Sharing is caring!
বিশেষ প্রতিবেদন: তিনি আগে কনেষ্টবল হিসাবে করতেন (এসএমপি) পুলিশের ডিবি(গোয়েন্ধা শাখা) অফিসে। সে সময় থেকে কাঁচা টাকার নেশায় ডিবি পুলিশের ক্যাশিয়ার হতে মরিয়া হয়ে উঠেন। কিন্তু তার নানাবিধ বির্তকৃত কর্মকান্ডের জন্য তাকে এসএমপি ডিবি থেকে সরিয়ে দিয়ে পোষ্টিং করা হয় দক্ষিণ সুরমা থানাধীন টার্মিনাল পুলিশ ফাঁড়িতে। ফাড়িতে যোগদান করার পর কনেষ্টবল আশিক ব্যাপরোয়া হয়ে উঠেন। তিনি প্রায় জায়গায় গিয়ে জোর গলায় বলেন, এসএমপি পুলিশ কমিশনার ছাড়া কাউকে গণনার সময় নেই আমার।
সম্প্রতি এসএমপি এলাকায় ডিবি পুলিশের সাড়াসি অভিযান শুরু হলে আশিক নিজেই রাতারাতি হয়ে যান ডিবির ক্যাশিয়ার। যদিও বার বার ডিবি পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হচ্ছে তাদের কোন ক্যাশিয়ার নেই। টার্মিনাল ফাঁড়িতে চাকরি করলেও আশিক এখন নিজেকে পরিচয়দনে এসএমপি ডিবি(গোয়েন্ধা শাখার ক্যাশিয়ার হিসাবে। এরকম কয়েকটি অভিযোগ পাওয়া গেছে কনেষ্টবল আশিকের বিরুদ্ধে। নগরীর বিভিন্ন আবাসিক হোটেল, ভারতীয় তীর জুয়ার বোর্ডে গিয়ে তিনি নিজেকে ডিবি পুলিশের ক্যাশিয়ার হিসাবে পরিচয় দিয়ে মাসিক, সাপ্তাহিক বখরা আদায় করেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
অভিযুক্ত কনেষ্টবলের নাম আশিকুর রহমান। (কনেষ্টবল নং ২১৪৫)। সম্প্রতি সময়ে এসএমপি ডিবি (গোয়েন্ধা)র এডিসি শাহরিয়ার আল মামুন এবং ডিসির নেতৃত্বে প্রতিদিন নগরীর বিভিন্ন এলাকায় জুয়ার আস্তানা এবং আবাসিক হোটেলের অনৈতিক কার্যকলাপের বিরুদ্ধে অভিযান চালাচ্ছেন। গ্রেফতার হচ্ছেন জুয়াড়ীসহ হোটেলের দালাল, স্টাফ ও দেহপসারনীরা। ঠিক সেই সময় কনেষ্টবল আশিক নিজেকে ডিবির ক্যাশিয়ার পরিচয় দিয়ে এসব অপরাধ মূলক স্পট থেকে সাপ্তাহিক, মাসিক বখরার টাকায় আদায় করছেন বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে ।
সূত্র জানায়, আশিক নিজের ডিউটি রেখে সারাদিন মহানগরীর বিভিন্ন স্পটে গিয়ে ডিবি পুলিশের নামে টাকায় আদায় করেন। তবে টাকা নেওয়ার পরদিন আবার এসব স্পটে ডিবি পুলিশ অভিযান পরিচালনা কওে অপরাধীদের আটক করে আদালতে প্রেরণ করে। মধ্যেখানে আশিক ক্যাশিয়ার পরিচয়ে নিজের আখের গোছিয়ে নিচ্ছেন বলে একাধিকজন অভিযোগ করেন। আশিকের এমন কান্ড নিয়ে কথা হলে নাম প্রকাশে অনইচ্ছুক একাধিক পুলিশ সদস্যর আশিক ডিবির নামে টাকা আদায়ের বিষয়টি স্বীকার করেন। আশিকের বিরুদ্ধে ডিবির নামে যেসব জুুয়ার স্পট থেকে টাকা আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে সেগুলোর মধ্যে নগরীর ইলেকট্রিক ছাপ্লাই এলাকার মনাই মিয়ার জুয়ার স্পট, বাগানী সুমনের স্পট, বাগবাড়ি এলাকার দোলন মিয়ার স্পট, দক্ষিণ সুরমার মার্কাস পয়েন্টের ফারুক মিয়ার স্পট, কদমতলীর বালুর মাঠের দিলিপের স্পট, বাগবাড়ি মনিকা সিনেমা হলের রাজুর স্পট, ওসমানী মেডিকেল রোডের সায়েমের স্পট। ইলেকট্রিক ছাপ্লাই এলাকার সালেক ও মালেকের জুয়ার স্পট উল্লেখ যোগ্য।
তবে আশিকের কাছের একটি সূত্র জানায়, কনেষ্টবল আশিক ডিবির নামে যেসব স্পট থেকে টাকা তুলেন। সেই টাকা তিনি আবার জুয়ার বোর্ডে ব্যায় করে দেন । ফলে কনেষ্টবল আশিক কান্ডে বির্তকৃত হচ্ছে এসএমপি পুলিশের সত নিষ্টাবান পুলিশ সদস্যরা।
৪৯৮ পড়েছেন