• ১৫ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ৩১শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ২৩শে রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

নিজেরাই অস্ত্র বানিয়ে বিক্রি করছিলেন তাঁরা: র‌্যাব

admin
প্রকাশিত মার্চ ১২, ২০২৪
নিজেরাই অস্ত্র বানিয়ে বিক্রি করছিলেন তাঁরা: র‌্যাব

Sharing is caring!

স্টাফ রির্পোটার: রাজধানীর বাড্ডা এলাকা থেকে চারটি পিস্তল ও আগ্নেয়াস্ত্র তৈরির সরঞ্জামাদিসহ ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। গতকাল সোমবার রাতে এবং আজ মঙ্গলবার ভোরে পৃথক দুটি অভিযানে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা অস্ত্র তৈরি ও বিক্রির সঙ্গে জড়িত। আজ দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র‌্যাবের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানানো হয়েছে। গতকাল রাত ১১টার দিকে বাড্ডা এলাকায় অভিযান চালিয়ে দুজনকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। আজ ভোরে আরেক অভিযানে চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। র‌্যাব বলছে, চক্রের প্রধান মোখলেছুর রহমান (৪২) ভারত থেকে আগ্নেয়াস্ত্র তৈরির কৌশল শেখেন। তিনি দেশে অস্ত্র তৈরি করে বিক্রি করছিলেন। গ্রেপ্তার ছয় ব্যক্তির মধ্যে তিনিও আছেন। কারওয়ান বাজারে র‌্যাবের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ছয়জনকে গ্রেপ্তারের কথা জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাব-১০–এর অধিনায়ক অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক (অতিরিক্ত ডিআইজি) মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন বলেন, মোখলেছুর রহমান অস্ত্র তৈরির কারিগর। প্রায় এক যুগ ধরে তিনি ভারতের কলকাতা ও শিলিগুড়িতে মূর্তি ও ভাস্কর্য তৈরি করছিলেন। সেখানে সুকুমার নামক এক অস্ত্র তৈরির কারিগরের সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়। সুকুমারের কাছ থেকে তিনি অস্ত্র তৈরির দক্ষতা অর্জন করেন। এখন তিনি দেশে অস্ত্র তৈরি করছেন। তবে তিনি এখনো নিয়মিত ভারতে আসা-যাওয়া করেন।গ্রেপ্তার হওয়া অন্য ব্যক্তিরা হলেন, তানভির আহম্মেদ (৩২), অনিক হাসান (২৮), আবু ইউসুফ ওরফে সৈকত (২৮), রাজু হোসেন (৩৮) এবং আমির হোসেন। র‌্যাব জানায়, মোখলেছুরের অন্যতম সহযোগী তানভির একজন লেজার সিএনসি ডিজাইনার। তিনি নকশা অনুযায়ী বিভিন্ন অস্ত্রের যন্ত্রাংশ তৈরির কাজ করতেন। অনিক ও সৈকত মূলত এসব অস্ত্র বিক্রির কাজটি করতেন। একেকটি অস্ত্র তাঁরা তিন লাখ টাকায় বিক্রি করতেন।

৪৭০ পড়েছেন