Sharing is caring!
স্টাফ রির্পেোটার: সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার পশ্চিম জাফলংয়ের প্রতাপপুর সীমান্ত এলাকায় বিজিবির লাইনম্যান পরিচয়ে দুলালের চলছে ওপেন চাঁদাবাজী।তার বিরুদ্ধে ব্যাপরোয়া নৈরাজ্য ও চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠেলেও বিজিবি রয়েছে নিরব। কারণ বিজিবির হয়ে টাকা তুলে এই দুলাল। দুলাল স্থানীয়দের কাছে মন্ত্রীর ছেলে হিসাবে পরিচিত। স্থানীয় চোরাকারবারীরা জানান, দুলাল ও তার সিন্ডিকেট বাহিনী প্রতাপপুর বিজিবির লাইনম্যান পরিচয় দিয়ে চোরাকারবারীদের নিকট থেকে প্রতিদিনি লক্ষ লক্ষ টাকা প্রকাশ্যে চাঁদাবাজি করছে। এলাকাটি সমতল হওয়ায় সহজেই ভারত বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থান দিয়ে চোরাকারবারীরা ভারত থেকে অবৈধ পণ্য সামগ্রী বাংলাদেশে প্রবেশ করতে কোনো সমস্যা হচ্ছেনা। এতে করে সীমান্তে বিজিবির সদস্যরা প্রতিনিয়ত বখরা পেয়ে থাকেন বলে বিজিবি নিরব ভূমিকায় থাকেন । প্রতাপপুর সীমান্তে দুলাল সিন্ডিকেটের ইশারায় ব্যাপরোয়া গতিতে ছুটছেন চোরাকারবারীরা।আর সীমান্ত দুলাল বাহিনীর দখলে । তাদের নিয়ন্ত্রনে চলছে চুরাচালানী সব কয়টি রোড । সেখানে প্রকাশ্যে চলছে চোরাচালান ব্যবসা, এতে করে এলাকার সাধারণ জনগনের ক্ষতির কারন হয়ে দাঁড়িয়েছে চোরাকারবারিা । এ সীমান্ত দিয়ে প্রতিদিন কোটি কোটি টাকার ভারতীয় মালামাল বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে নিরাপদে । প্রশাসনের নিরব ভূমিকায় ভারতীয় অবৈধ পণ্য গুলোর মধ্যে চিনি, চা পাতা, পান, সুপারি, আলু, টমেটো, কমলা,হালিম, পিয়াজ, জিরা,কসমেটিক, শাড়ি, থ্রিপিস, লেহেঙ্গা, সহ বিভিন্ন ধরনের মাদক দ্রব্য নিরাপদেই পৌঁছে দেয়া হচ্ছে দেশের বিভিন্ন স্থানে । এসব নিয়ন্ত্রন করেন গোয়াইনঘাট উপজেলার পশ্চিম জাফলং ইউনিয়নের হাজিপুর এলাকার ইদ্রিস আলী উরফে মন্ত্রীর ছেলে দুলাল বাহিনী। ভারতীয় অবৈধ পণ্য সামগ্রী বাংলাদেশে প্রবেশের স্থান হচ্ছে, পান্তূমাই, বাবুর কোনা, হাজিপুর, আগলছপুর, লামাপুঞ্জি, নশকিয়াপুঞ্জি, মন্দির ঘাট, পুরাতন সংগ্ৰাম পুঞ্জি, প্রতাপপুর পুঞ্জি,ও মগলিন, হয়ে চা বাগান এলাকা দিয়ে রাধানগর বাজারে নিরাপদে প্রবেশ করেছে। প্রতাপপুর সীমান্তে বসবাসরত অনেকের অভিযোগ করেন, সীমান্তের ওপার থেকে আশা ভারতীয় পণ্য সামগ্রী সন্ধ্যা হতে ভোর পর্যন্ত , মোটরসাইকেল ও ট্রলি বোজাই করে এসব মালামাল রাধানগর গরু বাজারে নিয়ে আসা হয় । মোটরসাইকেল ও ট্রলির বিকট শব্দে সীমান্ত পার্শ্ববর্তী এলাকার সাধারণ মানুষ ঘুমোতে পারেন না । এবিষয়ে জানতে দুলাল এর ফোনে কয়েক বার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায় নি, তাই বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি । এ বিষয়ে প্রতাপপুর সীমান্তে কোম্পানি কমান্ডারের সরকারি ফোনে, কথা বলতে চাইলে তিনি জানান আমি সীমান্তে আছি পরে কথা বলব|
৫৯৩ পড়েছেন