• ২৩শে মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ৯ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ২৫শে জিলকদ, ১৪৪৬ হিজরি

বিএসএফ সিলেট বিভাগের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে ১৬৫ জনকে পুশইন করেছে

admin
প্রকাশিত মে ২১, ২০২৫
বিএসএফ সিলেট বিভাগের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে ১৬৫ জনকে পুশইন করেছে

Sharing is caring!

সিলেট, মৌলভীবাজার, সুনামগঞ্জ ও হবিগঞ্জ—সবকটির সঙ্গেই রয়েছে ভারতীয় সীমান্ত। ৩০২ কিলোমিটারজুড়ে বিস্তৃত এই সীমান্ত অঞ্চলে বছরের নানা সময়েই চোরাচালান, হত্যা ও অনুপ্রবেশের মতো ঘটনার ঝুঁকি থাকে। তবে সাম্প্রতিক সময়ে উদ্ভূত পরিস্থিতি তুলনামূলকভাবে ভিন্ন এবং বেশ স্পর্শকাতর। ভারতের কারফিউ জারির আগে ও পরে সিলেট বিভাগের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে ১৬৫ জনকে পুশইন করেছে বিএসএফ। বিভিন্ন সময়ে সীমান্তে সাময়িক উত্তেজনা দেখা দিলেও বিজিবি ও প্রশাসনের তৎপরতায় তা এখন পর্যন্ত নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

পরিসংখ্যান বলছে,

৬ ও ৭ মে বড়লেখার পাল্লাথল ও লাতু সীমান্ত দিয়ে ৬০ জন

৭ মে কমলগঞ্জের ধলাই সীমান্ত দিয়ে ১৫ জন

১৪ মে বড়লেখার উত্তর শাহবাজপুর সীমান্ত দিয়ে ৪৪ জন

১৫ মে কুলাউড়ার মুরাইছড়া সীমান্ত দিয়ে ১৪ জন

১৫ মে বড়লেখার নিউ পাল্লাথল সীমান্ত দিয়ে ১৬ জন পুশইন হয়েছে

ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে ভারতের মেঘালয় রাজ্য সরকার গত ৮ মে থেকে সীমান্ত এলাকায় রাত্রীকালীন কারফিউ জারি করে। মূলত এর পর থেকেই সিলেট সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে পুশইনের বেশ কয়েকটি ঘটনা ঘটে। বিজিবি জানায়, মৌলভীবাজারের বড়লেখা, কুলাউড়া ও কমলগঞ্জ সীমান্ত দিয়ে সম্প্রতি ১৪৯ জনকে বাংলাদেশে পুশইন করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী। সিলেটের কানাইঘাট সীমান্ত দিয়েও গত ১৪ মে ১৬ জনকে পুশইন করা হয়। তবে, হবিগঞ্জ ও সুনামগঞ্জ সীমান্তে এখনো তেমন কোনো অনুপ্রবেশের তথ্য পাওয়া যায়নি।সুনামগঞ্জ ব্যাটালিয়নের (২৮ বিজিবি) অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল একেএম জাকারিয়া কাদির বলেন, “পরিস্থিতি বিবেচনায় সীমান্তে টহল ও নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। চোরাচালান, পুশইন বা যে কোনো ধরনের অনুপ্রবেশ ঠেকাতে বিজিবি সর্বোচ্চ সতর্ক রয়েছে।”সিলেট জেলা প্রশাসক শের মাহবুব মুরাদ বলেন, “সীমান্তে কোনো অস্থিরতা না ছড়াতে স্থানীয় জনগণকে সচেতন থাকতে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে বিজিবির তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।আতঙ্কিত না হয়ে পরিস্থিতি মোকাবেলায় সীমান্তবাসীকে সহযোগিতা করার আহ্বান জানানো হয়েছে বিজিবি ও স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে।অন্যদিকে, সীমান্ত পরিস্থিতির গুরুত্ব বিবেচনা করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সীমান্তবর্তী জেলার পুলিশ সুপারদের কাছে বিশেষ বার্তা পাঠিয়েছে। সিলেট জেলা পুলিশের মিডিয়া ফোকাল পয়েন্ট কর্মকর্তা মো. সম্রাট তালুকদার বলেন, “সিলেট জেলা পুলিশের অধীনে ৬টি সীমান্তবর্তী উপজেলা রয়েছে, যেখানে ১৮৯ কিলোমিটার সীমান্ত এলাকা রয়েছে। এসব এলাকায় সমসাময়িক ঘটনা ছাড়া পুলিশ সবসময় সতর্ক অবস্থানে থাকে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বজায় রাখতে গোয়েন্দা নজরদারিও জোরদার করা হয়েছে।

পড়েছেন