Sharing is caring!
বৃহস্পতিবার বিকালে সিলেটের জেলা প্রশাসক শের মাহমুদ মুরাদ সাদাপাথর পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের বলেন,যারা সাদাপাথর লুটপাট করেছে বা তাদের মদদ দিয়েছে, তাদেরকে চিহ্নিত করে আটক করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তাছাড়া লুট হওয়া সাদাপাথর পুনরায় সেখানে প্রতিস্থাপন করা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত ১২ হাজার ঘনফুট পাথর উদ্ধার করে সাদাপাথরে প্রতিস্থাপন করা হচ্ছে।পরিদর্শনে আরো উপস্থিত ছিলেন সিলেটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. নুরে জামান চৌধুরী, সিলেট জেলার এডিশনাল এসপি মতিউর রহমান, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আজিজুন নাহার প্রমুখ।এসময় তিনি আরো বলেন বুধবার থেকে যৌথবাহিনীর অভিযানে ১২০টি সাদাপাথর বুঝাই ট্রাক আটক করা হয়েছে। এই পাথরগুলোও সাদাপাথর এনে প্রতিস্থাপন করা হবে। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরো বলেন, লোকাল প্রশাসনের গাফিলতি থাকলে তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।এর আগে বুধবার সন্ধ্যায় সাদাপাথর থেকে লুটপাট করে নিয়ে আসা পাথর পুনরায় সাদাপাথর এলাকায় প্রতিস্থাপন করা শুরু করে উপজেলা প্রশাসন।সন্ধ্যা থেকে তাদের এই অভিযান চলে ভোর পর্যন্ত। এদিন সিলেটের জেলা প্রশাসনের সমন্বয় সভায় পাথর লুটপাট ঠেকাতে লুট হওয়া সাদাপাথর প্রতিস্থাপনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।এতে বলা হয়, লুটপাট হওয়া সাদাপাথর উদ্ধার করে পুনরায় আগের জায়গায় নিয়ে ফেলা হবে। এছাড়াও এ সভায় আরো সিদ্ধান্ত হয় সাদাপাথর এলাকায় ২৪ ঘণ্টা যৌথবাহিনী দায়িত্ব পালন করবে।কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নেতৃত্বে অভিযান চলে এ অভিযান। অভিযানে কালাইগর এলাকা থেকে ১২ হাজার ঘনফুট পাথর উদ্ধার করা হয়। পরে এই পাথর নৌকা দিয়ে আবারও সাদাপাথর এলাকায় প্রতিস্থাপন করা হয়।কোম্পানীগঞ্জে পুলিশের চেকপোস্টে যৌথ বাহিনীসহ সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করবে। অবৈধ ক্রাশিং মেশিনের বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্নসহ বন্ধ করার জন্য অভিযান চলমান থাকবে। পাথর চুরির সঙ্গে জড়িত সবাইকে চিহ্নিত করে গ্রেফতার ও আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।
৬৫ পড়েছেন