Sharing is caring!
সিদ্ধান্ত না মেনে কুয়েটের শিক্ষার্থীরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও দেশবাসীর কাছে নিরাপত্তা চেয়েছেন।খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) সিন্ডিকেটের সভায় একাডেমিক কার্যক্রম ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে প্রেস ব্রিফিং করে এ নিরাপত্তা চান তারা।
এ ছাড়া ছয় দফা দাবি পূরণ না হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, উপ-উপাচার্য ও ছাত্র কল্যাণ পরিচালককে বর্জন করেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। ওই তিন পদে নতুন নিয়োগের জন্য শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে প্রধান উপদেষ্টা, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ও শিক্ষা উপদেষ্টার কাছে লিখিত আবেদনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারা। একই সঙ্গে ক্যাম্পাসের হলে থাকার সিদ্ধান্তও নেন শিক্ষার্থীরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাছুদ এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ‘সিন্ডিকেট সভায় শিক্ষার্থীদের সব দাবি নিয়েই আলোচনা হয়। সভায় তাদের সব দাবি মেনে নেওয়া হলেও ভিসিসহ কয়েকজনের পদত্যাগের দাবিটি নাকোচ হয়।
তিনি জানান, সভায় ক্যাম্পাসে সবধরনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে কঠোরতার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত হলে তাকে বহিষ্কার ও চাকরিচ্যুত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এ দিকে উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যের পদত্যাগসহ ৬ দফা দাবিতে সকাল থেকে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করেন কুয়েটের শিক্ষার্থীরা। ফলে এদিন কোনো ক্লাস-পরীক্ষা হয়নি।
কুয়েটে ছাত্রদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় এখন পর্যন্ত পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে বলে জানান খানজাহান আলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কবির হোসেন।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) কুয়েটে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে আহত হন অন্তত অর্ধশত শিক্ষার্থী। আহতদের কুয়েটের মেডিকেল সেন্টারসহ আশপাশের বেসরকারি ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়।
৭৪ পড়েছেন