• ১০ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ২৬শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ১৫ই মহর্‌রম, ১৪৪৭ হিজরি

দিনাজপুরে অগ্নিসংযোগ-লুটপাটের অভিযোগ: ১২০০ জনের নামে মামলা

admin
প্রকাশিত জানুয়ারি ২৮, ২০২৩
দিনাজপুরে অগ্নিসংযোগ-লুটপাটের অভিযোগ: ১২০০ জনের নামে মামলা

Sharing is caring!

সিলেট এইজ : দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার খোদাদাতপুর (চুনিয়াপাড়ায়) জমি নিয়ে বিরোধের জেরে জোড়া খুনের পর বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগে মামলা হয়েছে। শুক্রবার রাতে অজ্ঞাতনামা এক হাজার ২০০ জনকে আসামি করে মামলাটি করেন উপজেলার ঘোড়াঘাট ইউনিয়নের গ্রামপুলিশ সুনীল চন্দ্র দাস। ঘোড়াঘাট থানার ওসি আবু হাসান কবির মামলার তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, বাড়িঘরে হামলা, আগুন লাগানো, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনায় স্থানীয় এক গ্রাম পুলিশ অজ্ঞাতনামা এক হাজার ২০০ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেছেন। আসামিদের শনাক্তের চেষ্টা চলছে। তবে হত্যা মামলায় এখন পর্যন্ত চারজনকে আটক করা হয়েছে। এদিকে শনিবার সকালে খোদাদাতপুর গ্রামে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, গণ্যমান্য ব্যক্তি ও গ্রামের দুই পক্ষের লোকজন নিয়ে একটি শান্তিপূর্ণ বৈঠক আয়োজন করা হয়েছে। উল্লেখ্য, খোদাদাতপুর গ্রামে জমি নিয়ে বিরোধে গত ২৫ জানুয়ারি সকালে প্রতিপক্ষের হামলায় মনোয়ার হোসেন মীম (২৪) ও রাকিব হোসেন (২৫) নামের দুই যুবক নিহত হয়। পরদিন দুপুরে দুজনের জানাজার সময় নিহত ব্যক্তিদের পক্ষের লোকজন চুনিয়াপাড়ায় বাড়ি বাড়ি ঢুকে অগ্নিসংযোগ করেন বলে ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ির লোকরা অভিযোগ করেছেন। অগ্নিসংযোগকালে লোকজন লাঠিসোঁটা, দা ও কোদাল নিয়ে প্রতিপক্ষের বাড়িতে হামলা ও লুটপাট চালান। এ সময় প্রাণ বাঁচাতে নারী, শিশু ও পুরুষেরা বাড়িঘর ছেড়ে পালান। মামলার এজাহারে বাদী সুনীল চন্দ্র দাস বলেন, নিহত দুজনের জানাজা ও দাফনের কাজে উপস্থিত খোদাদাতপুর ও পাশের গ্রামের লোকজন লাঠিসোঁটা, দা ও কোদাল নিয়ে চুনিয়াপাড়ায় প্রতিপক্ষের বাড়িসহ আশপাশের বাড়িঘরে হামলা চালান। এ সময় সেখানে উপস্থিত পুলিশসহ গ্রামপুলিশের সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন। পরে থানা থেকে অতিরিক্ত পুলিশ এনে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টাকালে হামলাকারীরা চুনিয়াপাড়ার আবদুস সালাম, তোতা মিয়া, নুরুল ইসলাম, হাফিজুর রহমানের বাড়িসহ আশপাশের কিছু টিনের বসতবাড়ি এবং বাড়ির সামনে খড়ের গাদায় আগুন লাগিয়ে দেন। এ ছাড়া নজরুল ইসলাম, শফিকুল ইসলাম, নুরুল ইসলাম, মোহাম্মদ আলী, আবদুল ওহাব, মোগেন ওরফে মকবুল হোসেনের বাড়িসহ ২০ থেকে ২৫টি বাড়ি ভাঙচুর করেন।মামলার এজাহারে আরও বলা হয়েছে, বাড়িঘরে আগুন লাগানো, ভাঙচুর, প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র লুট এবং গরু-ছাগল চুরির ঘটনায় প্রায় সাড়ে ১৬ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। পরে পার্শ্ববর্তী থানাগুলো থেকে অতিরিক্ত পুলিশ এসে সেখানকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

৫৯৬ পড়েছেন