• ৬ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ২২শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ১১ই মহর্‌রম, ১৪৪৭ হিজরি

সিলেট জেলাজুড়ে সবধরনের পরিবহণে কর্মবিরতির পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি থেকে কিছুটা সরে এসেছেন আন্দোলনকারীরা

admin
প্রকাশিত জুলাই ৬, ২০২৫
সিলেট জেলাজুড়ে সবধরনের পরিবহণে কর্মবিরতির পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি থেকে কিছুটা সরে এসেছেন আন্দোলনকারীরা

Sharing is caring!

রবিবার (৬ জুলাই) এ কর্মসূচি শেষে সোমবার থেকে সিলেট জেলাজুড়ে সবধরনের পরিবহণে কর্মবিরতির পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি থেকে কিছুটা সরে এসেছেন আন্দোলনকারীরা।আন্দোলনরত শ্রমিক নেতাদের নির্ভরযোগ্য একাধিক সূত্র জানিয়েছে মঙ্গলবার ৮ জুলাই থেকে এ কর্মসূচি পূর্ণমাত্রায় শুরু হবে।তারা জানায়, সোমবার (৭ জুলাই) বিএনপির শীর্ষ নেতৃবৃন্দের সিলেট সফরকে নির্বিঘ্ন করতে তারা পরিবহন কর্মবিরতির কর্মসূচি একদিন পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে।দেশের বিভিন্ন স্থানের পাথর কোয়ারিগুলোর উপর থেকে পাথর উত্তোলনে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হলেও ব্যতিক্রম সিলেট। এ অঞ্চলে আর কোনো পথর কোয়ারি খোলে না দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন পরিবেশ উপদেষ্টা।এরপর লাগাতার আন্দোলনের হুমকি দেয় সিলেটের পাথর সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদ।এদিকে তাদের কর্মসূচির বিষয়টি তুলে ধরে সিলেটের জেলা সড়ক পরিবহণ বাস মিনিবাস মালিক সমিতির সভাপতি আব্দুর রহিম, সাধারণ সম্পাদক শেখ এমরান হোসেন ঝুমু, সিলেট জেলা সড়ক পরিবহণ বাস-মিনিবাস, কোচ-মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি ময়নুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মুহিম স্বাক্ষরীত স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।তারই ধারাবাহিকতায় গত ২৮ জুন থেকে তারা কোয়ারি ও লোড আনলোড পয়েন্টে কর্মবিরতি পালনের পর থেকে পণ্য পরিবহণ ধর্মঘট চালিয়ে যাচ্ছেন।৬ জুলাই রবিবার এ কর্মসূচি শেষে শুরুর কথা সব ধরনের পরিবহনের ক্ষেত্রে অনিদিষ্টকালের কর্মবিরতি। তবে ৭ জুলাই সিলেটে একটি দোয়া মাহফিলে বিএনপির শীর্ষ নেতৃবৃন্দ সিলেট আসার কথা।যাতে তাদের কোনো অসুবিধা না হয়, তাই তারা ৭ তারিখ কেবল পণ্য পরিবহনে কর্মবিরতি কর্মসূচি রেখেছেন।৮ জুলাই থেকে সিলেট জেলাজুড়ে অনিদিষ্টকালের জন্য সব ধরনের পরিবহনে কর্মবিরতি কর্মসূচি কঠোরভাবে পালন করা হবে বলে জানিয়েছেন সিলেট জেলা বাস মিনিবাস কোচ মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি ময়নুল ইসলাম।এদিকে সাধারণ এ আন্দোলন দিনে দিনে কঠিনের দিকে যাচ্ছে। তাই সিলেটবাসীর মধ্যে উদ্বেগ উৎকন্ঠাও বাড়ছে। তবে সিলেটের জেলা প্রশাসক শের মাহবুব মুরাদ শনিবার সিলেটভিউর সাথে আলাপকালে জানান, সার্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্বিক পরিস্থিতি তারা পর্যবেক্ষণ করছেন।একদফা দাবিতে শুরু হওয়া এ আন্দোলন এখন পাঁচ দফায় পরিণত হয়েছে। অন্য ৪টি দফা হচ্ছে, ক্রাশার মেশিন ধ্বংস না করা, পরিবহন শ্রমিকদের হয়রানি বন্ধ, পাথরবাহি ট্রাক না থামানো, বিআরটিএ অফিসে শ্রমিক হয়রানি বন্ধ।

পড়েছেন