• ৮ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ২৪শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ১৩ই মহর্‌রম, ১৪৪৭ হিজরি

‘নাটকীয়তায় শীর্ষে আরিফ- অবশেষে না -ভাগ্য খোলে গেলো আনোয়ারুজ্জামানের

admin
প্রকাশিত মে ২০, ২০২৩
‘নাটকীয়তায় শীর্ষে আরিফ- অবশেষে না -ভাগ্য খোলে গেলো আনোয়ারুজ্জামানের

Sharing is caring!

বিশেষ প্রতিনিধি: অবশেষে অনেক নাটকীয়তার পর নির্বাচন নিয়ে নিজের সিদ্ধান্তের কথা জানালেন সিলেট সিটি করপোরেশনের বর্তমান মেয়র ও বিএনপির কেন্দ্রীয় সদস্য আরিফুল হক চৌধুরী। আসন্ন ২১ জুন অনুষ্ঠিতব্য সিটি নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন না তিনি। শনিবার (২০ মে) বিকেলে নগরীর ঐতিহাসিক রেজিস্ট্রারি মাঠে জনসভায় এই সিদ্ধান্ত জানান তিনি। জনসভায় বক্তব্যকালে আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, আমি শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আর্দশে বিএনপির রাজনীতি শুরু করি। আমার জীবন থাকতে এই দলের ক্ষতি হয় এমন কোন সিদ্ধান্ত নিবো না। অনেকেই আমাকে উকিল আব্দুস সাত্তার বানানোর চেষ্টা করেছেন। কিন্তু আমি সেই সুযোগ কাউকে দিতে চাই না। এই সরকারের অধীনে কোন নির্বাচন করার পরিবেশ নেই। বিশেষ করে ইভিএম নিয়ে নগরের মানুষজন জানে না। এটা ভোট কারচুপির মহা আয়োজন। অতীতে আপনারা আমার পাশে ছিলেন। আমি কারাগারে থাকা অবস্থায় আপনারা আমর পাশে এসে দাঁড়িয়ে ছিলেন। আমি সেইসব কথা ভুলতে পারিনা। বক্তব্যের শুরুতেই তিনি সিলেট সিটি কর্পোরেশনের সাবেক প্রয়াত মেয়র বদর উদ্দিন আহমদ কামরানকে স্মরণ করেন। একই সাথে সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতকেও স্মরণ করেন সিসিক মেয়র আরিফ। লিখিত বক্তব্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড.এ.কে আবদুল মোমেনকে ধন্যবাদ জানান এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তাকে বিভিন্ন সময় সাহায্য করার জন্য। আরিফ বলেন, এই সরকারের অধীনে কোন নির্বাচনে আমার দল বিএনপি অংশ নিবে না। আমি এই সিদ্ধান্ত মেনে নির্বাচন থেকে সড়ে দাঁড়ালাম। এসময় আরিফ নগরবাসীকে ভোট বর্জন করার আহবান জানান। আমি আপনাদের সন্তান, আমি আপনাদের ভাই। আমি মেয়র না থাকলেও আপনাদের পাশে সবসময় থাকবো। আমাকে আপনারা ক্ষমা করুন। বিএনপি নির্বাচনে না গেলেও গত এক মাস ধরে আরিফ তাঁর প্রার্থিতার বিষয়টি ঝুলিয়ে রাখেন। ফলে সিটি নির্বাচন ঘিরে তাঁকে নিয়ে যে জল্পনা-কল্পনার অবসান তিনি নিজেই করবেন। এর আগে তিনি হযরত শাহজালাল (র.) মাজার জিয়ারত শেষে নগরীর ঐতিহাসিক রেজিস্ট্রারি মাঠে এসে পৌঁছালেন সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র ও বিএনপির কেন্দ্রীয় সদস্য আরিফুল হক চৌধুরী। এসময় রেজিস্ট্রারি মাঠে দলীয় নেতাকর্মীদের ভিড় লক্ষ করা যায়। সমাবেশ উপলক্ষে রেজিস্ট্রারি মাঠে কানায় কানায় পূর্ণ হয় নেতাকর্মীদের পদচারণায়। এর আগে তিনি দলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে নিজ বাসা কুমারপাড়া থেকে পায়ে হেঁটে হযরত শাহজালাল (র.) মাজারের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। মাজার জিয়ারত শেষে নেতা-কর্মীদের নিয়ে পায়ে হেঁটে ঐতিহাসিক রেজিস্ট্রারি মাঠে এসে পৌঁছান তিনি। সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক) নির্বাচনে প্রতিদ্ব›িদ্বতা করবেন কিনা তা নিয়ে নিজের সিদ্ধান্তের কথা জানান। বিএনপি নির্বাচনে না গেলেও গত এক মাস ধরে আরিফ তাঁর প্রার্থিতার বিষয়টি ঝুলিয়ে রাখেন। ফলে সিটি নির্বাচন ঘিরে তাঁকে নিয়ে যে জল্পনা-কল্পনার অবসান তিনি নিজেই করবেন। গত কয়েক দিন ধরে মেয়র আরিফ প্রশাসনের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ উত্থাপন ও দলের সিদ্ধান্তের কথা ভেবে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত দিয়ে যাচ্ছেন। যদিও শুক্রবার তিনি ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডের সৈয়দপুর জামে মসজিদে জুমার নামাজ শেষে মুসল্লিদের উদ্দেশে দেওয়া বক্তব্যে আরিফ বলেছিলেন, ‘আমি সব সময় সিলেটের জনগণের পাশে ছিলাম এবং আছি। যে অবস্থানেই থাকি না কেন, প্রিয় সিলেটের জনগণের পাশেই থাকব।’ তবে সব কিছু ছাড়িয়ে নাটকীয়তায় সবার শীর্ষে আরিফুল হকের অবস্থান। যতটা না কাজের জন্য আলোচিত, তারছে বহুগুণ বেশি সমালোচিত তার নাটকীয়তা। বর্তমান সিসিক নির্বাচন নিয়ে আরিফের নাটকীয়তা যে কোন যাত্রা পালাবা মঞ্চ নাটককেও হার মানায়। এবারের নির্বাচন আসতেই তিনি আবার নাটক শুরু করেন। ছুটে যান লন্ডনে। সেখান থেকে কোন গ্রিন সিগন্যাল আদায় করতে পারেন নি। মানে বিএনপি নির্বাচনে না যাওয়ার সিদ্ধান্তই জানিয়ে দেয়া হয় তাকে। দু’সপ্তাহের যুক্তরাজ্য মিশন শেষে দেশে প্রত্যাবর্তন করেন। সবাই যখন অধির আগ্রহে অপেক্ষায় তার প্রার্থীতার বিষয়ে ঘোষণা শোনার বা জানার, তখন সেই আগ্রহ জিইয়ে রাখতে ঘোষণা দিলেন, ঈদের পর জানাবেন প্রার্থী হবেন কি না। কিন্তু ঈদের পর আরিফ জানান দিলেন, ২০মে রেজিস্ট্রারি মাঠে জনসভায় জানাবেন, তিনি প্রার্থী হবেন কি না। এরমধ্যে আবার শুরু করেন ঢাকা মিশন। সেখানে গিয়ে দুইদিনে কেন্দ্রীয় নেতাদের সাথে অনেক দেনদরবার করেন প্রার্থী হওয়া আর না হওয়ার লাভ-ক্ষতি নিয়ে। যে প্রতিশ্রæতিই তিনি আদায় করেন না কেন, বিএনপি এই নির্বাচন বয়কট করছে এবং দলের কেউ প্রার্থী হলে তাকে কঠোর শাস্তির মুখোমুখী হতে হবে, এমন সিদ্ধান্তের কথাই তাকে জানানো হয়। চলতে থাকে তার ধারাবাহিক নাটক। কয়েকদিন আগের ঘটনা। হঠাৎ নগরভবনে সংবাদ সম্মেলন ডাকলেন তিনি। সাংবাদিকদের মাধ্যমে নগরবাসীকে জানালেন, তার ব্যক্তিগত ও বাসভবনের নিরাপত্তায় নিযুক্ত আনসার সদস্যদের প্রত্যাহার করা হয়েছে। এজন্য তিনি সরকার এবং সরকারের কিছু অতিউৎসাহী কর্মকর্তাদের দায়ী করেন। কঠোর সমালোচনা করেন সরকারের। এমনকি, সরকার তার বড় কোন ক্ষতি করতে পারে এমন আশঙ্কার কথাও ব্যাক্ত করেছিলেন। সংবাদ সম্মেলনে বারবার প্রশ্ন করা হয়েছিল, সরকার ওই আনসারদের নিযুক্ত করেছিল কি না। কিন্তু তিনি তা বারবার এড়িয়ে জবাব দিয়েছিলেন, আমি মেয়র। আমার বাসাটাও আমার অফিস। সেখান থেকে নিরাপত্তাকর্মী সরিয়ে নিলে আগে আমাকে জানানো উটিৎ ছিল। কিন্তু তা জানানো হয়নি। পরে জানা গেল, তার ব্যক্তিগত বা বাসভবনের নিরাপত্তার জন্য কোন আনসার সদস্য নিযুক্ত করা হয়নি। বরং সিটি করপোরেশনের আবেদনের প্রেক্ষিতে নগরভবন এবং নগরভবন সংশ্লিষ্ট স্থাপনাগুলোর নিরাপত্তার জন্য ২৪ জন আনসার সদস্য দেয়া হয়েছিল। তাদের মধ্যে পাঁচজনকে বিধিবহির্ভূতভাবে তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়াই নিজের বাসভবন ও ব্যক্তিগত নিরাপত্তার কাজে ব্যবহার করেছিলেন। সেই পাঁচজনকে আবার নগরভবন ও নগরভবন সংশ্লিষ্ট স্থাপনা সুরক্ষায় ফিরিয়ে আনা হয়েছে মাত্র। জেলা আনসার ও ভিডিপি কমান্ড্যান্ট এমনটাই জানিয়েছেন সংবাদ মাধ্যমকে।
এর আগে স্মরণকালের সবচে বড় নাটক মঞ্চস্ত করেছিলেন তিনি বিগত সিটি করপোরেশন নির্বাচনের দিন। জনতার কামরান হিসাবে খ্যাত প্রয়াত সাবেক মেয়র বদর উদ্দিন আহমদ কামরানের নৌকা যখন এগিয়ে যাচ্ছে, সবাই যখন প্রায় ধরেই নিয়েছিলেন কামরানের নৌকা জয় পেতে যাচ্ছে, ঠিক তখনই আরিফ নগরীর কাজিটটুলা এলাকার একটি কমিউনিটি সেন্টারে গণমাধ্যম কর্মীদের ডেকে বলেছিলেন, এমন জঘন্য নির্বাচন তিনি জীবনে কখনো দেখেন নি। আর তাই এই নির্বাচন তিনি প্রত্যাখ্যান করছেন। সেই আরিফই ফলাফল ঘোষণার সময় যখন দেখলেন ভোট গননায় তিনি সমান লড়াই করছেন নৌকার সাথে, এমনকি কোথাও কোথাও থেকে তার জয়ের সংবাদও আসছে! ব্যাস! আর কি! তারই ঘোষিত জঘন্য নির্বাচনটি আস্তে আস্তে বিশুদ্ধ হতে শুরু করে। তিনি ছুটে যান আবুল মাল আব্দুল মুহিত ক্রীড়া কমপ্লেক্সে। সেখান থেকেই ফলাফল ঘোষণা হচ্ছিল। শেষ পর্যন্ত তিনি জয়ের কিনারায় পৌঁছানোর পর ফলাফল গ্রহণ করেই ওই ক্রীড়া কমপ্লেক্স ত্যাগ করেছিলেন। এ দিকে সময় যত যাচ্ছে সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচন তত এগিয়ে আসছে। এখন পর্যন্ত নির্বাচনী প্রচারে সবার চেয়ে এগিয়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগ। বিএনপির নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত ও আরিফুল হক চৌধুরীর সিদ্ধান্তহীনতার সুযোগে অনেকটা নির্ভার প্রচার চালাচ্ছিলো আওয়ামী লীগ। তবে শনিবার শেষমেষ ঘটনা করে আরিফুল হক নির্বাচন থেকে সরে দাড়ালে আনোয়ারুজ্জামানের ভাগ্যর চাকা ঘুরে গেলো। এবারের সিসিক নির্বাচনে আনোয়ারুজ্জামানকে টেক্কা দেওয়ার তম কোন শক্ত হেভিয়েট প্রার্থী না থাকায় সিসিকের মেয়র হওয়ার বিষয়টি অনেকটা নিশ্চিত হয়ে গেছে আনোয়ারুজ্জামানের জন্য। এছাড়া অন্য দলগুলোরও প্রার্থীরাও প্রচারণা চালাচ্ছেন বিভিন্ন কায়দায়। তবে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থীদের দেখা মিলছেনা প্রচারণার মাঠে। প্রতীক বরাদ্দের পর তারা মাঠে নামবেন বলে জানা গেছে। তফশিল ঘোষণার আগ থেকেই বিরামহীন মাঠে রয়েছেন আওয়ামীলীগের মেয়র প্রার্থী আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী। পুরো নির্বাচনী মাঠ এখন বলা যায় আওয়ামী লীগের দখলে। নগরীর এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে যাচ্ছেন এবং বিভিন্ন সংগঠন বা সমিতির সঙ্গে বৈঠক করছেন আনোয়ারুজ্জামান। প্রচারে তারা ভোটারদের ভোটের মাঠে ফিরিয়ে আনাসহ আমেজ ফেরানোর চেষ্টা করছেন। যদিও বিএনপি না থাকায় অনেকটাই আমেজ হারিয়েছে প্রচারণা। এ ছাড়া মাঠে রয়েছেন জাতীয় পার্টির প্রার্থী নজরুল ইসলাম বাবুল ও ইসলামী আন্দোলনের হাফেজ মাওলানা মাহমুদুল হাসান। তারাও প্রতিদিন মাঠে প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন। তারা অনেকটা কৌশলী ভ‚মিকায় রয়েছেন। বিএনপি নেতা আরিফুল হক প্রার্থী না হলে বিএনপি ও জামায়াতের ভোট পাওয়ার হিসাব কষছেন এই দুই প্রার্থী। এমন তথ্য দিয়েছেন তাদের ঘনিষ্ঠজন। গতকাল পর্যন্ত মেয়র পদে আটজন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করলেও প্রচারণায় দেখা মিলেনি স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মোহাম্মদ আবদুল হানিফ কুটু, মোহাম্মদ আব্দুল মান্নান খান, সামছুন নুর তালুকদার, মো.ছালাহ উদ্দিন রিমন ও খেলাফত মজলিস নেতা মাওলানা জাহিদ উদ্দিন চৌধুরী। অন্যদিকে কাউন্সিলর প্রার্থী বিভিন্ন দলের নেতাকর্মীরা মাঠে রয়েছেন। মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা জানিয়েছেন, ২৩ মে মনোনয়নপত্র জমাদানের শেষ দিনের পর জোরেশোরে প্রচারে নামবেন। প্রার্থীরা বাড়ি বাড়ি গেলে নির্বাচন আরও জমবে বলে মনে করছেন ভোটাররাও। নির্বাচনী আচরণবিধি অনুযায়ী, প্রতীক বরাদ্দের আগে কোনো প্রার্থীর প্রচার না চালানোর নির্দেশনা থাকলেও অনেকে তা মানছেন না। বিশেষ করে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর পক্ষে ইতোমধ্যে তিন সংসদ সদস্য ও একজন সরকারি চাকরিজীবী প্রচারণায় অংশ নিয়ে বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন। নৌকার সমর্থনে সভায় বক্তব্য দেওয়ায় সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালরের রেজিস্ট্রারকে গত শনিবার নোটিশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। নৌকার প্রার্থীর পক্ষে বক্তব্য দেওয়ায় জাপার সাবেক এমপি ও কেন্দ্রীয় নেতা ইয়াহইয়া চৌধুরী এহিয়াকে গত রোববার শোকজ করেছে তার দল। সর্বশেষ সোমবার রাতে নগরীতে হবিগঞ্জ সমিতির ব্যানারে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় নৌকার প্রার্থীর পক্ষে ভোট চান দুই সংসদ সদস্য। সিলেট আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ফয়সল কাদের গণমাধ্যমে জানিয়েছেন, তারা আচরণবিধি লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবেন। তারা বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করছেন।
এদিকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী বলেছেন, বর্তমান মেয়র আরিফুল হক নির্বাচন নিয়ে নাটক করেন। কখনো বলেন নির্বাচন করবেন আবার কখনও বলেন, নির্বাচন করবেন না। এই নাটকের প্রয়োজন কি? ধানের শীষ নিয়ে নির্বাচনে আসেন. খেলা হবে। সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচন উপলক্ষে জেলা ও মহানগর স্বেচ্ছাসেবকলীগের প্রস্তুতি সভায় তিনি এসব কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী পরিকল্পিত উন্নয়নে ব্যর্থ। তার যন্ত্রণা ভোগ করতে হচ্ছে নগরবাসীকে। অল্প বৃষ্টিতে হাবুডুবু খেতে হয়। মশার প্রজননকেন্দ্র গুলো ধ্বংসের বদলে সেগুলো পরম যতেœ আগলে রাখা হয়েছে। আর তাই আমরা প্রতিনিয়ত প্রতিক‚লতা মোকাবেলা করছি। গোটা নগরীর অবস্থা খারাপ। তার ব্যর্থতার খেসারত দিতে হচ্ছে সরকারকে, সিলেটের মানুষকে। ধানের শীষ নিয়ে এবার নির্বাচনে এলে সিলেটবাসী তাকে পরাজয়ের কলঙ্ক উপহার দিবেন, প্রত্যাখ্যান করবেন। তবে শেষ মেশ শনিবার ঘট করেই আরিফ নির্বাচন না করার ঘোষণা দিলে আনোয়ারুজ্জামানের ভাগ্য খোলে যায়।

৬৩৬ পড়েছেন