Sharing is caring!
সিলেটে রয়েছে ৩টি স্থলবন্দর। এই ৩টি স্থলবন্দরের মধ্য সিলেটের বৃহৎ আমদানী-রপ্তানীর স্থলবন্দর হচ্ছে তামাবিল স্থলবন্দর। তামাবিল স্থলবন্দর দিয়ে দীর্ঘদিন থেকে ব্যবসায়ীরা পাথর-কয়লা আমদানি করে আসছেন।সম্প্রতি সিলেটের বৃহৎ এই স্থলবন্দর দিয়ে আমদানীকৃত প্রতিটি ট্রাকে কাস্টমস্ ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরওয়ার্ডিং (সিএনএফ) এজেন্টের সহায়তায় গাড়ী প্রতি ৪শ’৫০ টাকা করে চাঁদা আদায় করা হচ্ছে বলে অভিযোগ ওঠেছে একটি চক্রের বিরুদ্ধে।অনুসন্ধানে জানা যায়, দীর্ঘদিন থেকে তামাবিল স্থলবন্দর দিয়ে ভারত হতে কয়লা-পাথর আমদানী করছেন ব্যবসায়ীরা। এই আমদানীকৃত পাথর-কয়লা কাষ্টম ও বন্দর কর্তৃপক্ষ নির্ধারিত পরিমাপের ভিত্তিত্বে খালাস পদক্ষেপ গ্রহন করে থাকে। যার কারণে এক শ্রেণির ব্যবসায়ীরা কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে নানা অযুহাত সৃষ্টি করে বন্দরে প্রকৃত ব্যবসায়ীদের হয়রানী করে যাচ্ছেন। পরবর্তীকালে তারা বন্দর ও কাষ্টম কর্তৃপক্ষের হয়রানি বন্ধের জন্য কাস্টমস্ ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরওয়ার্ডিং (সিএনএফ) এজেন্টের সাথে আতাত করে তাদের সহায়তায় তারা ট্রাক থেকে চাঁদা উত্তোলণ করে আসছেন। আর এই চাঁদা আদায়কারী চক্রের নেতৃত্ব দিচ্ছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ নেতা, সাবেক প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ও সিলেট-৪ আসনের সংসদ সদস্য ইমরান আহমেদ এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও মৌলভীবাজার-২ আসনের সংসদ সদস্য শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল গ্রুপের কর্মী স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা নলজুরী গ্রামের ও তার সহযোগী ওমর ফারুক।তারা স্থানীয় হওয়ায় এবং তাদের গ্রুপিং রাজনীতির প্রভাব খাটিয়ে কাস্টমস্ ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরওয়ার্ডিং (সিএনএফ) এজেন্টের ৪/৫ জন সহকারীর সহায়তায় গাড়ী প্রতি ৪শ’৫০ টাকা করে চাঁদা আদায় করছেন। স্থানীয়রা এবং ব্যবসায়ীরা এই চাঁদাবাজির প্রতিবাদ করতে গেলে সিণ্ডিকেট চক্রটি নানাভাবে তাদের হুমকি-ধামকি দিয়ে আসছেন।এই চাঁদা আদায়কারী চক্রের নেতৃত্ব দিচ্ছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ নেতা, সাবেক প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ও সিলেট-৪ আসনের সংসদ সদস্য ইমরান আহমেদ এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও মৌলভীবাজার-২ আসনের সংসদ সদস্য শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল গ্রুপের কর্মী স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা নলজুরী গ্রামের আব্দুল করিম রাসেল ও তার সহযোগী ওমর ফারুক।এই বিষয়ে জানতে বুধবার (৩০ এপ্রিল) দুপরে তামাবিল স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ ও কাস্টমস্ কর্মকর্তার কার্যালয়ে যান স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীরা। কাস্টমস্ কর্তৃপক্ষের অফিস থেকে ফেরার পথে শ্রমিক নেতা দাবিকারী আব্দুল করিম রাসেলের নেতৃত্বে কিছু সংখ্যক লোকজন সাংবাদিকদের অকথ্য ভাষায় গালি-গালাজসহ নানা হুমকি-ধামকি দেন।এসময় আব্দুল করিম রাসেল জানান, ‘কাস্টমস্ ও বন্দর কর্তৃপক্ষের এলাকায় সাংবাদিকদের প্রবেশ করতে হলে তার (আব্দুল করিম রাসেল) অনুমতি নিতে হবে। অন্যথায় এখানে সাংবাদিকরা প্রবেশ করতে পারবে না।এসময় আব্দুল করিম রাসেলে সাথে থাকা লোকজন গণমাধ্যমকর্মী সাইফুল ইসলাম বাবুর ব্যবহৃত ক্যামেরা ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন।স্থানীয় ব্যবসায়ী প্রতিনিধি মহরম আলী জানান, ‘সমিতির অফিস খরচ বাবৎ প্রতি গাড়ী হতে ৪শ’ ৫০ টাকা করে সংগ্রহ করা হয়। টাকা কি করা হচ্ছে?জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আপনি আমার সাথে দেখা করেন। তখন আপনাকে বিষয়টি বলবো।কাস্টমস্ কর্মকর্তা ইয়াকুব জাহিদ বলেন, ‘বন্দর কর্তৃপক্ষের সঠিক পরিমাপের ভিত্তিত্বে আমাদের কাছে পাস আসার পর আমরা ক্লিয়ারেন্স দেই। এর বাহিরে আমাদের আর কিছু করার থাকে না।এদিকে তামাবিল স্থলবন্দরের সহকারি পরিচালক (ট্রাফিক) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘পণ্যবাহী সকল গাড়িগুলো সঠিকভাবে পরিমাপের ভিত্তিত্বে আমাদের বন্দরে প্রবেশ করে। পণ্য আনলোডের পর পুনরায় গাড়ি পরিমাপ করা হয়। পরিমাপ ছাড়াও একটি গাড়িও এদিক-সেদিক হয় না। ট্রাকপ্রতি চাঁদা আদায়ের বিষয়টি আমার জানা নেই। আমাদের কোনো কর্মকর্তা এখানে জড়িত নয়।নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন ব্যবসায়ী জানান, ‘ব্যবসায়ীক ফায়দা হাসিলের কথা বলে এই চাঁদাবাজচক্র স্থানীয় ব্যবসায়ীদের চুষে ফেলছেন। প্রতিদিনই ট্রাকপ্রতি ৪শ’ ৫০ টাকা করে দিয়েও নানাভাবে হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে। চাঁদা না দিলে ট্রাকগুলো ক্লিয়ারেন্স পায় না। ট্রাকের ক্লিয়ারেন্স পেতে হলে আগে তাদের টাকা দিতে হয়। টাকা দেয়ার পরও তাদের নানা কথা শুনতে হয়। আর কেউ প্রতিবাদ করতে গেলে তাদের নানাভাবে হুমকি-ধামকি দেওয়া হয়। তাই স্থানীয় কোনো ব্যবসায়ীরা কেউ প্রতিবাদ করতে সাহস পায় না।
২২ পড়েছেন