• ১২ই জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ২৯শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ১৬ই জিলহজ, ১৪৪৬ হিজরি

সোনার বাজার আবারও বড় ধরনের দরপতনের মুখে পড়েছে

admin
প্রকাশিত জুন ১০, ২০২৫
সোনার বাজার আবারও বড় ধরনের দরপতনের মুখে পড়েছে

Sharing is caring!

আবারও বড় ধরনের দরপতনের মুখে পড়েছে সোনার বাজার। মার্কিন-চীন বাণিজ্যে শুল্ক নিয়ে ইতিবাচক আলোচনায় বিশ্ববাজারে মূল্যবান এ ধাতুটির দাম কমছে।খালিজ টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দিনের শুরুতে দুবাইয়ের বাজারে ২৪ ক্যারেট সোনা প্রতি গ্রাম ৩৯৮.৫০ দিরহামে বিক্রি হচ্ছিল। ২২ ক্যারেট, ২১ ক্যারেট ও ১৮ ক্যারেটের দাম ছিল যথাক্রমে ৩৬৯, ৩৫৪ এবং ৩০৩ দিরমা। আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতি আউন্স সোনার দাম ছিল ৩ হাজার ৩০৮.০৫ ডলার যা আগের দিনের তুলনায় প্রায় ০.৭৭ শতাংশ কম।সপ্তাহের শুরুর তুলনায় মঙ্গলবার (১০ জুন) স্বর্ণের দামে হালকা পতন দেখা গেছে। তবে দাম এখনও তুলনামূলকভাবে উচ্চ পর্যায়েই রয়েছে।এদিকে শনিবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, সুদের হার ১ শতাংশ কমানো দরকার এবং ফেডারেল রিজার্ভের চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েল দেশের ক্ষতি করছেন। তার এই বক্তব্য বাজারে নতুন করে অনিশ্চয়তা তৈরি করেছে।বেলবারকা বলেন, ফেড অতীতেও রাজনৈতিক চাপ সামলেছে, কিন্তু এখন বাজার ভাবছে-ফেড আদৌ কতটা স্বাধীনভাবে সিদ্ধান্ত নিতে পারবে। এই অনিশ্চয়তা স্বর্ণের প্রতি আগ্রহ বাড়িয়েছে, কারণ অনেকেই এখন এটি নিরাপদ বিনিয়োগ হিসেবে দেখছেন।তিনি আরও জানান, এই মুহূর্তে সোনার দাম কিছুটা ওঠানামার মধ্যে আছে। শক্তিশালী অর্থনৈতিক তথ্যের কারণে সুদের হার না কমার সম্ভাবনা বাড়লেও, অনেকে এখনও হার কমার দিকেই তাকিয়ে আছেন। আজ গুরুত্বপূর্ণ কোনো তথ্য প্রকাশ না হওয়ায় দাম মূলত বাজারের মনের ওপর নির্ভর করছে।তবে তিনি সতর্ক করে বলেন, যদি ট্রাম্প আবার উত্তেজনাপূর্ণ কিছু বলেন বা চীনের সঙ্গে বাণিজ্য নিয়ে টানাপোড়েন বাড়ে, তাহলে সোনার দাম ৩ হাজার ৩৫০ ডলার পর্যন্ত উঠতে পারে। আর ফেড যদি কড়া অবস্থান নেয়, তাহলে দাম ৩ হাজার ৩০০ ডলারের আশেপাশে স্থির থাকতে পারে।বিশ্লেষকরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক চাকরির বাজার সংক্রান্ত তথ্য, সুদের হার নিয়ে রাজনৈতিক চাপ ও ফেডারেল রিজার্ভের নীতিনির্ধারণ- সব মিলিয়ে সোনার দামে সাময়িক টানাপোড়েন তৈরি হয়েছে।

পড়েছেন