• ১০ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ২৬শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ১৫ই মহর্‌রম, ১৪৪৭ হিজরি

চালের মূল্যবৃদ্ধি রোধ সহ স্থিতিশীল অবস্থায় ফিরিয়ে আনার দাবীতে প্রধান উপদেষ্টা সহ ২৩ উপদেষ্টা বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান

admin
প্রকাশিত মে ২০, ২০২৫
চালের মূল্যবৃদ্ধি রোধ সহ স্থিতিশীল অবস্থায় ফিরিয়ে আনার দাবীতে প্রধান উপদেষ্টা সহ ২৩ উপদেষ্টা বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান

Sharing is caring!

সিলেট কল্যাণ সংস্থা, সিলেট বিভাগ যুব কল্যাণ সংস্থা ও সিলেট প্রবাসী কল্যাণ সংস্থার যৌথ উদ্যোগে মঙ্গলবার (২০ মে ২০২৫) বেলা ১১.৩০ ঘটিকায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে চালের মূল্যবৃদ্ধি রোধ সহ স্থিতিশীল অবস্থায় ফিরিয়ে আনার দাবীতে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা সহ ২৩ উপদেষ্টা বরাবর (মাধ্যমঃ জেলা প্রশাসক, সিলেট) স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।জাতীয় যুব দিবস ২০১০ এ জাতীয় যুব পুরস্কার শ্রেষ্ঠ যুব সংগঠক পদকপ্রাপ্ত সংস্থাগুলোর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও সিলেট কল্যাণ সংস্থার কার্যকরী কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ এহছানুল হক তাহেরের নেতৃত্বে বৈরী আবহাওয়া উপেক্ষা করে স্মারকলিপি প্রদান কর্মসূচীতে উপস্থিত ছিলেন সিবিযুকস’র সিলেট জেলা কমিটির সভাপতি হাজী মোঃ আশরাফ উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক মাসুম মিয়াজী, বিভাগীয় কমিটির সহ-সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ সাজ্জাদ খান, সাংগঠনিক সম্পাদক মুসলেহ উদ্দিন চৌধুরী মিলাদ, সিলেট মহানগর কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোঃ রফিকুল ইসলাম শিতাব, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক দিপক কুমার মোদক বিলু, নেতৃবৃন্দদের মধ্য থেকে জয়নাল আবেদীন ও সাগর দে।স্মারকলিপির বিষয়বস্তুঃ বাংলাদেশের সাধারণ জনগণের প্রধান খাদ্য ভাত। যা চাল থেকে তৈরী। সেই চালের মূল্য হুট করে কেজি প্রতি ১০/১২ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। বাংলাদেশের বাজারে গত কয়েকদিন ধরে হটাৎ করে বেড়েছে চালের দাম। সিলেটের বাজারে ক্রমাগতভাবে ৩/৪ মাসের মধ্যে ২৫ কেজি চালের বস্তা প্রতি দাম বেড়েছে ৫০০/৭০০ টাকা। সামর্থ্য অনুযায়ী বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষ ভিন্ন রকমের চাল খেয়ে থাকেন। দেশের বাজারে প্রতিনিয়তই বাড়ছে চালের দাম। সম্প্রতি খুচরা পর্যায়ে কেজিতে চালের দাম ১০ টাকা থেকে ১২ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। মজুতদার ও সিন্ডিকেটবাজদের কারণে কোনোভাবেই নিয়ন্ত্রণে আসছে না চালের বাজার। উৎপাদন বাধাগ্রস্ত হওয়া, হাট-বাজার-সড়কে চাঁদাবাজি, আমদানি করা চাল না আসা, সরকারের সংগ্রহ টার্গেট ফেল করা, কয়েক স্তরে হাতবদল, সরকারি মজুত কমে যাওয়াসহ বিভিন্ন কারণে অব্যাহতভাবে বাড়ছে চালের দাম। বাংলাদেশের সাধারণ জনগণের প্রধান খাদ্য চালের দাম সহনীয় পর্যায়ে রাখতে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারে পক্ষ থেকে কার্যকর ও কঠোর হস্তক্ষেপ প্রয়োজন। উৎপাদনকারী কৃষকের মাঠ থেকে খুচরা বিক্রেতার মাধ্যমে ভোক্তার হাতে চাল তুলে দেওয়ার ক্ষেত্রে কয়েক স্তরে হাতবদল হয়। প্রত্যেক স্তরেই মুনাফা লাভের কারণে সার্বিকভাবে বেড়ে যায় চালের দাম। সরকারের কোনও উদ্যোগেই হাতবদলের এই স্তর সংখ্যা কমানো যাচ্ছে না। কৃষকের গোলার ধান মিলারদের কাছে যায়। সেখান থেকে মোকামের আড়তদার, মোকামের আড়তদার থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানের চালের আড়তদার, সেখান থেকে হাতবদল হয়ে পাইকারি বাজারের ব্যবসায়ী, সেখান থেকে খুচরা ব্যবসায়ী হয়ে ভোক্তার হাতে পৌঁছাতে হয় চাল। পরিবহন খরচ বাদ দিয়ে প্রত্যেক স্তরেই কেজিতে ৩ থেকে ৫ টাকা মুনাফা ধরে হাতবদল হওয়ার কারণে প্রতি কেজি চালের দাম বাড়ে ১৫ থেকে ২০ টাকা। ফলে ৫০ টাকার চালের দাম বেড়ে দাঁড়ায় ৬৫ থেকে ৭০ টাকা। প্রধান খাদ্য চালের মূল্যবৃদ্ধি রোধ সহ স্থিতিশীল অবস্থায় ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে মাঠ পর্যায়ে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে আপনার সুদৃষ্টি কামনা করছি। বাংলাদেশের প্রধান খাদ্য চালের মূল্যবৃদ্ধি রোধ সহ স্থিতিশীল অবস্থায় ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে মাঠ পর্যায়ে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে আপনার যেন মর্জি হয়।

৪৮ পড়েছেন