি মামলা গ্রহণ করা হয়েছে। আমরা মামলার প্রেক্ষিতে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করছি।
১৫১ পড়েছেন