• ১৬ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ৩১শে আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ২৪শে রবিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি

আ.লীগের লোকজন নিয়ে নির্দেশনাটি আমাদের নয়: এসএমপি কমিশনার

admin
প্রকাশিত অক্টোবর ৩, ২০২৫
আ.লীগের লোকজন নিয়ে নির্দেশনাটি আমাদের নয়: এসএমপি কমিশনার

Sharing is caring!

স্টাফ রির্পোটার: পুলিশের সেবা আরও সহজ করতে এবার এবহরবঅ অ্যাপস চালু করেছে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ (এসএমপি)। আগামী ১৬ অক্টোবর থেকে মোগলাবাজার থানায় পরীক্ষামূলকভাবে চালু হবে এই অ্যাপ। প্রাথমিকভাবে দুই সেবা মিলবে এসএমপির অ্যাপে। তবে পর্যায়ক্রমে এসএমপির কোতোয়ালী, দক্ষিণ সুরমা, বিমানবন্দর ও জালালাবাদ থানায়ও এই অ্যাপ চালু করা হবে। বুধবার দুপুরে এসএমপির সদর দপ্তরের কনফারেন্স রুমে এই অ্যাপসের উদ্বোধন করেন এসএমপির কমিশনার আবদুল কুদ্দুস চৌধুরী পিপিএম। পুলিশ কমিশনার বলেন, অ্যাপকে বললে জিডির আকারে লিখে দেবে মামলা। অ্যাপকে বললে সুন্দরভাবে এজাহারের নিয়মে মামলা লিখে দেবে আবার যাচাই-বাছাই করে ওকে করলে তা আমাদের সিস্টেমে চলে আসবে। অন্যান্য সংস্থার সঙ্গে একীভূত ইন্ডাকশন, পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসসহ অন্যান্য সংস্থাগুলোকে একত্রিত করে সমন্বিতভাবে জরুরি সেবায় যুক্ত করা হবে। অ্যাপে কোনো দুর্ঘটনার খবর জানালে তা ফায়ার সার্ভিসে ট্রান্সফার করে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি বলেন, ক্রাইম হিট ম্যাপ কোন এলাকায় কোন অপরাধ বেশি হচ্ছে, কোথায় যানজট ইত্যাদি জানা যাবে। এছাড়া ট্রাফিক ফাইন অ্যাপের মাধ্যমে প্রদানের ব্যবস্থা করা, ইমারজেন্সি অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস, উবার ও পাঠাও সার্ভিস এবং সিএনজির অতিরিক্ত ভাড়া ও ছিনতাই রোধে এই অ্যাপটি সহায়ক হবে। যারা সাইবার বুলিং করে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আবদুল কুদ্দুস চৌধুরী পিপিএম নগরবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, আমরা মানবিক পুলিশের স্বপ্ন দেখি, আপনারা আমাদেরকে বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দিন।
অপরদিকে আওয়ামী লীগের লোকজন নিয়ে ফেইসবুকে ছড়িয়ে পড়া নির্দেশনাটি নিজেদের বক্তব্য নয় বলে আবারও জানিয়েছেন, সিলেট মহানগর পুলিশ কমিশনার আব্দুল কুদ্দুস চৌধুরী। বুধবার এবিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এগুলো আমাদের বক্তব্য নয়, পুলিশ অযথা কাউকে হয়রানি করবে না’। সিলেট মহানগর এলাকায় আওয়ামী লীগের লোকজন যেনো প্রকাশ্যে থাকতে না পারেন, মহানগরের ছয় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) পুলিশ কমিশনারের দেওয়া এমন একটি নির্দেশনা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। এই নির্দেনায় প্রতিদিন দুজন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী গ্রেপ্তার করার কথাও উল্লেখ রয়েছে। এ নিয়ে শুরু হয় আলোচনা-সমালোচনা ও বিতর্ক। বুধবার দুপুরে সিলেট মহানগর পুলিশের নতুন উদ্যোগ ‘জিনিয়া’ এ্যাপসের উদ্বোধন উপলক্ষ্যে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করেন পুলিশ কমিশনার আব্দুল কুদ্দুস চৌধুরী। সংবাদ সম্মেলন শেষে ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া ওই নির্দেশনা প্রসঙ্গে আব্দুল কুদ্দুস চৌধুরী বলেন, আমি এখানে জয়েন করার পর থেকে বলছি যে, আমরা একটা মানবিক পুলিশ চাই। এবং আমাদের সকল অফিসার এবং ফোর্সকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে যে নিরীহ কোন ব্যক্তিকে কোন অবস্থায় যেন হয়রানি করা হবে না। তিনি বলেন, জুলাই আগস্ট আন্দোলনে যে সকল মামলা হয়েছে এবং যে সকল মামলায় অনেক অভিযোগ আসছে যে তাদেরকে হয়রানিমূলক ভাবে এই মামলাগুলোতে অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে। আমরা যাচাই বাছাই করে তাদেরকে চার্জশীটি দেওয়ার আগেই বাদ দেওয়ার জন্য কার্যক্রম শুরু করেছি গতকাল। আমাদের এই কাজটা অব্যাহত থাকবে। পুলিশ কমিশনার আরও বলেন, আমি আমার নীতিটা আবার পরিষ্কার করছি, সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ অযথা কাউকে হয়রানি করবে না। আমাদের আইনগত যে দায়িত্ব আছে আমরা মানবাধিকার সমুন্নত রেখে এই কাজগুলো করে যাব। আমাদের কাজ হচ্ছে জনশৃঙ্খলা রক্ষা করা। এই শৃঙ্খলা রক্ষা করতে গিয়ে কোন ধরনের অতিরিক্ত নিয়ন্ত্রণ আরোপ-এটা নীতিসিদ্ধ নয়। আমরা মানবাধিকারের বিষয়টাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে আমাদের কার্যক্রমগুলো পরিচালনার জন্য সকল অফিসার এবং ফোর্সকে নির্দেশনা দিয়েছি। তিনি বলেন, যেই কথাটা আসছে এবং বিভিন্ন মিডিয়াতে যেভাবে আসছে এগুলো আসলে কিভাবে আসছে আমি জানি না। এগুলো আসলে আমাদের বক্তব্য নয়। এবং এই ধরনের কোন নির্দেশনা দেওয়া হয়নি। এ বিষয়ে মঙ্গলবার আবদুল কুদ্দুছ চৌধুরী সিলেটটুডেকে বলেছিলেন, এই নির্দেশনায় কিছু শব্দগত ভুল থাকতে পারে। এটি সংশোধন করে আবার আমরা প্রেরণ করবো। গতকাল বুধবার সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, জিনিয়া এ্যাপ ১৬ অক্টোবর থেকে চালু হবে। প্রাথমিক অবস্থায় এটি মোগলবাজার থানায় চালু হবে। এরপর পুরো নগরে বিস্তৃৃত হবে এই এ্যাপের কার্যক্রম। পুলিশ কমিশনার জানান, এই অ্যাপে রেজিস্ট্রেশন করে নগরের যে কোন বাসিন্দা যেকোন পুলিশ সহায়তা চাইতে পারবেন। নগরে ব্যাটারি রিকশার বিরুদ্ধে চলমান অভিযান প্রসঙ্গে তিনি বলেন, পুলিশ কোন কাজ করতে চাইলে সবসময়ই একটি পক্ষ ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার ঝুঁকি থাকে। এই চ্যালেঞ্জ নিয়েই আমাদের কাজ করতে হয়। ব্যাটারি রিকশার বিরুদ্ধে অভিযানও চলমান আছে। এটি অবাহত থাকবে।

৩৩ পড়েছেন