Sharing is caring!
বিশেষ প্রতিবেদন: দেশের বিভিন্ন স্থানের মতো সিলেটের গোলাপগঞ্জ ও কানাইঘাট উপজেলায় প্রতিনিয়ত গড়ে উঠছে অবৈধ ডজন খানেক ইটভাটা। এসব ইটভাটা বন্ধে নেই স্থানীয় প্রশাসনের কোন প্রদক্ষেপ। অদৃশ্য কারণে দীর্ঘ দিন থেকে প্রশাসন রয়েছে নিরব দর্শকের ভুমিকায়। এসব সব ইটভাটা বন্ধ সহ সারাদেশে গড়ে ওঠা পরিবেশ দূষণকারী ইটভাটার দূষণ নিয়ন্ত্রণ, অবৈধ ইটভাটা বন্ধ এবং প্লাস্টিক ও পলিথিন ব্যবহার রোধের লক্ষ্যে মঙ্গলবার জেলা প্রশাসকদের সঙ্গে বিশেষ সভা করা হয়েছে। পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে আয়োজিত এ সভায় সচিব ড.ফারহিনা আহমেদ সভাপতিত্ব করেন। সভায় সচিব ডক্টর ফারহিনা আহমেদ বলেন, দেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে ইটভাটায় কৃষিজমির মাটির ব্যবহার, কৃষি জমি বিনষ্টকরণ বন্ধ করতে হবে। ইটভাটার জ্বালানি হিসাবে গাছপালা কেটে কাঠ পোড়ানো বন্ধ করাসহ অবৈধ ও পরিবেশ দূষণকারী ইটভাটাগুলোর বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তিনি জেলা প্রশাসকদের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি এ সময় সরকার ঘোষিত লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী ২০২৫ সাল নাগাদ সব সরকারি কাজে ১০০ ভাগ পরিবেশবান্ধব বøক ইট ব্যবহার নিশ্চিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা প্রদান করেন। তবে ইতোমধ্যে সিলেট জেলার কানাইঘাট উপজেলার ৯নং রাজাগঞ্জ ইউনিয়নরে ৭নং ওয়ার্ডে গড়ে উঠছে একটি অবৈধ ইটভাটা। এই ইটভাটার বিরুদ্ধে কানাইঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে মোখিক ভাবে অবহিত করা হয়েছে। যদিও তিনি নিশ্চুপ রয়েছেন।
এদিকে আজ ইটাভাটাসহ বিভিন্ন ধরনের দূষণ রোধের লক্ষ্যে সব অংশীজনকে সংশ্লিষ্ট করতে জরুরি ভিত্তিতে দেশের সব জেলায় অবহিতকরণ সভা আয়োজনের জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা প্রদান করেন। তবে সিলেট জেলার সকল অবৈধ ইটভাটা বন্ধের ব্যাপারে কি ভাবছেন সিলেঠের জেলা প্রশাসক মজিবুর রহমান। আজকের সভায় সরকার কর্তৃক নিষিদ্ধ ঘোষিত পলিথিন শপিং ব্যাগ উৎপাদন ও ব্যবহার এবং মোড়ক বাজারজাতকরণ বন্ধে পরিবেশ অধিদপ্তর এবং জেলা প্রশাসন পরিচালিত নিয়মিত এনফোর্সমেন্ট ও মোবাইল কোর্ট কার্যক্রম জোরদার করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। কঠিন বর্জ্য সুব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিধিমালা, ২০২১ বাস্তবায়নের প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণের সিদ্ধান্ত হয়। এছাড়াও উপকূলীয় অঞ্চলের ১২ জেলার ৪০টি উপজেলায় সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিকের ব্যবহার বন্ধে প্রণীত তিন বছর মেয়াদি কর্মপরিকল্পনা জরুরিভিত্তিতে বাস্তবায়নের নির্দেশনা প্রদান করা হয়। সভায় অতিরিক্ত সচিব (পরিবেশ) সঞ্জয় কুমার ভৌমিক, অতিরিক্ত সচিব (পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণ) মিজানুর রহমান, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডক্টর আবদুল হামিদসহ মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। দেশের ৬৪ জেলার জেলা প্রশাসকরা ও পরিবেশ অধিদপ্তরের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা ভার্চুালি যুক্ত ছিলেন। সভায় ইটভাটার দূষণজনিত ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এবং অবৈধ ইটাভাটার বিরুদ্ধে গৃহীত ব্যবস্থাসহ সভার কার্যপত্র উপস্থাপন করেন মন্ত্রণালয়ের পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণ শাখার উপসচিব ডক্টর সৈয়দ শাহজাহান আহমেদ।
৬৭৫ পড়েছেন